মো: আল-আমিন (পটুয়াখালী): জেলার দুমকী উপজেলায় এক গৃহবধূকে যৌন হয়রানি এর প্রতিবাদ করায় ফলে আ. কাইয়ুম হাওলাদার (৪০) নামে এক যুবককে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে রিপন হাওলাদার নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার বাহেরচর গ্রামের লঞ্চ ঘাটে মতিউর রহমান গাজীর মুদি দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত রিপনকে (৪৫) আসামি করে বৃহস্পতিবার দুমকী থানায় মামলা দায়ের করেছেন আহতের স্ত্রী সালমা বেগম।
রিপন উপজেলার বাহেরচর এলাকার মৃত মো. কাদের হাওলাদারের ছেলে।
মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রাবেয়া জাহানারা মাদ্রাসা ও এতিমখানার এক ছাত্রের মায়ের মোবাইল ফোনে ভিডিও কল দিয়ে প্রায়ই যৌন হয়রানি করেন রিপন হাওলাদার। যৌন হয়রানির শিকার ওই ছাত্রের মা রিপনের দোকানে এসে ভবিষ্যতে তাকে আর বিরক্ত না করার জন্য বলেন। এতে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
এ সময় স্থানীয় যুবক আ. কাইয়ুম হাওলাদার রিপনের স্বভাব-চরিত্র ভালো নয়– এমন মন্তব্য করেন। রিপন এ কথা শুনতে পেয়ে নিজের দোকানে থাকা রামদা দিয়ে কাইয়ুমকে কোপ দিলে হাত দিয়ে ঠেকাতে গিয়ে কাইয়ুমের চারটি আঙুল কেটে যায়। স্থানীয়রা কাইয়ুমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
যৌন হয়রানির শিকার ওই গৃহবধূ জানান, রিপনের মোবাইল নম্বর ব্লক করে দেওয়ার পরও তিনি ইমোতে ভিডিও কল দিয়ে তাঁকে বিরক্ত করেন। তিনি রিপনের কল না ধরায় ক্ষিপ্ত হয়ে রিপন গ্রামে তাঁর নামে কুরুচিপূর্ণ কথা ছড়ান। এসব কথাবার্তা তাঁর স্বামী জানার পর তাদের সংসারে অশান্তি নেমে আসে। তিনি রিপনের দোকানে গিয়ে ভবিষ্যতে কল না করার জন্য বলেন এবং স্থানীয় লোকজনের কাছে বিচার দেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মুদি দোকানি মতিউর রহমান গাজী, জিয়াউর রহমান, স্থানীয় বাসিন্দা কাওসার ও মো. আশিক জানান, রিপন দোকান থেকে রামদা বের করে কাইয়ুমকে তাদের সামনেই কুপিয়ে জখম করেন। তারা রিপনের বিচার দাবি করেন।
অভিযুক্ত রিপন হাওলাদার আত্মগোপনে থাকায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
দুমকী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান জানান, আসামিকে গ্রেপ্তারে তৎপর রয়েছে পুলিশ।