বরগুনা বিসিক শিল্পনগরী প্রকল্পের প্লট বরাদ্দ নিতে উদ্যোক্তাদের আগ্রহ কমে যাওয়ায় ৬০টি প্লটের মধ্যে ৪০টি এখনও বরাদ্দ হয়নি। উচ্চমূল্য এবং প্রশাসনিক জটিলতার কারণে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের অনেকেই এই প্লট নিতে আগ্রহী হচ্ছেন না। চার বছর আগে প্রকল্পের কাজ শেষ হলেও, এখনো অধিকাংশ প্লট বরাদ্দের বাইরে রয়েছে।
বিসিক শিল্পনগরী প্রকল্পের খরচ বাড়ানো এবং প্লটের দাম কমানো হলে বরগুনার বিসিক কর্মকর্তা মিলটন চন্দ্র বৈরাগী আশাবাদী যে, চলতি বছরের মধ্যে সব প্লট বরাদ্দ হয়ে যাবে। ২০১১ সালে ৭ কোটি ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি অনুমোদন পায় এবং ২০২০ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়।
প্রাথমিকভাবে প্লটের দাম ছিল প্রতি শতাংশ ৩ লাখ ২ হাজার টাকা, যা পরবর্তীতে কমিয়ে ২ লাখ টাকা করা হয়েছে। তবুও, প্রকল্পের চার বছরে মাত্র ২০টি প্লট বরাদ্দ হয়েছে, বাকি প্লটগুলো এখনও বরাদ্দের অপেক্ষায় রয়েছে। অনেক উদ্যোক্তা প্লটের দাম ও জমি পাওয়ার জটিলতার কারণে আগ্রহ হারিয়েছেন।
এক নারী উদ্যোক্তা, আসমা আক্তার সিতু বলেন, “বিসিক শিল্পনগরীতে প্লটের বরাদ্দের ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা রয়েছে, যা আমাদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করছে। আমরা ছোট উদ্যোক্তা, ভবিষ্যতে কারখানা বা অন্য ব্যবসার জন্য প্লট নিতে আগ্রহী, তবে নানা জটিলতার কারণে এটি সম্ভব হচ্ছে না।”
অন্য একজন উদ্যোক্তা, আব্দুর রহিম বলেন, “প্লটের দাম খুব বেশি, আমার মতো সাধারণ উদ্যোক্তার পক্ষে সেই দাম পরিশোধ করা সম্ভব নয়।”
বরগুনার বিসিক শিল্পনগরী কর্মকর্তা মিলটন চন্দ্র বৈরাগী জানান, “দ্বিতীয় দফায় দাম কমানো হয়েছে এবং এখন প্লট বরাদ্দের প্রক্রিয়া চলছে। আমরা আশা করছি, চলতি বছরেই সব প্লট বরাদ্দ হয়ে যাবে এবং শিল্পকারখানা চালু হবে।”
মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম