পটুয়াখালীর সাগরকন্যা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত সরকারি ছুটির কারণে বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) থেকে হাজারো পর্যটকের আগমনে জমে উঠেছে। বিশেষ করে বড়দিন এবং সাপ্তাহিক শুক্র-শনির দুই দিনের ছুটিতে পর্যটকরা সমুদ্র সৈকতে আনন্দের মধ্যে সময় কাটাচ্ছেন।
বুধবার সকাল থেকে পর্যটকের আগমন শুরু হয় এবং দিনভর সৈকতের বালিয়াড়িতে নাচ-গান, ঘোড়ার পিঠে চড়া এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেখা গেছে। বিকেল বেলা সৈকতের বেঞ্চিতে বসে অনেকেই সময় কাটাচ্ছিলেন, অপরদিকে সৈকতজুড়ে বাড়তি পর্যটকদের আনাগোনায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে বেচাকেনা বাড়ছে। কুয়াকাটার বেশিরভাগ হোটেল রুমও এই সময়ে বুকিং হয়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা জানান, পর্যটকদের আগমন অব্যাহত থাকলে তারা তাদের গতকালকার লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবেন।
বেঞ্চি ব্যবসায়ী শহিদুল বলেন, “সরকারি ছুটির তিন দিন, বিশেষ করে বৃহস্পতিবারও অটো ছুটি হয়ে গেছে, ফলে পর্যটক সংখ্যা আরো বেড়ে যাবে।”
সাউদবিচের সত্ত্বাধিকারী মো: সোহেল আহম্মেদ জানান, “আমার হোটেলের অধিকাংশ রুমই বুক হয়ে গেছে। এই পর্যটন মৌসুমে যদি এমনভাবে পর্যটক আসেন, তবে লোকসান কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।”
রয়েল প্যারাডাইচ হোটেলের পরিচালক সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন আনু জানান, “প্রতি বছর কুয়াকাটায় পর্যটকদের আগমন বাড়ছে, এবং আজকে আমাদের হোটেলে প্রায় ৬০% রুম বুকিং হয়ে গেছে।”
কুয়াকাটা পৌর প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মো: কৌশিক আহমেদ বলেন, “পৌর-প্রশাসন এবং টুরিস্ট পুলিশ পর্যটকদের সেবায় সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে।”
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পর্যটন সদস্য সচিব মো: রবিউল ইসলাম জানান, “ছুটি এবং বড়দিনকে কেন্দ্র করে উপজেলা প্রশাসন, টুরিস্ট পুলিশ এবং মহিপুর থানা পুলিশ পর্যটকদের নিরাপত্তায় বাড়তি তৎপরতা গ্রহণ করেছে।”