বরগুনার আমতলী অঞ্চলে মুক্ত মৌমাছির সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে কমে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশগত সমস্যাগুলি, এবং মানুষের অসচেতনতার কারণে মৌমাছিরা একে একে হারিয়ে যাচ্ছে। ফসলে কীটনাশকের অতিমাত্রায় প্রয়োগ, মৌচাকে আগুন দিয়ে মৌমাছি মারা, খাদ্যের অভাবসহ নানা কারণে মুক্ত মৌমাছির অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। বরগুনার গ্রামীণ অঞ্চলে, বিশেষ করে আমতলীতে, প্রকৃতির মধ্যে থাকা মৌচাক আজ দুর্লভ হয়ে উঠেছে।
বরিশাল অঞ্চলের শস্যভান্ডার হিসেবে পরিচিত বরগুনার আমতলীতে, এক সময় মৌমাছির ভোঁ ভোঁ শব্দ শোনা যেত। কিন্তু কালের বিবর্তনে তা এখন আর শোনা যায় না। স্থানীয়দের মতে, জলবায়ু পরিবর্তন এবং আবহাওয়ার অস্বাভাবিক আচরণ মিলে মুক্ত মৌমাছির প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে। মৌমাছির খাদ্যও এখন অনেক কমে গেছে, যার ফলে প্রাকৃতিক মৌচাকও প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, মুক্ত মৌমাছির সংখ্যা হ্রাস পাওয়ায়, ফসল ও ফলফলাদির পরাগায়ণ মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এতে কৃষিতে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে এবং খাদ্য উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার মো. ঈসা ইকবাল বলেন, “মধুর মধ্যে প্রচুর পুষ্টি ও খাদ্যগুণ রয়েছে। মধু দুধ বা পানি দিয়ে মিশ্রণ করে খেলে হারানো শক্তি ফিরে পাওয়া যায়। তাছাড়া মধু বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।”
এছাড়া, মধু সংগ্রহকারী মৌয়াল ও মৌচাষিরা জানাচ্ছেন, অতীতে বনে-জঙ্গলে, গাছের ডালে, মাটির গর্তে মৌচাক পাওয়া যেত। কিন্তু বর্তমানে এসব জায়গায় আর মৌচাক খুঁজে পাওয়া যায় না।
মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম