শিরোনাম

কৃষি জমি কমলেও উৎপাদনের রেকর্ড স্থাপন কলাপাড়ায়

Views: 8

উপকূলীয় জনপদ কলাপাড়ায় গত ১৪ বছরে ১৫ হাজার একর কৃষি জমি কমে গেছে। তবে এর প্রভাব পড়েনি ফসল উৎপাদনে। বরং উৎপাদন বেড়ে এখন চাহিদার চেয়ে প্রায় দেড়গুণ বেশি। ২০১০ সালে যেখানে ৩৮ হাজার ১৫০ মেট্রিক টন আমন চাল উৎপাদন হতো, ২০২৩ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৭৯ হাজার এক মেট্রিক টন।

কলাপাড়ার কৃষকরা উচ্চফলনশীল (উফশী) ধান চাষ এবং আধুনিক যান্ত্রিক পদ্ধতির চাষাবাদ গ্রহণ করেছেন। এর ফলে জমি কমলেও ফলনের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। ২০১০ সালে উফশী ধানের আবাদ হতো ২০ হাজার ৩০৩ একর জমিতে, যা ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬ হাজার ৯১১ একরে। ১৪ বছরে আবাদ বেড়েছে ৩৬ হাজার ৬০৮ একর জমি।

সরকারি প্রণোদনা এবং বিনামূল্যে বীজ ও সার সরবরাহ কৃষকদের জন্য আশীর্বাদ হিসেবে কাজ করেছে। কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছর কৃষকদের উন্নত জাতের বীজ সরবরাহ এবং আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার উৎসাহিত করা হয়। এছাড়া লোনা পানি ঠেকাতে বাঁধ নির্মাণের জন্য কৃষকরা সরকারি উদ্যোগের দাবি জানিয়েছেন।

পর্যটন ও শিল্পসমৃদ্ধ কলাপাড়ায় জমির পরিমাণ কমলেও শাক-সবজির উৎপাদন বাড়াতে কৃষকেরা ঘরের আঙিনাও ব্যবহার করছেন। তবে লোনা পানির প্রবেশ ঠেকাতে স্লুইস গেট স্থাপন ও সেচব্যবস্থার উন্নয়ন জরুরি।

২০২২ সালের জনশুমারি অনুযায়ী কলাপাড়ার জনসংখ্যা দুই লাখ ৮৬ হাজার ৯৮৮ জন। এর বার্ষিক খাদ্যচাহিদা ৫৬ হাজার ৫৬৫ মেট্রিক টন। কিন্তু উৎপাদন হয়েছে ৭৯ হাজার এক মেট্রিক টন, যা চাহিদার চেয়ে ২২ হাজার ৪৩৬ মেট্রিক টন বেশি।

কুমিরমারা গ্রামের প্রবীণ কৃষক সুলতান গাজীর মতে, উফশী জাতের ২৩ এবং ৫১ ধানের চাষাবাদে একরপ্রতি ৬০-৭০ মণ ফলন পাচ্ছেন। যেখানে আগে একরপ্রতি ১৫ মণ ফসল উৎপাদন হতো। ফলে কৃষি জমি কমলেও উৎপাদনের ধারা অব্যাহত রয়েছে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *