চন্দ্রদীপ নিউজ: অস্ত্রের যোগান পাওয়া নিয়ে বিবিসি, রয়টার্সসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের নানা বিশ্লেষণে জানা যায়, অস্ত্র পাচারকারীরা ভূমধ্যসাগর উপকূলে অস্ত্র ফেলে যায়। তারপর সেগুলো সুযোগ বুঝে হামাসের কাছে সরবরাহ করা হয়। এছাড়া মাটির নিচে থাকা সুড়ঙ্গ পথ দিয়েও হামাসের কাছে অস্ত্র পৌঁছে দেয় অস্ত্র চোরাকারবারীরা। গাজার সঙ্গে মিশরের যে সীমান্ত আছে মূলত সেই সীমান্ত ব্যবহার করে সুড়ঙ্গ পথে গাজায় অস্ত্র আসে।
হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনবারের মতে, গাজা শহরের মাটির নিচে তাদের সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক ৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ। এর ছোট একটি অংশই কেবল ধ্বংস করতে পেরেছে ইসরাইল।
২০০৭ সালে গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পর গত দেড় দশকে সুদীর্ঘ এই সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে হামাস। এসব সুড়ঙ্গ শহর ছাড়িয়ে ইসরাইলের সীমান্ত পর্যন্তও পৌঁছে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেই ইসরাইলের মাটিতে এযাবৎকালের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে হামাস।
এনডিটিভির তথ্য বলছে, গাজা শহরের মাটির নিচে হামাসের সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ককে ‘গাজা মেট্রো’ নাম দিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। এর আগে প্রকাশ্যে আসা বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, সুড়ঙ্গগুলো সাধারণ হামাগুড়ি দিয়ে চলার মতো নয় বরং যথেষ্ট প্রশস্ত। এর ভেতরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা ছাড়াও রয়েছে গোলাবারুদ ও অস্ত্রশস্ত্র লুকিয়ে রাখার জন্য গোপন নানা স্থান।