মো: আল-আমিন (পটুয়াখালী): বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টিপাত অব্যহত রয়েছে। এতে কুয়াকাটা ছাড়ছেন পর্যটকরা।
সোমবার বিকেল থেকে গুড়ি বৃষ্টি এবং বাতাসের তীব্রতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে নদ-নদীর পানি। উত্তাল হয়ে উঠেছে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর। যার ফলে নিরাপদ থাকতে কুয়াকাটা ছাড়তে শুরু করেছেন পর্যটন নগরীতে আগত ভ্রমণ পিপাসুরা। গতকাল বিকেল থেকেই অনেক পর্যটক কুয়াকাটা ছেড়েছেন।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন ও বিপদ সংকেত পেয়ে হোটেল ছাড়ছেন সিংহভাগ পর্যটকরা।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক সিয়াম বলেন, কুয়াকাটায় গতকাল এসেছিলাম। ইচ্ছে ছিল ৩-৪ দিন থাকার। কিন্তু আবহাওয়া ভালো না থাকার কারণে ১ দিন থেকেই চলে যাচ্ছি। এর ভিতর কোথাও বের হওয়া যাচ্ছে না।
কুয়াকাটা সমুদ্রবাড়ি রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহিরুল ইসলাম মিরন জানান, ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে আমার রিসোর্টের অনেক পর্যটক চলে গেছেন। আবহাওয়া ভালো থাকলে অনেকেই থাকতেন।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ জানান, আমরা প্রস্তুত আছি পর্যটকদের বাড়তি নিরাপত্তা দিতে। গতকাল থেকেই আমরা পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে মাইকিং করছি এবং তাদেরকে নিরাপদে থাকতে অনুরোধ করছি।
এদিকে, ঘুর্ণিঝড় হামুন মোকাবিলায় উপজেলায় এক শত শত্তরটি সাইক্লোন শেল্টার ও বিশ টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি প্রস্তুত রাখা হয়েছে তিন হাজার একশত ষাট জন সিপিপি সদস্যদের।
উপজেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতির পাশাপাশি শুকনো খাবার মজুদ রাখা হয়েছে।