শিরোনাম

এক মাছ বেচেই রাতারাতি কোটিপতি জেলে

Views: 99
চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক:  একটি মাত্র মাছ বিক্রি করে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেছেন পাকিস্তানের এক জেলে। বিরল প্রজাতির একটি মাছ ৭০ লাখ রুপিতে বিক্রি করেছেন তিনি। শুক্রবার (১০ নভেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদন বলা হয়েছে, হাজি বালোচ নামের ওই জেলে করাচির একটি জেলেপল্লিতে বাস করেন। সোমবার (৬ নভেম্বর) হাজি বালোচ ও তার কয়েকজন কর্মী আরব সাগরে মাছ ধরতে যান। এ সময় বেশ কয়েকটি বিরল মাছ তাদের জালে ধরা পড়ে। মহামূল্যবান এই মাছ স্থানীয় ভাষায় ‘সোয়া’ নামে পরিচিত, যা বাংলাদেশে ‘ভোলা মাছ’ নামে পরিচিত।

পাকিস্তানের মৎস্যজীবী ফোরামের নেতা মুবারক খান জানান, শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সকালে করাচি বন্দরে জেলেদের ধরে আনা মাছ নিলামে তোলা হয়। সে সময় একটি মাছ ৭০ লাখ রুপিতে বিক্রি হয়েছে। আর সবগুলো মাছ বিক্রি হয়েছে ৭ কোটি রুপিতে।

হাজি বালোচ বলেন, আমরা আরব সাগরের উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছ ধরছিলাম। হঠাৎ করেই এই মাছটি আমাদের জালে উঠে আসে, এটি আমাদের কাছে আসা এক দৈব সম্পদের মতো।

তিনি আরও জানান, মাছটি বিক্রি করে যে অর্থ তিনি পেয়েছেন, তা সহযোগী জেলেদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেবেন। মূলত প্রজনন মৌসুম এলেই গভীর সমুদ্র থেকে এই মাছটি উপকূলের কাছাকাছি আসে।

মহামূল্যবান এই ভোলা বা সোয়া মাছের বহু ওষুধি গুণাবলি রয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলেন, এই মাছের পেটের ভেতরে এমন এক উপাদান রয়েছে, যা চিকিৎসা ক্ষেত্রে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখতে সক্ষম।

সোয়া মাছের পেটের ভেতর সুতার মতো কুণ্ডলী পাকানো ওই বস্তুটি মূলত অস্ত্রোপচারের সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এ কারণেই এই মাছটিকে মহামূল্যবান এক সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ঐতিহ্যবাহী কিছু ওষুধ তৈরিতে এই মাছের বিপুল চাহিদা রয়েছে।

একটি প্রাপ্তবয়স্ক সোয়া মাছের ওজন ২০ থেকে ৩০ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। আর এটি লম্বায় দেড় মিটার পর্যন্ত হয়। পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে এই মাছের বিপুল চাহিদা রয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *