যেখানে নুসরাতের পরনে ছিল সাদা শাড়ি, মাথায় ঘোমটা। গলায় সোনার গয়না ও হাতে একটি লাল গোলাপ। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘তার বিয়ের সময়ে।’ লুকটি প্রকাশ্যে আসতেই ভক্তদের প্রশংসায় ভাসছেন অভিনেত্রী।
দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করবেন ফারিয়া, সেটি জানতেন শেখ হাসিনা। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও নাকি কথা হয়েছিল নায়িকার। কি বলেছেন তাকে সরকারপ্রধান?
ফারিয়া হেসে বললেন, ‘উনি আমাকে আত্মবিশ্বাসী থাকতে বলেছেন। আরও বলেছেন, আমার মতো করেই চরিত্রটাকে ফুটিয়ে তুলতে’।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকালে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে ছবিটির বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। যেখানে হাজির হয়ে ‘মুজিব’ উপভোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একেবারে ছোটবেলা থেকে বেড়ে ওঠা এবং এই দেশের স্বাধীনতা অর্জন; এর ওপর ভিত্তি করে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করা হয়েছে। যেহেতু এটা জীবনীভিত্তিক, এখানে ইতিহাসের অনেক অজানা তথ্য আমরা জানতে পারবো। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের যারা ছবিটির সঙ্গে যুক্ত, সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। বিশেষ ধন্যবাদ শ্যাম বেনেগালকে, তিনি ছবিটি পরিচালনা করেছেন। আজকে তিনি উপস্থিত থাকলে খুব খুশি হতাম। কিন্তু অসুস্থতার কারণে তিনি আসতে পারেননি।’
দেশবাসীর প্রতি ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ দেখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘এই ছবিতে ইতিহাসের অনেক অজানা তথ্য জানতে পারবেন। বঙ্গবন্ধু ও তার জীবন সম্পর্কে; সবচেয়ে বড় কথা আমার মা, দাদা-দাদিসহ পরিবারের কথা জানতে পারবেন।’
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত এ সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন ভারতের খ্যাতিমান পরিচালক শ্যাম বেনেগাল। সিনেমায় বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ, শেখ হাসিনার একটি চরিত্রে চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া ও বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন্নেছার বড়বেলার চরিত্রে অভিনয় করছেন নুসরাত ইমরোজ তিশাসহ শতাধিক অভিনেতা কাজ করছেন সিনেমাটিতে।