বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম দাবি করেছেন, জনগণ ২৪-এর অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রে সবার আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচার নিশ্চিত করতে চায়।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকালে ভোলা শহরে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের সমর্থনে লিফলেট বিতরণ ও পথসভায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
সারজিস আলম বলেন,“শেখ হাসিনার সরকার যে স্বৈরাচারী ও রক্তে জড়িত, তার প্রমাণ বাংলার জনগণ পেয়েছে। ঘোষণাপত্রে জনগণ এই সরকারে থাকা খুনিদের বিচার চায়। ৭ দফা দাবিকে যৌক্তিক বলে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সমর্থন পেয়েছি।”
তিনি আরও বলেন,“গোপালগঞ্জের সিন্ডিকেট বসিয়ে জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল শেখ হাসিনার সরকার। জনগণ সেই সিন্ডিকেটকে ধ্বংস করে সমতার একটি বাংলাদেশ গড়তে চায়। সেই লক্ষ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জনতা ঐক্যবদ্ধ।”
ভোলার বাংলা স্কুল মোড়, সদর রোড এবং নতুন বাজার এলাকায় আন্দোলনের দাবির সমর্থনে লিফলেট বিতরণ করেন সারজিস আলম। পরে সরকারি স্কুল সংলগ্ন ইলিশা ফোয়ারা মোড়ে পথসভায় বক্তৃতা দেন তিনি।
সভায় আন্দোলনের ৭ দফা দাবির মধ্যে উঠে আসে: গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। আহতদের সরকারি খরচে চিকিৎসা। শেখ হাসিনা ও দোসরদের বিচার নিশ্চিত করা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বের স্বীকৃতি।
সারজিস আলম বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শহীদ জসিম উদ্দিনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি তাদের সহানুভূতি জানিয়ে শহীদ জসিমের কবরও জিয়ারত করেন।
কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, সমন্বয়ক রাসেল মাহমুদ, এম এ সাঈদ, কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফুর রহমান তুহিন, আব্দুল্লাহ আল-মামুন ফয়সালসহ শত শত শিক্ষার্থী ও জনতা।
প্রসঙ্গত: সারজিস আলমের দাবি করা ৭ দফা দাবি বাস্তবায়নে দেশব্যাপী গণসংযোগ চালানোর ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।