শিরোনাম

শীতকালে যে ৩ আমলে মহা পুরস্কারের ঘোষণা

Views: 12

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: শীতকাল ইবাদতের বসন্তকাল। প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য মহান আল্লাহর দান। এ সময় কুয়াশা ও শিশিরের কোমলতায় প্রকৃতি সাজে নতুনরূপে। এসব নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা আদায় করা মুমিনের কর্তব্য।

এখানে পবিত্র কোরআন-হাদিসের আলোকে শীতকালে মুমিনের করণীয় ৩টি আমল তুলে ধরা হলো:

বেশি বেশি রোজা রাখা

শীতকালে দিন থাকে খুবই ছোট। এতে রোজা রাখা খুবই সহজ হয়। তাই এ ঋতুতে সম্ভব হলে বেশি বেশি রোজা রাখা যায়। হজরত আমের ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, শীতকালের গনিমত হচ্ছে এ সময় রোজা রাখা।(তিরমিজি: ৭৯৫)

নিয়মিত তাহাজ্জুদ আদায়

তাহাজ্জুদ নামাজ সব সময় পড়া যায়। তবে শীতকালে রাত অনেক লম্বা হয়। লম্বা সময় ঘুমিয়ে আবার শেষ রাতে তাহাজ্জুদ পড়া সহজ হয়। মহান আল্লাহ ঈমানদারদের গুণাবলি সম্পর্কে বলেন, ‘তাদের পার্শ্ব শয্যা থেকে আলাদা থাকে। তারা তাদের রবকে ডাকে ভয়ে ও আশায় এবং আমি তাদের যে রিজিক দিয়েছি, তা থেকে ব্যয় করে।’ (সুরা সাজদাহ: ১৬)

অসহায়দের শীতবস্ত্র দান করা

শীতকালে অসহায় মানুষ বস্ত্রের অভাবে নিদারুণ কষ্ট করে। একা ভালো থাকা ইসলামের শিক্ষা নয়। বরং সমাজের সবার প্রতি সহানুভূতি নিয়ে এগিয়ে যাওয়া কর্তব্য।

শীতবস্ত্র ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সাহায্য নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো ইমানি দায়িত্ব। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
যে মুসলমান অন্য কোনো মুসলমানকে বস্ত্রহীন অবস্থায় বস্ত্র দান করবে, মহান আল্লাহ তাকে জান্নাতে সবুজ রঙের পোশাক পরাবেন। খাদ্য দান করলে তাকে জান্নাতের ফল খাওয়াবেন। পানি পান করালে জান্নাতের শরবত পান করাবেন। (আবু দাউদ)

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *