প্রতি বছর, বিশ্বের ১০০ জন প্রভাবশালী ও অনুপ্রেরণাদায়ী নারীর তালিকা প্রকাশ করে বিবিসি। এবার এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ছয়জন সংগীতশিল্পী। তাদের শিল্পকর্ম এবং সমাজে তাদের অবদানের গল্প তুলে ধরেছে এই প্রতিবেদন।
ফিরদা মারসিয়া কুরনিয়া (ইন্দোনেশিয়া)
ইন্দোনেশিয়ার হেভি মেটাল ব্যান্ড ভয়েস অব বাচেপ্রত-এর প্রধান গায়িকা ফিরদা মারসিয়া কুরনিয়া, হিজাব পরিহিত নারীদের সংগীত জগতে সাফল্যের প্রতীক। ইংরেজি ও সুন্দানিজ ভাষায় গাওয়া তাদের গান পুরুষতন্ত্রের প্রতি প্রতিবাদের মাধ্যম। ২০২৩ সালে, গ্লাস্টনবারি সংগীত উৎসবে অংশ নিয়ে প্রথম ইন্দোনেশিয়ান ব্যান্ড হিসেবে ইতিহাস গড়েন তারা।
ইলাহা সরুর (আফগানিস্তান)
আফগান গায়িকা ইলাহা সরুর তার গান ‘নান, কার, আজাদি!’ (রুটি, কাজ, স্বাধীনতা!) দিয়ে নারীর অধিকারের কথা বলেছেন। প্রায় এক দশক আগে সহিংসতার মুখে দেশ ছাড়লেও, সংগীতের মাধ্যমে এখনও তিনি নারীর ক্ষমতায়নের বার্তা ছড়িয়ে যাচ্ছেন।
গ্যাবি মোরেনো (গুয়াতেমালা)
লাতিন পপ ও আমেরিকানার প্রখ্যাত গায়িকা গ্যাবি মোরেনো, ২০২৪ সালে সেরা লাতিন পপ অ্যালবামের জন্য গ্র্যামি জিতে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছেন। ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে, তিনি গুয়াতেমালার শিশুদের শিক্ষার উন্নতিতে কাজ করছেন।
হাদিকা কিয়ানি (পাকিস্তান)
পাকিস্তানের আইকনিক পপ শিল্পী হাদিকা কিয়ানি সংগীত এবং মানবিক কাজের মাধ্যমে সমাজে অবদান রেখে চলেছেন। তিনি ‘ভাসিলা-এ-রাহ’ প্রকল্পের মাধ্যমে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে উদ্যোগী হয়েছেন।
নোয়েলা উইয়ালা এনওয়াদেই (ঘানা)
উইয়ালা, যার নামের অর্থ ‘কর্মপরায়ণ’, তার সংগীতের মাধ্যমে আফ্রিকান নারীদের শোষণের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন। নিজ শহরে একটি আর্টস সেন্টার, রেডিও স্টেশন এবং রেস্তোরাঁ স্থাপন করে তিনি স্থানীয় শিল্প ও কর্মসংস্থান বাড়িয়েছেন।
রে (যুক্তরাজ্য)
ব্রিটিশ গায়িকা রে, ২০২৩ সালে তার প্রথম স্টুডিও অ্যালবাম মুক্তি দিয়ে শিল্পী হিসেবে নিজের পরিচয় তুলে ধরেন। ব্রিট অ্যাওয়ার্ডসে ছয়টি পুরস্কার জিতে ইতিহাস গড়েছেন তিনি।
এই ছয় শিল্পীর গল্প শুধুমাত্র তাদের সংগীত প্রতিভার নয়, বরং সমাজ পরিবর্তনে তাদের অবদানেরও উদাহরণ। তাদের কাজ নারীর ক্ষমতায়ন, অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং সামাজিক বাধা দূর করার ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত।