শিরোনাম

কলাপাড়ায় শালিস বৈঠকের নামে পরিবারের ওপর অমানবিক নির্যাতন

Views: 10

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মিথ্যে অভিযোগের ভিত্তিতে একটি পরিবারের ওপর শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন মিজানুর ঘরামী, তার মেয়ে লামিয়া, স্ত্রী সাবিনা বেগম এবং স্ত্রীর বোনের মেয়ে মারুফা। বর্তমানে তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বিশেষভাবে, মারধরের কারণে সাবিনা বেগমের একটি পা ভেঙে গেছে।

ভুক্তভোগী মিজানুর ঘরামী জানান, ২৭ নভেম্বর রাতে তাদের ঘরে দূর্বৃত্তরা চেতনা নাশক খাইয়ে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ লুট করে। ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। তবে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরার পর শালিস বৈঠকের নামে পুরো পরিবারকে নির্যাতন করা হয়।

মিজানুর অভিযোগ করেন, স্থানীয় এক গণনাকারী তার বিরুদ্ধে স্ত্রীর বোনের মেয়ের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ আনেন। তিনি জানান, “চুরির ঘটনার সত্যতা আড়াল করতে এই ধরনের ভিত্তিহীন গল্প সাজানো হয়েছে। ওই রাতে আমার শ্বশুর-শাশুড়ি, স্ত্রী, সন্তানসহ সবাই বাড়িতে ছিলেন। তারপরও এমন মিথ্যা অভিযোগ এনে আমাদের অপমান করা হয়েছে।”

মিজানুরের স্ত্রী সাবিনা বেগম বলেন, গণনাকারী অঞ্জনা রানী “অন্তর চক্ষু” দিয়ে দেখেছেন বলে দাবি করে পরকীয়ার গল্প প্রচার করেছেন। তিনি জানান, “কোনো সত্যতা ছাড়াই এমন মিথ্যে অভিযোগ আনা হয়েছে। এতে আমাদের মানসম্মান নষ্ট হয়েছে। আমার কলেজ পড়ুয়া ভাগ্নি মানসিক ও শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত।”

অভিযোগের বিষয়ে গণনাকারী অঞ্জনা রানীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাবি করেন, তার অন্তর চক্ষু পরকীয়া সম্পর্ক দেখেছে। তবে, কোনো প্রমাণ ছাড়াই কেন এমন অভিযোগ করেছেন, সে বিষয়ে কোনো জবাব দিতে পারেননি।

স্থানীয় শালিসদার হাবীব ঘরামী জানান, ঘটনাটি মিজানুরের পারিবারিক ব্যাপার এবং তিনি কোনো নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত নন বলে দাবি করেন।

এ বিষয়ে কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুয়েল আহম্মেদ বলেন, “ভুক্তভোগীদের মধ্যে একজন থানায় এসেছিলেন। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম
image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *