বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের পশ্চিম মোল্লাপাড়া, দীঘিবালী ও ঐচারমাঠ গ্রামের প্রায় ১০-১২ হাজার মানুষ ৮ মাস ধরে সেতু ভেঙে চলাচলে মারাত্মক ভোগান্তির শিকার। সেতুটি ২০১৮ সালে ধ্বংস হওয়ার পর চলতি বছরের ৩ মে রাতে পুরোপুরি ধসে পড়ে, কিন্তু এ পর্যন্ত এলজিইডি বিভাগ থেকে সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
জানা গেছে, ২০০০ সালে এলজিইডির অর্থায়নে রামেরবাজার থেকে সাহেবেরহাট খালের ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। ২০১৮ সালে সেতুর মাঝের অংশ দেবে যাওয়ার পর ৩ মে সেতুটি পুরোপুরি ধসে পড়ে। এরপর থেকে গ্রামের লোকজন ও যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে, নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার করতে হচ্ছে গ্রামবাসীসহ কোমলমতি শিশু ও বৃদ্ধদের।
গ্রামবাসী জানিয়েছেন, সেতু ভেঙে যাওয়ার কারণে উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতে কষ্ট হচ্ছে। পশ্চিম মোল্লাপাড়া গ্রামের সুমালা ঘরামী, সুমন দাস ও লীলা বিশ্বাস বলেন, “জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হয়ে পায়ে হেঁটে বাড়ি যেতে হচ্ছে। আমাদের কষ্টের কোনো শেষ নেই।”
ধান ব্যবসায়ী অজয় সমাদ্দার বলেন, “এ এলাকায় প্রচুর পরিমাণে ধান উৎপাদন হয়, কিন্তু সেতু ভাঙার কারণে ধান পরিবহন করা যাচ্ছে না। আমরা ধান কিনতে পারছি না।”
এ বিষয়ে আগৈলঝাড়া উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী রবীন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, “সেতু ধসে পড়ার খবর পাওয়ার পর আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে বরাদ্দের জন্য আবেদন করেছি। বরাদ্দ পাওয়া গেলেই সংস্কার কাজ শুরু হবে।”
মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম