পটুয়াখালীতে জেলা জজের ড্রাইভার পরিচয়ে জমি দখল ও হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী আব্দুস সোবাহান। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
লিখিত বক্তব্যে আব্দুস সোবাহান জানান, সোনালী ব্যাংক থেকে ক্যাশ কর্মকর্তা হিসেবে অবসর নেওয়ার পর পটুয়াখালী পৌরসভায় ২০ লাখ টাকায় ৫ শতাংশ জমি কেনেন। সেখানে বাড়ি নির্মাণ করতে গেলে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা বাধা দেয়। পরে স্থানীয় থানায় অভিযোগ করা হলেও, মো. জলিল রাঢ়ী, যিনি নিজেকে জেলা জজ আদালতের স্পেশাল জজের ড্রাইভার হিসেবে পরিচয় দেন, পুলিশ কর্মকর্তাদেরও হুমকি দিয়ে পিছু হটিয়ে দেন।
তিনি অভিযোগ করেন, জলিল রাঢ়ী আপোষের নামে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরে প্রাণনাশের হুমকিতে পড়ে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়েও সমস্যা সমাধান হয়নি। টিনের ঘর এবং সীমানা প্রাচীর নির্মাণের পর আবারও ১০ লাখ টাকা দাবি করেন জলিল। জমি দখল করতে গিয়ে তিনি প্রাচীর ভেঙে টিন, লোহার গেট, সিমেন্ট ও ইট লুট করে নিয়ে যান।
সংবাদ সম্মেলনে আব্দুস সোবাহান আরও জানান, জমি দখল রোধে থানায় অভিযোগ করলেও প্রশাসন কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। জলিল রাঢ়ী ও তাঁর দলবল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে, জলিল রাঢ়ীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি জমিটি নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি দাবি করেন এবং কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য না দিয়ে ফোন কেটে দেন।
ভুক্তভোগী পরিবার প্রধান উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে জলিল রাঢ়ীর দখলবাজি থেকে রক্ষা এবং ন্যায্য বিচারের দাবি জানিয়েছেন।