১৬ ডিসেম্বর বাঙালী জাতি ৫৪তম মহান বিজয় দিবস পালন করবে বীর শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। দিনটিকে ঘিরে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ ইতোমধ্যে পুরোপুরি প্রস্তুত। রাষ্ট্রপতি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।
জাতীয় স্মৃতিসৌধের চত্বরে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। ধোয়ামোছা, আলোকসজ্জা, নতুন ফুলের চারা রোপণসহ বিভিন্ন রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শেষ হয়েছে। সড়কবাতি, ফটক এবং স্মৃতিসৌধের চারপাশে নতুন রঙের আঁচর দেওয়া হয়েছে। গণপূর্ত অধিদপ্তরের শতাধিক শ্রমিক মাসব্যাপী অক্লান্ত পরিশ্রম করে স্মৃতিসৌধ চত্বরকে একদম পরিপাটি করে সাজিয়ে তুলেছেন।
স্মৃতিসৌধ ও এর আশপাশে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি একেএম আওলাদ হোসেন। তিনি আরও জানান, নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে আশপাশের জেলাগুলোও রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা স্মৃতিসৌধ এলাকাজুড়ে অবস্থান নিয়েছেন, যা স্মৃতিসৌধ চত্বরে মানুষের ঢল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করবে।
দর্শনার্থীদের আগ্রহ সত্ত্বেও ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত জনসাধারণের প্রবেশ বন্ধ রাখা হয়েছে নিরাপত্তার স্বার্থে। তবে স্মৃতিসৌধের ফটকের বাইরে দাঁড়িয়ে অনেকেই এই পবিত্র স্মৃতিস্তম্ভটি অবলোকন করেছেন।
১৯৭২ সালে ১০৮ একর জমিতে স্বাধীনতার স্মারক জাতীয় স্মৃতিসৌধ নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল। বর্তমানে এটি দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতিচিহ্নগুলোর একটি।
সাভারের গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, “১৬ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। আমরা চত্বর সাজাতে ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করতে কোনো কমতি রাখিনি।”
জাতীয় স্মৃতিসৌধ ঘিরে পুরো দেশব্যাপী উৎসবের আমেজ চলছে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।
মো: তুহিন হোসেন,
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম