কানাডার প্রায় এক দশক ধরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা জাস্টিন ট্রুডো পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। ২০১৫ সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়া ট্রুডো, তার দল লিবারেল পার্টির নেতা নির্বাচিত হয়েছিলেন ২০১৩ সালে। তার পদত্যাগের ঘোষণায় কানাডার রাজনৈতিক মহলে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
কানাডার ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবার ‘ট্রুডো পরিবার’ থেকে উঠে আসা জাস্টিন ট্রুডো তার বাবার পথ অনুসরণ করে জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন এবং দীর্ঘ সময় ধরে দেশের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তবে, তার বিদায়টা রাজসিক হয়নি। লিবারেল পার্টির অভ্যন্তরীণ চাপ ও বিরোধীদের অনাস্থা ভোটের হুমকির মুখে তাকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
৫৪ বছর বয়সী ট্রুডো, সোমবার (৬ জানুয়ারি) তার পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তবে, লিবারেল পার্টির নতুন নেতা নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার দায়িত্ব পালন অব্যাহত থাকবে।
পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার সময় তিনি জানান, আগামী জাতীয় নির্বাচনে কানাডা এক নতুন, যোগ্য নেতা বেছে নেবে। এ সময়, তিনি ২৪ মার্চ পর্যন্ত পার্লামেন্ট স্থগিত রাখার ঘোষণা দেন, যাতে বিরোধীরা ভোটাভুটির আয়োজন করতে না পারে। যদিও, বিরোধীরা লিবারেল পার্টিকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য অনাস্থা ভোটের হুমকি দিয়েছে।
ট্রুডোর পদত্যাগের পর, লিবারেল পার্টির নতুন নেতা হিসেবে সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা মার্ক কার্নির নাম শোনা যাচ্ছে। তবে, ধারণা করা হচ্ছে ফ্রিল্যান্ডের প্রতি ট্রুডোর সমর্থন বেশি।
কানাডার বিরোধী দল, নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা জগমিত সিং, ট্রুডোর পদত্যাগের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এটি শেষ কথা নয়। তিনি দাবি করেন, সমস্যার মূল শুধু ট্রুডো নয়, বরং পুরো লিবারেল পার্টি এবং তার মন্ত্রীরা দায়ী।
এদিকে, কানাডার কনজারভেটিভ পার্টির নেতা পিয়েরে পোলিভর ট্রুডোর পদত্যাগকে বড় অর্জন হিসেবে দেখছেন না। তিনি বলেছেন, লিবারেল পার্টি এবং তাদের নেতারা দীর্ঘ সময় ধরে ট্রুডোর সমর্থক ছিল এবং তাদের পরিবর্তন কিছুই আনবে না।
এমনকি, যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও পোলিভরের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন, তিনি বলেছেন, পোলিভর ক্ষমতায় এলে একসঙ্গে কাজ করা যাবে।
মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম