চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: খেলাপি ঋণের বেশিরভাগই ব্যালেন্স শিট নির্ভর। ব্যাংকগুলো ব্যালেন্স শিট নির্ভর অর্থায়নে মগ্ন। এই ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় লাঞ্চ বা ডিনারে বসে। বেক্সিমকো ও এস আলম এখন বেতন দিতে পারছে না অথচ ব্যালেন্স শিট দেখে এসব প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিয়েছে ব্যাংক। সম্পদ দেখা হয়নি। এখন এই প্রতিষ্ঠানের ব্যালেন্স শিট যাচাই করে দেখা যাচ্ছে সবই ফাঁকা।
এভাবে ঋণ দেওয়া কতটা যৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) পল্টনে অর্থনীতি বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে আয়োজিত ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানি রূপান্তরে অভ্যন্তরীণ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা জানান উপদেষ্টা। ইআরএফ, সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড পার্টিসিপেটরি রিসার্চ, কোস্টাল লাইভলিহুড অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাকশন নেটওয়ার্ক (ক্লিন) ও বিডব্লিউজিইডি যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করেছে।
তিনি বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিকল্প নেই। এই খাতে ব্যাংকের ঋণ দিতে আগ্রহ নেই বললেই চলে। তাই নতুন নীতিতে এই খাতে অর্থায়নের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি সোলার স্থাপনের জায়গা ও সঞ্চালন লাইনে যুক্ত হওয়ার ব্যবস্থা সরকার করে দেবে।
ফাওজুল কবির বলেন, সরকার সব বিদ্যুৎ কিনবে, সেখান থেকে বের হবে। মার্চেন্ট বিদ্যুৎ নীতি গ্রহণ করা হবে। বিনিয়োগকারী বিদ্যুৎ উৎপাদন করবেন এবং তারাই বিক্রির জন্য গ্রাহক ঠিক করবেন। কারণ সরকার স্বতন্ত্র বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীদের (আইপিপি) থেকে সরে আসতে চায়।