দেশের বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ে উর্ধ্বগতির লাগাম টানতে রেমিট্যান্স ডলারের দাম সর্বোচ্চ ১২৩ টাকা নির্ধারণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মঙ্গলবার এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
সম্প্রতি আমদানি ব্যয় ও এলসি বিল পরিশোধের চাপ বাড়ার পাশাপাশি বিদেশে ভ্রমণের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে ডলারের চাহিদা বেড়ে গেছে, কিন্তু জোগান তুলনামূলকভাবে কম। এই সুযোগে বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউসগুলো ডলারের দাম ৬ থেকে ৮ টাকা বাড়িয়ে দেয়, যার প্রভাব পড়ে খোলাবাজার ও ব্যাংকিং ব্যবস্থায়।
ব্যাংকগুলো বাধ্য হয়ে রেমিট্যান্সের ডলার ১২৬ থেকে ১২৭ টাকায় কিনতে শুরু করে। এমন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতেই ডলারের সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বর্তমানে রেমিট্যান্সের ডলারের আনুষ্ঠানিক দর ১২০ টাকা। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় ডলারের সর্বোচ্চ মূল্য ১২৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আনুষ্ঠানিক দরের চেয়ে তিন টাকা বেশি।
সম্প্রতি অতিরিক্ত দামে ডলার কেনায় ১৩টি ব্যাংককে ব্যাখ্যা তলব করা হয়। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত দুটি এবং বেসরকারি ১১টি ব্যাংক ছিল। এর পরপরই ডলারের দাম খানিকটা কমতে শুরু করে।
ডলারের উচ্চমূল্য প্রবাসীদের বেশি করে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত করেছে। চলতি মাসের প্রথম ২১ দিনে বৈধপথে দেশে এসেছে প্রায় ২০০ কোটি ৭৩ লাখ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স, যা দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলোকে পুরনো আমদানি দায় পরিশোধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছে। তবে নতুন নির্দেশনার ফলে ব্যাংকগুলো ১২৩ টাকার বেশি দামে ডলার কিনতে পারবে না।