দেশের তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনের প্রকল্পে ভৌত কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৭৭ শতাংশ। প্রকল্পটি ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দেশের ভবিষ্যৎ ব্যান্ডউইডথ চাহিদা মেটাতে, এবং ২০৩০ সালে প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলের আয়ুষ্কাল শেষ হওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে এসএমডব্লিউ-৬ কনসোর্টিয়ামের আওতায় এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
বিএসসিপিএলসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৩,২০০ জিবিপিএস ক্যাপাসিটির এই ক্যাবল চালু হলে তা দেশের ইন্টারনেট ব্যবস্থা আরো শক্তিশালী করবে। অপারেশন শুরু হলে ক্যাপাসিটি উন্নীত হবে ২০,০০০ জিবিপিএসে।
২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বিএসসিপিএলসি দেশের সাবমেরিন ক্যাবল পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছে। প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল সি-মি-উই-৪ এবং দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল এসএমডব্লিউ-৫ এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি দেশব্যাপী ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করছে।
বর্তমানে বিএসসিপিএলসির সক্ষমতা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭,২২০ জিবিপিএস। প্রতিষ্ঠার সময় মাত্র ৭.৫ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও, কনসোর্টিয়ামের আপগ্রেডের মাধ্যমে এই সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে।
সর্বাধুনিক প্রযুক্তির তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনের মাধ্যমে দেশের আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা আরও মজবুত হবে। এর ফলে ইন্টারনেটের খরচ কমবে এবং ব্যান্ডউইডথের চাহিদা সহজেই মেটানো সম্ভব হবে।
বিএসসিপিএলসি ইতোমধ্যে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ২০১৭ সালে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল চালুর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ইন্টারনেট ব্যবস্থাকে আরও গতিশীল করেছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে দেশের ইন্টারনেট ব্যবস্থায় এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে।