বরিশাল অফিস: জেলার গৌরনদী উপজেলার টরকীর নবীনগর এলাকার রায় বাড়ির একটি পরিত্যক্ত বাথরুমের মধ্য থেকে প্লাস্টিকের বস্তা ভর্তি ২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার বিকেল পাঁচটার দিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের গোয়েন্দা শাখার একটি টিম অভিযান চালিয়ে গাঁজা উদ্ধার করেছে।
এসময় গাঁজার আমদানিকারক বানারীপাড়া উপজেলার চিহ্নিত মাদক সম্রাট মোঃ সোহেল ওরফে ল্যাংরা সোহেল প্রাইভেটকারযোগে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। এ ঘটনায় গৌরনদী মডেল থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের গোয়েন্দা শাখার সহকারি পরিচালক মোঃ এনায়েত হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সূত্রমতে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা শাখার কর্মকর্তারা বুধবার সকাল থেকে গৌরনদীর ভূরঘাটা এলাকায় ওৎপেতে থাকে। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ঢাকা থেকে বানারীপাড়াগামী একটি সাদা রংয়ের প্রাইভেটকারকে অভিযানিকদল থামানোর চেষ্টা করলেও বেপরোয়াগতিতে প্রাইভেটকারটি ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। একপর্যায়ে প্রাইভেটকার থেকে মহাসড়কের পাশ্ববর্তী টরকীর নবীনগর এলাকার রায় বাড়ির একটি পরিত্যক্ত বাথরুমের মধ্যে বস্তা ভর্তি গাঁজা রেখে আমদানিকারক ও তার সহযোগিরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে অভিযানিকদল দীর্ঘক্ষন খোঁজাখুজি করে বাথরুমের মধ্য থেকে প্লাস্টিকের বস্তাভর্তি ২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বানারীপাড়া উপজেলার চিহ্নিত মাদক সম্রাট মোঃ সোহেল ওরফে ল্যাংরা সোহেল প্রাইভেটকারযোগে এসব মাদকদ্রব্য আমদানি করছিলেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিত্বে তারা অভিযান চালিয়ে বস্তার মধ্য থেকে ১০টি পোটলায় ২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও আমদানিকারক সোহেল ও তার সহযোগিরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গৌরনদী মডেল থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।