ভারতের ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকার। সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায়।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ভোরে হিন্দু সংগ্রাম সমিতির বিক্ষোভকারীরা পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের প্রধান ফটক ভেঙে প্রবেশ করে। তারা জাতীয় পতাকা অবমাননা, পতাকা খুঁটি ভাঙচুর এবং সহকারী হাইকমিশনের সম্পত্তির ক্ষতিসাধন করে।
২ ডিসেম্বর আগরতলার গান্ধী মূর্তির সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের পর ছয় সদস্যের একটি দল বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে স্মারকলিপি দিতে যায়। এরপর কিছু উগ্র বিক্ষোভকারী সহকারী হাইকমিশনের প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে। তারা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলে এবং ভবনের সামনে সাইনবোর্ডে আগুন ধরিয়ে দেয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়, এ হামলা ১৯৬১ সালের ভিয়েনা কনভেনশনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদাসীনতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাবের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশ সরকার ভারতের কাছে এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত এবং কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানায়।
ভারত সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে। তারা বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে, কূটনৈতিক ও কনস্যুলার স্থাপনাগুলো কোনোভাবেই সহিংসতার লক্ষ্যবস্তু হতে পারে না। এ ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি এড়াতে দিল্লি এবং অন্যান্য বাংলাদেশি মিশনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারত।
বিবৃতিতে বাংলাদেশ সরকার জানায়, আগরতলার এ হামলার আগে কলকাতাতেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল, যেখানে জাতীয় পতাকা অবমাননা করা হয়।