বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় ১০ বছর ধরে প্রতিদিন নিয়মিতভাবে শতাধিক পাখিকে খাবার খাওয়াচ্ছেন বিপুল দাস (৪৫), যিনি বাপ্পি মিষ্টান্ন ভান্ডারের হোটেল কর্মচারী। প্রতিদিন সকালে দোকানে বেঁচে থাকা খাবার যেমন পুরি, সিঙ্গারা, রুটি ও মিশ্রিত খাবার দিয়ে পাখিদের খাওয়ানোর জন্য প্রস্তুত থাকেন। তার এই অসামান্য ভালোবাসা দেখতে স্থানীয়রা নিয়মিত আসেন।
বিপুল দাস বাকেরগঞ্জ পৌর শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডে বসবাস করেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল ৬:৩০ মিনিটে দোকানের সামনে কোনো পাখির উপস্থিতি নেই। কিন্তু দোকান খোলার পর মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি উড়ে এসে দোকানের সামনে রাস্তার উপরে বসে। তখন তিনি বুঝতে পারেন, পাখিদের খাবার দেওয়ার সময় হয়েছে। দোকানে থাকা পুরি, সিঙ্গারা, পাউরুটি ও মিশ্রিত খাবার নিয়ে তিনি রাস্তার উপর খাবার ছিটিয়ে দেন। ১০ মিনিটের মধ্যে পাখিরা খাবার খেয়ে উড়ে চলে যায়।
বিপুল দাস জানান, “আমি ১৫ বছর ধরে বাপ্পি মিষ্টান্ন ভান্ডারে কাজ করি। প্রায় ১০ বছর আগে দোকানে বসে রুটি খাচ্ছিলাম। হঠাৎ দুটি কাক এসে রুটির কিছু অংশ মাটিতে ফেলে দেয় এবং খাবার খেয়ে চলে যায়। পরের দিন আমি দোকান খুলতেই আবার ঝাঁক ঝাঁক পাখি চলে আসে। তখন থেকেই আমি নিয়মিত তাদের খাবার দিয়ে আসছি।”
তিনি আরও বলেন, “প্রতিদিন শতাধিক পাখিকে খাবার দিতে হয়। দোকানে থেকে বেঁচে থাকা খাবার ছিটিয়ে দিলে দোয়েল, কাঠঠোঁকড়া, সারস, বুলবুলি এবং অন্যান্য পাখিরা এসে খাবার খায়। এখন তাদের প্রতি এমন ভালোবাসা আর সেবা আমি বাকিটা জীবন অব্যাহত রাখতে চাই।”
বিপুল দাসের দাবি, “খাবার দিতে একটু দেরি হলে পাখিদের শোরগোল আরও বেড়ে যায়, আর যদি দ্রুত খাবার দেওয়া হয়, তবে খাবার শেষ হলে তারা দ্রুত উড়ে চলে যায়।”
মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম