শিরোনাম

দেশে প্রথম রিওভাইরাস শনাক্ত, কি জানা উচিত

Views: 4

দেশে প্রথমবারের মতো রিওভাইরাস (রেসপিরেটরি এন্টারিক অরফান ভাইরাস) শনাক্ত হয়েছে। ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলোজি ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ (আইইডিসিআর) পাঁচ জনের শরীরে এই ভাইরাসটি চিহ্নিত করেছে। রিওভাইরাস মূলত হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে ছড়ায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতকালে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব বেড়ে যায়।

বিশ্বে প্রথম রিওভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল ১৯৫০ সালে। এই ভাইরাসটি সাধারণত অন্ত্রের সংক্রমণ সৃষ্টি করে এবং পানির মাধ্যমে ছড়াতে পারে। শিশুদের ডায়রিয়া এবং জ্বরের কারণও হতে পারে রিওভাইরাস। ভাইরাসটি শরীরে প্রবেশের ৩-৬ দিনের মধ্যে উপসর্গ দেখা দেয়, তবে এটি তুলনামূলকভাবে কম ভয়াবহ এবং সাধারণত সহজেই চিকিৎসা করা যায়।

রিওভাইরাসের লক্ষণ:

ডায়রিয়া: পানি জাতীয় পাতলা মল, যা শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।

জ্বর: শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়।

বমি: খাবার খাওয়ার পর বমি হতে পারে।

পেটে ব্যথা: অন্ত্রের অস্বস্তি বা পেটের ব্যথা।

শক্তি কমে যাওয়া: শরীর দুর্বল বা ক্লান্ত অনুভূত হতে পারে।

এ ভাইরাস সাধারণত মারাত্মক নয়, তবে এটি গুরুতর ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে। সঠিক চিকিৎসা না পেলে এটি জীবনহানির কারণ হতে পারে, তবে যথাসময়ে চিকিৎসা নিলে এটি সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য। কিছু ক্ষেত্রে ভাইরাসটি নিউমোনিয়া বা মস্তিষ্কের প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে।

প্রতিরোধের উপায়: রিওভাইরাসের প্রতিরোধের জন্য টিকা (রিওভাইরাস ভ্যাকসিন) রয়েছে, যা শিশুদের জন্য দেওয়া যেতে পারে। এছাড়া, হাত ধোয়া, পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং খাবারের সুরক্ষা নিশ্চিত করা ভাইরাসের সংক্রমণ কমাতে সহায়ক।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 

 

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *