বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশের সকল নির্বাচন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে হতে হবে। তিনি বলেন, “গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে যদি আমরা চলমান রাখতে পারি, তবেই দেশকে আমরা সামনে এগিয়ে নিতে পারবো এবং দেশের মানুষকে নিরাপদ রাখতে পারবো।”
আজ মঙ্গলবার সিলেটে আয়োজিত ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক দিনব্যাপী তৃতীয় বিভাগীয় কর্মশালা ২০২৪-এ ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, “স্বৈরাচার পালিয়েও দেশে এখনও তাদের ষড়যন্ত্র চলছে। তাদের দোসর রয়ে গেছে। আমাদের সবাইকে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে, কারণ বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করা সকল দলের পক্ষ থেকে ৩১ দফা ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে রাষ্ট্রকাঠামোর অধিকাংশই অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আগামীতে যদি আরো যুক্তিসঙ্গত প্রস্তাব আসে, সেগুলোও যুক্ত করা হবে।”
তারেক রহমান বলেন, “আজকের এই বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মশালার পর এই ৩১ দফা জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে। বইয়ে অনেক কিছু সুন্দরভাবে লেখা থাকে, কিন্তু তা বাস্তবায়ন করতে হয় মানুষকে। ভালো নিয়ত থাকলে আমরা ভালো কিছু করতে পারব।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের গণতন্ত্র চলার পথে বহু বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বিগত ১৬ বছরে বহু মানুষ গুম ও খুনের শিকার হয়েছেন। জুলাই-আগস্টে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ শহিদ হয়েছেন। যদি জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যায়, তবে এই প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতাকে বজায় রাখলে জবাবদিহিতা তৈরি হবে।”
সিলেট নগরীর জেলা শিল্পকলা অডিটোরিয়াম মিলনায়তনে বিএনপি’র বিভাগীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী সহ বেশ কয়েকজন নেতা ৩১ দফা কর্মসূচির ওপর বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
প্রশিক্ষণে প্যানেল আলোচক হিসেবে ছিলেন- ডা. মওদুদ আলমগীর, বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ডা. মহিউদ্দিন আলমগীর পাবেল, কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবা হাবিবা, সহ ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট নেওয়াজ হালিমা আর্লি, সহ প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রেহানা আক্তার রানু।
এছাড়া কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার আনিসুর রহমান তালুকদার, নির্বাহী কমিটির সদস্য (দপ্তরের দায়িত্বে) আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন ও মিফতাহ্ সিদ্দিকী।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য তাহসিনা রুশদি লুনা, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, ড. এনামুল হক চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, সহ সম্পাদক শাম্মী আক্তার ও আব্দুর রাজ্জাক, নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, মিজানুর রহমান চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহবায়ক ফজলুল হক ময়ুন, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নজিবুর রহমান নজিব।
মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম