চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে উৎখাত করা বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখছে যুক্তরাষ্ট্র। মূলত আসাদ সরকারের পতনের পর এইচটিএস বিদ্রোহীরা সিরিয়া নিয়ন্ত্রণ করছে এবং তাদের সঙ্গেই যোগাযোগ করেছে দেশটি।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন শনিবার বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সিরিয়ার যে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি সবার আগে এগিয়ে আসে, মার্কিন কর্মকর্তারা সেই হায়াত তাহরির আল-শাম বা এইচটিএস বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন।
যদিও তাদেরকে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্যরা দেশ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে অতীতে অভিহিত করেছে।
ব্লিংকেন হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কর্মকর্তা যিনি বাইডেন প্রশাসন এবং আসাদকে গত রোববার ক্ষমতাচ্যুতকারী সশস্ত্র বিরোধী গোষ্ঠীর জোটের নেতৃত্বদানকারী হায়াত তাহরির আল-শাম বা এইচটিএস’এর মধ্যে যোগাযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করলেন।
জর্ডানের আকাবায় এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখার সময় ব্লিংকেন এই যোগাযোগের বিষয়ে জানান। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি তিনি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওই গোষ্ঠীটির আচরণ এবং অন্তর্বর্তী সময়ে তারা কিভাবে শাসন পরিচালনা করবে সে সম্পর্কে তাদের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের এই বার্তাটি পাঠানো জরুরি ছিল।
ব্লিংকেন আরও বলেন, “হ্যাঁ, আমরা এইচটিএস ও অন্যান্য দলের সঙ্গে যোগযোগ বজায় রেখেছি”। তিনি আরও বলেন, “সিরিয়ার জনগণের প্রতি আমাদের বার্তা হচ্ছে এই যে— আমরা চাই তারা সফল হোক , আর সে জন্য আমরা তাদের সাহায্য করতে প্রস্তুত আছি”।
উল্লেখ্য, এক সময়ে আল কায়েদার সঙ্গে সম্পৃক্ত এইটিএস’কে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বিদেশি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে অভিহিত করেছিল এবং তাদেরকে কোনও রকম বস্তুগত সহায়তা দেওয়ার ব্যাপারেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। তবে সেই নিষেধাজ্ঞায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের ওপরে আইনত কোনও বিধিনিষেধ নেই।
প্রসঙ্গত, এইচটিএস দামেস্ক দখলের পর নিরাপত্তা স্থাপনের জন্য এবং রাজনৈতিক পরিবর্তনের জন্য কাজ করেছে এবং বিদ্রোহীদের মধ্যে উগ্রবাদীদের নিয়ে জনগণের উদ্বেগের মুখে তাদেরকে নিশ্চয়তা প্রদান করেছে। বিদ্রোহীরা বলছে— তারা উগ্রবাদীদের সঙ্গে তাদের অতীতের সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করেছে।
গোষ্ঠীটির নেতা আহমাদ আল-শারা গত শুক্রবার এক ভিডিও বার্তায় “এই বিজয়ের জন্য সিরিয়ার মহান জনগণকে” অভিনন্দন জানান। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, সংখ্যালঘু এবং নারীদের অধিকার সুরক্ষার জন্য শারা খুব ভালো মন্তব্য করছেন।