সন্তানের বয়স তিন বছর পার হলেই বাবা-মা ভালো স্কুল খুঁজতে শুরু করেন। কারণ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার শুরু শিশুর জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে সঠিক বয়সে স্কুলে ভর্তির আগে কিছু প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি। এটি শিশুর সামাজিক, মানসিক, এবং শারীরিক বিকাশে সহায়তা করে।
শিশুকে নতুন পরিবেশ, বন্ধু, এবং লেখাপড়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে প্রস্তুত করতে হবে। স্কুলে যাওয়ার আগে বাড়িতেই কয়েকটি বিষয়ের চর্চা করলে শিশুর জন্য এই পথচলা সহজ হয়ে ওঠে।
প্রথমত, বাচ্চাকে প্রি-স্কুল বা প্লে স্কুলে পাঠানোর মাধ্যমে নিয়মিত বাইরে থাকার অভ্যাস করান। প্রথম দিকে মা-বাবাকে না দেখলে শিশুরা কান্নাকাটি করে। ধীরে ধীরে এই অভ্যাস তাদের সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া সহজ করে।
যা শেখানো জরুরি:
১. অন্যের সঙ্গে মানিয়ে চলা: শিশুকে শেখান, কীভাবে অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে হয়। তাদের অনুভূতিকে সম্মান করা, মজা করে গায়ে হাত না তোলা এবং নিজেদের আবেগ প্রকাশ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
২. ভাগ করে নেওয়া শিখুন: চকোলেট বা খেলনা ভাগ করার পাশাপাশি, পরিবারের সদস্যদের মধ্যে এই চর্চা চালু রাখুন।
৩. শ্রদ্ধা করার মানসিকতা তৈরি করুন: মা-বাবা, পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানোর চর্চা ছোট থেকেই শুরু করুন।
৪. দ্রুত শেখার অভ্যাস গড়ে তুলুন: শিশুকে কেবল মুখস্থ নয়, বিষয়বস্তুকে বোঝার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এটি আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সহায়তা করে।
৫. দায়িত্বশীলতা শিখুন: নিজের জিনিস গুছিয়ে রাখা, নিজে খাবার খাওয়া, এবং নিজের পরিচ্ছন্নতার দায়িত্ব নিতে শেখান।
শিশুর জীবনের প্রথম স্কুলে যাত্রা একটি বড় পদক্ষেপ। সঠিক প্রস্তুতি শিশুর জন্য এই যাত্রাকে আনন্দময় এবং ফলপ্রসূ করে তুলতে পারে।