চন্দ্রদীপ ডেস্ক : চেন্নাইয়ের চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামে শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) শুরু থেকেই কিউই ব্যাটারদের কঠিন পরীক্ষা নিতে শুরু করেন মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম। দলীয় তৃতীয় ওভারে দুটি বাউন্ডারি হজম করে উইকেট তুলে নেন ফিজ। তার হালকা বাউন্সি বলে খোঁচা মেরে আউট হন রাচিন রবীন্দ্র। একের পর এক ডট আদায় করে এরপর কিউইদের আরও চাপে ফেলেন ফিজ-শরিফুল।
ফিজের চতুর্থ ওভারে উইকেট পেতে পারত বাংলাদেশ। একটুর জন্য ডেভন কনওয়ের ক্যাচ মিস করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তা সত্ত্বেও পাওয়ার-প্লেটা ভালোভাবে শেষ করে সাকিব বাহিনী। প্রথম ১০ ওভারে কিউইরা করে ৩৭ রান।
পাওয়ার-প্লে শেষে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেন কনওয়ে-উইলিয়ামসনরা। সাকিবের বলে প্রথমজন আউট হওয়ার আগে তাদের জুটি হয় ৮০ রানের। সাকিব ২১তম ওভারের প্রথম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন কনওয়েকে। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি কিউই ব্যাটার। ৫৯ বলে ৩ চারের মারে ৪৫ রানে থামে তার ইনিংস।
এরপর ড্যারেল মিচেলকে সঙ্গে নিয়ে জয়ের দিকে এগোতে থাকেন কেন উইলিয়ামসন। অনেকটা ঠাণ্ডা মাথায়ই খেলছেন কিউই অধিনায়ক, মিচেল কিছুটা আক্রমণাত্মক। ৮১ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন উইলিয়ামসন। ড্যারেল অর্ধশতক করেন ৪৩ বলে। হাফসেঞ্চুরি করে বাংলাদেশের ওপর চাপ বাড়িয়ে উইলিয়ামসন ছিলেন সেঞ্চুরির পথে। কিন্তু ৭৮ রান করার পর রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। তার ১০৭ বলের ইনিংসে ছিল ৮টি চার ও একটি ছয়ের মার।
মিচেল শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৮৯ রানে। তার ৬৭ বলের ইনিংসে আছে ৬টি চার ও ৪টি ছয়ের মার। গ্লেন ফিলিপস অপরাজিত থাকেন ১৬ রান করে।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে কেন উইলিয়ামসন বাহিনীকে ২৪৬ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের হয়ে মুশফিকুর রহিম ফিফটি ও সাকিব-মাহমুদউল্লাহ ফিফটির কাছাকাছি গেলেও তারা ইনিংস বড় করতে পারেননি। ২ ছক্কা ও ৬ চারে ৬৬ রান করেন মুশফিক। চাপের মুখে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাট থেকে আসে ৪৯ বলে ৪১ রান। তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সাকিবের, ৫১ বলে ৪০ রান করেন তিনি।