শিরোনাম

সংস্কার কমিশনের সুপারিশ: ৪০ শতাংশ ভোট না পড়লে পুনর্নির্বাচন, ‘না-ভোটে’ চালু করার প্রস্তাব

Views: 9

নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করেছে। এই সুপারিশগুলো জাতীয় নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণ এবং নির্বাচন ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ করতে সহায়ক হতে পারে। কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, যদি কোনো আসনে ৪০ শতাংশ ভোট না পড়ে, তবে সেখানে পুনর্নির্বাচনের আয়োজন করা হবে। এছাড়া, ‘না-ভোট’ চালু করার এবং ভোটের মাধ্যমে বিজয়ী না হওয়ার ক্ষেত্রে নির্বাচন বাতিলের প্রস্তাবও করা হয়েছে।

কমিশন তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে, এবং এসব সুপারিশের মধ্যে রয়েছে ইভিএম ব্যবহার বন্ধ করার এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে সৎ ও যোগ্য প্রার্থী দেওয়ার লক্ষ্যে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তাবও।

কমিশনের সুপারিশের মূল দিকগুলো:

1. নির্বাচনী ব্যবস্থা:
– ইভিএম ব্যবহারের বিধান বাতিল করার প্রস্তাব।
– নির্বাচনে ‘না-ভোটে’ বিধান প্রবর্তন, যেখানে ভোটাররা যদি কোনো প্রার্থীকে ভোট না দেন, তবে সেই নির্বাচন বাতিল হবে।
– ৪০ শতাংশ ভোট না পড়লে পুনর্নির্বাচন করা হবে এবং কোনো প্রার্থী যদি সেই নির্বাচনে বিজয়ী না হন, তবে পরবর্তী নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হতে পারবেন না।

2. মনোনয়নপত্র ও প্রার্থী নির্বাচন:
– প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় দলের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক হলফনামা জমা দেওয়ার বিধান।
– নির্বাচন কমিশনকে প্রার্থীর হলফনামা যাচাই-বাছাই করার ক্ষমতা দেওয়া, যাতে মিথ্যা তথ্য দিলে তার নির্বাচন বাতিল করা যায়।

3. নির্বাচনী ব্যয়:
– নির্বাচনী ব্যয় সংসদীয় আসনের ভোটারের প্রতি ১০ টাকা নির্ধারণ করা।
– নির্বাচনী ব্যয় ব্যাংকিং বা আর্থিক প্রযুক্তি মাধ্যমে পরিচালনা করার প্রস্তাব।

4. নির্বাচন পর্যবেক্ষণ:
– নির্বাচনের সময় নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ এবং তাদের নির্বাচন কেন্দ্র পরিদর্শন করার অনুমতি দেওয়ার সুপারিশ।
– গণমাধ্যমকে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের অনুমতি এবং অনিয়মের চিত্র ধারণের সুযোগ দেওয়া।

5. আচরণবিধি
– নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যানার, তোরণ ও পোস্টারের পরিবর্তে লিফলেট, পত্রিকা বিজ্ঞাপন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণার বিধান।

এই সুপারিশগুলো মূলত নির্বাচন ব্যবস্থাকে আরও গতিশীল ও গ্রহণযোগ্য করতে এবং ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রণয়ন করা হয়েছে। কমিশন আশা করে, এর মাধ্যমে নির্বাচনে স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ সৃষ্টি হবে।

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *