আমাদের জীবনে নানা ধরনের টানাপোড়েন থাকে। এটি স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। তবে ব্যক্তিগত জীবনের বিষয়গুলো অন্যের কাছে প্রকাশ না করাই সর্বোত্তম। বর্তমান সময়ে অনেকেই আবেগের বশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের সুখ-দুঃখের কথা শেয়ার করেন। যদিও এতে কিছু সুবিধা থাকলেও এর ক্ষতিকর দিকগুলো উপেক্ষা করার মতো নয়। মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, মানসিক শান্তি বজায় রাখতে ব্যক্তিগত জীবন গোপন রাখা অত্যন্ত জরুরি।
কাউকে ব্যাখ্যা দিতে হয় না
যখন আপনি আপনার জীবনের ঘটনা অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করবেন, তখন তারা তাদের মতামত দেবে এবং হয়তো আপনার কাছ থেকে ব্যাখ্যা চাওয়াও হতে পারে। এই অপ্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা দেওয়ার চাপ এড়ানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হলো আপনার ব্যক্তিগত বিষয়গুলো গোপন রাখা।
গোপনীয়তায় মনের শান্তি
অনেকে মনে করেন, মনের কথা অন্যের সঙ্গে ভাগাভাগি করলে দুঃখ লাঘব হয়। কিন্তু মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, ব্যক্তিগত সীমারেখা টানা এবং তথ্য ভাগাভাগি সীমিত করা মানসিক সুস্থতার জন্য কার্যকর। নিজের জীবনের কিছু বিষয় গোপন রাখলে মনের মধ্যে শান্তি বজায় থাকে।
সবাই বন্ধু নয়
সবাইকে বন্ধু ভাবা ঠিক নয়। যাকে আপনি বন্ধু ভেবে নিজের জীবনের কথা শেয়ার করছেন, তিনি হয়তো আপনার বিশ্বাসের যোগ্য নাও হতে পারেন। তাই আগে যাচাই করুন এবং নিশ্চিত হন যে, যার সঙ্গে আপনি কথা বলছেন তিনি আপনার বিষয়গুলো গোপন রাখতে পারবেন।
সাইবার বুলিংয়ের ঝুঁকি
সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যক্তিগত জীবন প্রকাশ করলে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এটি শুধু মানসিক অবসাদ বাড়ায় না, আপনার ব্যক্তিগত সম্পর্কেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
সম্পর্ক ভালো রাখে
অনেক সময় কাছের মানুষদের সঙ্গে বেশি সত্য বলার ফলে সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায়। তাই কিছু বিষয় এমনও থাকতে পারে যা কাছের মানুষকেও বলা উচিত নয়। নিজের জীবন গোপন রাখার অভ্যাস গড়ে তুললে সম্পর্কের টানাপোড়েন কমে।
ব্যক্তিগত জীবন গোপন রাখা কেবল মানসিক শান্তি আনায়ন করে না, এটি সাইবার নিরাপত্তা এবং পারিবারিক সম্পর্ক রক্ষাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই সুখী ও সুস্থ জীবনের জন্য নিজের জীবনের গোপনীয়তা বজায় রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন।
মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম