বরিশাল অফিস: আগামী ১২ অক্টোবর সরকারিভাবে মা ইলিশ রক্ষার অভিযান পেছানোর দাবিতে সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছে বরিশাল সদর থানা মৎস্য আড়তদার অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দরা। নগরীর পোর্ট রোডস্থ জেলা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে সংগঠনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি জাহাঙ্গীর সিকদারের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাধারণ সম্পাদক নিরব হোসেন টুটুল। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, করোনা মহামারিতে সকল ব্যবসায়ীদের মধ্যে আমরা মৎস্য ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি।
ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা যখন একটু ঘুরে দাঁড়াবার চেষ্টা করছি, ঠিক সেইসময় জলবায়ু পরিবর্তনসহ প্রাকৃতিক নানা কারণে ইলিশ মাছের উপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে মৎস্য ব্যবসা নির্ভর করে ইলিশ মাছের উপর। এ বছর ইলিশের আমদানি বিগত ১০ বছরের চেয়ে কম। বিগত বছরের ন্যায় এবছরও সাগর উত্তাল থাকায় জেলেরা সাগরে মাছ শিকার করতে পারেননি। প্রাকৃতিক কারণে এবছর মাছের মৌসুমে প্রতিটি অমাবশ্যা ও পূর্নিমার তিথিতে সাগরে সতর্কতা সংকেত থাকায় জেলেরা সাগরে মাছ ধরতে যেতে পারেননি। এ কারণে ইলিশ শিকার হয়নি। যার বিরূপ প্রভাব পরেছে সারাদেশের ইলিশ মোকামসহ খুচরা বাজারে। এমন পরিস্থিতিতে এবছর শুধুমাত্র বরিশালের মোকামে শত কোটি টাকার লোকসানের আশঙ্কা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উল্লেখ করা হয়, আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ইলিশ শিকারে সরকারি নিষেধাজ্ঞা আসছে। এটিই আমাদের ক্ষতির প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই আমরা সরকারের মৎস্য বিভাগের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি আমাদের এই আর্থিক ক্ষতির কথা বিবেচনা করে আগামী ১২ অক্টোবর সরকারের যে নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে, তা একমাস পিছিয়ে অর্থাৎ আগামী ১২ নভেম্বর থেকে শুরু করা হোক।
তাছাড়া সরকারের ইলিশ রপ্তানি কার্যক্রম চলবে আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত। নিষেধাজ্ঞা থাকলে মাছ রপ্তানিতে সমস্যা হবে। ইলিশ রপ্তানীর কারণে কালোবাজারে ইলিশ পাচারের সংখ্যা কমে এসেছে। এতে করে বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা আয় হচ্ছে। তাই সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী নেতারা সারাদেশের ইলিশ ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের কল্যাণেমা ইলিশ রক্ষা অভিযানের সময়সীমা পিছিয়ে দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বরিশাল সদর থানা মৎস্য আড়তদার অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, কোষাধ্যক্ষ ইয়ার হোসেন, সদস্য নাসির উদ্দিন, শেখ মোঃ রিপন, গণি সিকদার, আইউব আলী প্রমুখ।