চন্দ্রদীপ নিউজ : ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’র প্রভাবে কক্সবাজারে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে প্রবল বেগে ঝোড়ো হাওয়ার তাণ্ডব শুরু হয়। তা প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী স্থায়ী হয়।
বিশেষ করে সমুদ্র উপকূলের কাছাকাছি এলাকাগুলোতে বাতাসের তীব্রতা ছিল খুব বেশি। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডবে কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলীতে ঘরের দেয়ার চাপা পড়ে আব্দুল খালেক, চকরিয়ার বদরখালীতে গাছচাপায় আসকর আলী (৫০) ও মহেশখালীতে মাটির দেয়াল চাপা পড়ে একজন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার কক্সবাজার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মুহম্মদ শাহীন ইমরান একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। মৃত বাকি দুইজনের বিষয়ে স্থানীয়ভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
অন্যদিকে বাতাসের তোড়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়কে গাছ ভেঙে পড়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
কক্সবাজার শহরের বাংলাবাজার এলাকার বাসিন্দারা জানান, রাত পৌনে আটটার দিকে বাংলাবাজার ও খরুলিয়া এলাকায় সড়কের ওপর বড় বড় দুটি গাছ ভেঙে পড়লে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে দুই দিক থেকে আসা শত শত দূরপাল্লার বাস কয়েক ঘণ্টা ধরে আটকা পড়ে। এতে দূর-দূরান্ত থেকে আসা যাত্রী ও পর্যটকদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। রাত প্রায় সাড়ে ১০টার দিকে পুনরায় যান চলাচল শুরু হয়।
কক্সবাজার শহরের দরিয়া নগর এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যা সাতটার দিকে পর পর তীব্র বেগে বাতাস শুরু হয়। বাতাসের তাণ্ডব চলে প্রায় দুই ঘণ্টা। এতে ওই এলাকার কয়েকশ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
মেরিন ড্রাইভ সড়কে গাছ পড়ে যোাগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। কলাতলী থেকে টেকনাফ পর্যন্ত শত শত গাছ ভেঙে সড়কের ওপর পড়েছে।
তিনি বলেন, এবারের বাতাস যে গতি তা গত ১০ বছরেও আমরা দেখিনি হয়নি। গত বছর ২৪ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আঘাত হেনেছিল তখন জলোচ্ছ্বাস হলেও বাতাসের তীব্রতা এবারের মতো ছিল না।