পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার সদর ইউনিয়নের মুরাদনগর, ইটাবাড়িয়া, কালিকাপুর ও বোলালিয়া গ্রাম দীর্ঘদিন ধরে আলু চাষের জন্য পরিচিত। এই এলাকায় প্রায় তিন হাজার কৃষক আলু চাষের সঙ্গে জড়িত। এ বছর তারা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আলু আবাদ করেছেন এবং লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।
গলাচিপা উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, এ বছর ৩৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, কিন্তু এখন পর্যন্ত ৩৫৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। আরো এক সপ্তাহ চাষ চলবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
দক্ষিণ কালিকাপুর গ্রামের আলুচাষি নাসির উদ্দিন গাজী জানান, এক বিঘা জমিতে আলু চাষ করতে প্রায় ৩৩০ কেজি বীজ প্রয়োজন হয়, যা থেকে প্রায় তিন হাজার ৯৬০ কেজি আলু উৎপাদন হয়। ডায়মন্ড, এস্টারিক্স ও কার্ডিনাল এই অঞ্চলের জনপ্রিয় আলুর জাত। তবে, লেট ব্লাইট রোগ চাষিদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়, যা ঘন কুয়াশা, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও তাপমাত্রার ওঠানামার কারণে দেখা দেয়।
মিজানুর রহমান নামে আরেক কৃষক জানান, বছরের শুরুতে কিছুটা বৈরী আবহাওয়ার কারণে চারা বৃদ্ধিতে সমস্যা হয়েছিল। তবে এখন সব ঠিক থাকলে ৭৫ দিনের মধ্যে আলু বিক্রি করা সম্ভব হবে।
মুরাদনগর গ্রামের মিলন মিয়া বলেন, রোগবালাই থেকে রক্ষা পেলে ফসল ভালো হবে। বৈরী আবহাওয়ায় ছত্রাকনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেন কৃষি কর্মকর্তারা।
গলাচিপার অতিরিক্ত কৃষি অফিসার মো. আক্রামুজ্জামান জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে ম্যানকোজেব, মেটালেক্সিল ও ডাইমেথোমরফ গ্রুপের ছত্রাকনাশক ৭-১০ দিন পরপর স্প্রে করলে ফসল ভালো থাকবে। এ বছর বীজ ও সারের সংকট না থাকায় চাষিরা লাভবান হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।