শিরোনাম

ঘরে ঘরে জ্বর, কীভাবে সাবধান থাকবেন : চিকিৎসকদের পরামর্শ

Views: 124

চন্দ্রদীপ ডেস্ক : একে তো অদ্ভুত আবহাওয়া। সকালে বৃষ্টি তো দুপুরে ভ্যাপসা গরম। তার উপর আবার ডেঙ্গু ম্যালেরিয়ার দাপট। ফলে প্রায় সব ঘরে কেউ না কেউ জ্বরে ভুগছে৷ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল একজন আক্রান্ত হলে গোটা পরিবারের সকলেই একে-একে জ্বরের কবলে পড়ছেন।

কিন্তু প্রশ্ন হল এই জ্বরটা আসলে কোন জ্বর,  সাধারণ মানুষতো বটেই যেন-তেন চিকিৎসকদেরও বুঝতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।  রক্ত পরীক্ষা ছাড়া উপায় থাকছে না। তাই তাঁদের পরামর্শ, প্যারাসিটামল ছাড়া জ্বরের জন্য অন্য কোনও ওষুধ খেয়ে বিপদ না-বাড়ানোই ভাল৷ প্যারাসিটামলে জ্বর না কমলে জলপট্টি, মাথা ধোয়া, গা মুছিয়ে দেওয়ার মতো চিরকালীন টোটকায় ভরসা রাখার পাশাপাশি অবিলম্বে ডাক্তার দেখানোর কথাও বলছেন তাঁরা।

তবু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাঁদের অভিজ্ঞতাকে সম্বল করে কিছু বিষয় তুলে ধরেছেন। এগুলো পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো:

ফ্লু-র লক্ষণ: সর্দি-কাশি-জ্বর অথবা জ্বর-জ্বর ভাব, পেশিতে ব্যথা, সঙ্গে মাথাব্যথা বা মাথা ভারী থাকা
গলা খুশখুশ, নাক বন্ধ, নাক দিয়ে কাঁচা জল, চোখ জ্বালা, স্বাদহীনতা, সাধারণ জ্বরের স্থায়িত্ব বাড়ছে, তাপমাত্রা নামার প্রক্রিয়াও মন্থর। ১০৪ ডিগ্রি পর্যন্ত জ্বরও উঠে যাচ্ছে, প্যারাসিটামলেও ৯৯-এর নিচে নামছে না।

ডেঙ্গুর লক্ষণ: অন্তত ৩-৫ দিন টানা জ্বর থাকে, সহজে কমতে চায় না। মাথা ও চোখের চারপাশ-সহ শরীরে মারাত্মক ব্যথা (মূলত গাঁটে)। দুর্ববলতার পাশাপাশি ত্বকে র‍্যাশ, বমি, ডায়েরিয়া হতে পারে । সর্দি-কাশি-হাঁচি থাকে না। হেমারেজিক ডেঙ্গুতে মাড়ি ও নাক থেকে রক্তপাত। বমি, প্রস্রাব ও মলের সঙ্গেও রক্ত বেরোতে পারে। জ্বর আসার ৫ দিন পর পর্যন্ত এনএস-১ এলাইজা টেস্ট এবং ৫ দিন পেরিয়ে গেলে ডেঙ্গির আইজিএম পরীক্ষা করালে ধরা পড়ে ডেঙ্গু।

ম্যালেরিয়ার লক্ষণ: আচমকা কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে
মাথা ও গাঁটে ব্যথা, বমি, দুর্বলতার মতো উপসর্গও দেখা যায়। বাড়াবাড়ি হলে খিঁচুনিও হয়। ম্যালেরিয়ার ডুয়াল কিট (ভাইভ্যাক্স ও ফ্যালসিপেরাম) অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় জ্বরের ২-৩ দিনের মাথাতেই সংক্রমণ চিহ্নিতকরণ সম্ভব।

চিকুনগুনিয়ার লক্ষণ: ২-৫ দিন জ্বর, দুর্বলতা, গা-বমি ভাব, কনজাংটিভাইটিস, স্বাদহীনতা। হাড়ে ও গাঁটে মারাত্মক যন্ত্রণা। ৪-৫ দিন পরে চিকুনগুনিয়ার আইজিএম অ্যান্টিবডি টেস্টে ধরা পড়ে।

টাইফয়েডের চিহ্ন: ৫-১৪ দিন ধুম জ্বর, জ্বরটা ওঠে ১০৩-১০৬ ডিগ্রি পর্যন্ত, নামে ধীরে, এবং তাপমাত্রা পাল্লা দিয়ে বাড়ে। পেটে ও মাথায় ব্যথা, পেটের গোলমাল, গা গুলানো ও বমি। জ্বরের অন্তত পাঁচ দিন পরে ‘ওয়াইডাল টেস্ট’ করলে ধরা পড়ে।

কী করণীয়: প্রচুর পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম। প্যারাসিটামল ছাড়া জ্বর বা ব্যথার অন্য কোনও ওষুধ নয়।চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিভাইরাল (অ্যাসাইক্লোভির জাতীয়) ওষুধ নয়।

কী বর্জনীয়: অ্যাসপিরিন বা আইবুপ্রোফেনের মতো ওষুধ। অসুস্থতা উপেক্ষা করে কায়িক পরিশ্রম
বিড়ি সিগারেট ও তামাক জাতীয় নেশা, মদ্যপান বন্ধ রাখতেই হবে।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *