পটুয়াখালী বিভিন্ন বাজারে মুরগির দাম আজকাল সাধারণ ক্রেতাদের জন্য এক বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিন মজুর রাজু আহমেদ পটুয়াখালীর নিউ মার্কেটে বাজারে এসে ব্রয়লার মুরগি কিনেছেন দুটি। কিন্তু মুরগির দাম দেখে তার মধ্যে এক ধরনের আক্ষেপ ছিল। তিনি বলেন, “ব্রয়লার মুরগির দামও অনেক বেশি, আর দেশি মুরগি তো আমাদের মতো গরিব মানুষের জন্য বিলাসিতা।
জেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, মুরগির দাম সত্যিই বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা দরে। অন্যদিকে, লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা, কক প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা, সোনালি ও পাকিস্তানি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩২০ টাকায়, এবং দেশি মুরগির দাম ৬৫০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত পৌঁছেছে।
মুরগির দাম বৃদ্ধির বিষয়ে বাজারের ক্রেতারা অনেকটা উদ্বিগ্ন। তারা বলছেন, বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য ব্রয়লার মুরগি এখন একমাত্র ভরসা ছিল। কিন্তু এই দাম বৃদ্ধি তাদের কাছে মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি সোনালি, লেয়ার, কক জাতের মুরগিও এখন অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে, ফলে সাধারণ ক্রেতারা এই মুরগি কিনতে পারছেন না।
দুমকির বোর্ড অফিস বাজারে মুরগি কিনতে আসা হাবিবুর রহমান, একজন বেসরকারি চাকরিজীবী, তার হতাশা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, “বেতন দিয়ে পুরো মাস চালানো কঠিন হয়ে গেছে, বাজারের অতিরিক্ত খরচ সবকিছুর ওপর চাপ ফেলছে। এখন এক কেজি ব্রয়লার মুরগি কিনতেই ৩৫০-৪০০ টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে।”
এমন পরিস্থিতি নিয়ে গলাচিপার বাঁশ-বাড়িয়া এলাকার ক্রেতা সাজ্জাদ হোসেন জানান, “ব্রয়লার মুরগির দাম অনেক বাড়িয়েছিল, তবে কিছুটা কমেছে, এখন ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে, অন্যান্য মুরগির দাম নিয়ন্ত্রণে আনা প্রয়োজন।”
পটুয়াখালী পৌর নিউমার্কেট বাজারের মুরগি বিক্রেতা খোরশেদ আলম বলেন, “মুরগির ফিডের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে খামারিরা মুরগি উৎপাদনে অতিরিক্ত খরচ করছে, যার ফলে বাজারে মুরগির দাম বাড়ছে।” তিনি আরও বলেন, “ব্রয়লার মুরগি ছাড়া অন্যান্য মুরগির সরবরাহ কমে গেছে, যার প্রভাব পড়ছে বাজারে।”
কলাপাড়া বাজারের মুরগি বিক্রেতা সিরাজুল ইসলাম জানান, “বন্যার কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মুরগি উৎপাদনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, যার ফলে মুরগির দাম বেড়েছে।”
মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম