ঝালকাঠির বাসন্ডা নদীর ওপর নির্মিত মাত্র সাত টনের ওজন ধারণক্ষম সেতুটির ওপর দিয়ে নিয়মিত চলাচল করছে ৭০ থেকে ৮০ টনের ভারী যানবাহন। সেতুটির দুর্বল অবস্থা যেকোনো সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে বলে সতর্ক করেছে সড়ক বিভাগ।
সড়ক বিভাগ জানায়, বরিশাল থেকে ঝালকাঠি হয়ে পিরোজপুর পর্যন্ত মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার প্রস্তাব দেওয়া হলেও তা এখনো আলোর মুখ দেখেনি। ফলে সরু ও নড়বড়ে সেতুটি দক্ষিণাঞ্চল থেকে খুলনা ও ঢাকার যাতায়াতের অন্যতম প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অতিরিক্ত ওজনের ভারী যানবাহনের কারণে সেতুর স্থায়িত্ব নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা।
বাসন্ডা সেতু এলাকার বাসিন্দারা জানান, ভারী যান চলাচলের সময় সেতুটি দুলে ওঠে এবং মাঝের প্লেট দেবে যায়। কখনো কখনো জোড়াতালি দেওয়া প্লেট ছুটে যায়। তারা দ্রুত চার লেনের নতুন সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
ট্রাকচালক সাদ্দাম হোসেন জানান, ঝুঁকি জেনেও তিনি সাত টনের সেতুর ওপর দিয়ে ২০ টন মালবোঝাই ট্রাক নিয়ে চলাচল করেন। খুলনা থেকে গৌরনদী হয়ে আসতে বেশি দূরত্ব পার হওয়ার চেয়ে এই সরাসরি পথটি কম খরচ সাপেক্ষ।
সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহারীয়ার শরীফ খান জানান, নতুন আরসিসি সেতু নির্মাণের নকশা জমা দেওয়া হয়েছে এবং ভূমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। তবে কাজ শুরুর সময়সীমা অনিশ্চিত। এদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অতিরিক্ত ওজনের যান নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে সুপারিশ করা হয়েছে।
বাসন্ডা সেতুর পরিবর্তে নতুন সেতু নির্মাণ এবং মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীত করার দাবি করছেন এলাকাবাসী। এটি বাস্তবায়িত হলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমার পাশাপাশি ঢাকা, খুলনা ও দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ আরো সহজ হবে।
মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম