আপনার ক্যারিয়ারের সাফল্যের প্রথম ধাপ হতে পারে একটি নিখুঁত সিভি। কিন্তু কেবল একটি সুন্দর জীবনবৃত্তান্ত তৈরি করাই যথেষ্ট নয়; সেটি হতে হবে সঠিক কৌশলে সাজানো এবং প্রাসঙ্গিক। জেনে নিন, সিভি তৈরির এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ কৌশল যা আপনাকে অন্যদের থেকে এগিয়ে রাখবে।
১. প্রতিটি পদের জন্য আলাদা সিভি তৈরি করুন
একটি সাধারণ সিভি ব্যবহার না করে প্রতিটি চাকরির বিবরণ পড়ে সিভি কাস্টমাইজ করুন। নির্দিষ্ট পদের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা চিহ্নিত করে সেই অনুযায়ী সিভি সাজান। উদাহরণস্বরূপ, যদি চাকরিটি ডিজিটাল মার্কেটিং সংক্রান্ত হয়, তবে আপনার ডিজিটাল দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা তুলে ধরুন।
২. সিভি সহজ ও পরিষ্কার রাখুন
পেশাদার ফন্ট এবং সহজে পড়ার মতো ফরম্যাট ব্যবহার করুন। ভারসাম্যপূর্ণ বিন্যাস এবং পর্যাপ্ত সাদা স্থান রাখুন যাতে নিয়োগকারী সহজে প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজে পেতে পারেন। এমন একটি নকশা বেছে নিন যা সিম্পল কিন্তু আকর্ষণীয়।
৩. প্রাসঙ্গিক কীওয়ার্ড যোগ করুন
বেশিরভাগ বড় প্রতিষ্ঠান অ্যাপ্লিকেশন ট্র্যাকিং সিস্টেম (ATS) ব্যবহার করে। সিভিতে কাজের বিবরণ থেকে উপযুক্ত কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন। উদাহরণস্বরূপ, যদি কাজের বিবরণে “ডেটা অ্যানালিটিক্স” উল্লেখ থাকে, তবে সেই অভিজ্ঞতা আপনার সিভিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করুন।
৪. অর্জনকে গুরুত্ব দিন
কাজের বিবরণ না দিয়ে আপনার অর্জনগুলো স্পষ্ট করুন। উদাহরণস্বরূপ, “আমি একটি দল পরিচালনা করেছি” বলার পরিবর্তে লিখুন, “আমি পাঁচ জনের একটি দলকে নেতৃত্ব দিয়েছি এবং নির্ধারিত সময়ের দুই সপ্তাহ আগেই প্রকল্প শেষ করেছি, যা ১৫% খরচ বাঁচিয়েছে।”
৫. যোগাযোগ দক্ষতা তুলে ধরুন
আপনার যোগাযোগ দক্ষতার উদাহরণ দিন, বিশেষত টিমওয়ার্ক এবং সমস্যা সমাধানে। উদাহরণস্বরূপ, উল্লেখ করতে পারেন, “আমি একটি জটিল পরিস্থিতি সমাধান করেছি যা একটি দলের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি করতে সাহায্য করেছে।”
শেষ কথা
একটি শক্তিশালী সিভি কেবল একটি কাগজ নয়, এটি আপনার পেশাদারিত্বের প্রতিফলন। কৌশলগুলো অনুসরণ করলে আপনার সিভি নিয়োগকারীর নজরে আসবে এবং পছন্দের চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়াবে।
—