ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে তীব্র শীত, ঘন কুয়াশা এবং গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শীতের পাশাপাশি বৃষ্টির কারণে অনেকেই বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না, বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষের জন্য এই পরিস্থিতি চরম দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শীতজনিত রোগও বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং শিশু ও বৃদ্ধরা এই সময়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে শীতের সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি চলতে থাকে। এ অবস্থায় কাঁঠালিয়ার বিভিন্ন এলাকায় জনজীবন কার্যত অচল হয়ে পড়ে। সড়কে তেমন কোনো যানবাহন চলছিল না এবং মানুষ খুব বেশি প্রয়োজন না হলে ঘর থেকে বের হচ্ছিলেন না।
কাঁঠালিয়ার জমাদ্দার হাটের হোটেল ব্যবসায়ী মো. সেলিম ঘরামি জানান, প্রচুর শীত থাকার কারণে এবং গতকাল রাত থেকে বৃষ্টির কারণে বাজারে তেমন মানুষ আসছে না, ফলে তার বেচাকেনা অনেক কমে গেছে।
এদিকে, শ্রমজীবী মানুষও কঠিন পরিস্থিতির শিকার। মো. স্বপন খান, একজন দিনমজুর, বলেন, “বৃষ্টি এবং শীতের কারণে বাজারে লোকজন আসে না। তাই আমি কাজ করতে পারিনি, টাকা রোজগারও করতে পারিনি।”
রিকশাচালক মো. তোকাব হাওলাদার জানান, বৃষ্টির কারণে তিনি আজ কোন আয়-রোজগার করতে পারেননি। তিনি জানান, তার অসুস্থ স্ত্রীর জন্য প্রতিদিন ওষুধ কেনা প্রয়োজন, কিন্তু আজ সে ওষুধ কেনা যাবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান।
এমন পরিস্থিতিতে কাঁঠালিয়া সদর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রের চিকিৎসক সোহাগ মজুমদার জানান, তীব্র শীত এবং বৃষ্টির কারণে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে, বিশেষ করে কাশি ও সর্দি-জ্বরের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে, স্থানীয়রা আশা করছেন, দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে শ্রমজীবী মানুষদের সাহায্য করা হবে এবং শীতজনিত রোগগুলোর প্রতিকার করা হবে।