শিরোনাম

উপমহাদেশের একমাত্র শ্মশান দিপালী উৎসব বরিশালে: কঠোর নিরাপত্তা

Views: 56

বরিশাল অফিস : বরিশালের দুই শতাধিক বছরের অধিক ঐতিহ্যবাহী উপমহাদেশের একমাত্র শ্মশান দিপালী উৎসব সুষ্ঠ ও শান্তি পূর্ণভাবে অনুষ্ঠান করার জন্য পুলিশ প্রশাসনের নিরাপত্তা চাদরে থাকবে ঢাকা নগরীর কাউনিয়া নতুন বাজার আদি শ্মশান দিপালী অনুষ্ঠান।

আজ (১১ই) নভেম্বর শনিবার চতুদ্দর্শী পূণ্য তিথিতে উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী, সর্ববৃহৎ দিপালী উৎসবের দিনে শ্মশান দিপালী এলাকায় ২০টি সিসি ক্যামেরার নজরে থাকবে পুরো এলাকা। সেই সাথে ১১ই নভেম্বর রাত বারটা এক মিনিটে কালী পূজা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হবে।

শ্মশান দিপালী উৎসব এলাকার পরিবেশ পরিস্থিতি শান্ত ও পূর্ণার্থীদের ধর্মীও অনুষ্ঠান নিবির্ঘ্নে পালনের নিরাপত্তা দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে শতাধিক পোষাকী (বিএমপি) পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি টহলে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান র‌্যাব, গোয়েন্দা ও নিজস্ব সদস্য।

পাশাপাশি মাদক সেবন করা হলে বা সেবন করে শ্মশান এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা করা হলে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কাছে সোপর্দ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে শ্মশান রক্ষা কমিটি। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাধারন সম্পাদক তমাল মালাকার।

অন্যদিকে শ্মশান রক্ষা কমিটির নিজস্ব একশ স্বেচ্ছাসেবক সদস্য দায়িত্ব পালনে থাকবে এলাকা জুড়ে। এদিকে এনএসআই ও সিটি এসবি সহ গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল পুরো এলাকার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে।

দেশের বিভিন্নস্থানে থাকা স্বর্গবাসী হওয়া আপনজন তারা আসতে পারে বলে এখন পর্যন্ত মনে করা হচ্ছে। তবে বিগত বছরের চেয়ে এবার লোক সমাগম হয়ত বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

শ্মশান রক্ষা কমিটির সভাপতি মানিক মূখার্জী কুডু ও সাধারন সম্পাদক তমাল মালাকার বলেন, দিপালী উৎসবকে ঘিরে মৃতদের স্মৃতিচিহ্ন রাখার সমাধীগুলো ধোয়া মোছা সহ নতুন করে নির্মাণ এবং রং তুলির ছোয়ায় ভিন্ন রুপ ধারণ করেছে।

একটি পরিচ্ছন্ন ও পবিত্রতার পূর্ণ পরিবেশ দিপালী উৎসব বরিশালে প্রতি বছর এই দিনটি পালন করে যাচ্ছে আপন জন ও আত্বীয়-স্বজনরা।

বরিশালেরর এই শ্মশান দিপালী অনুষ্ঠানটি প্রতিবছর একটি সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়ে উঠে। বরিশালের প্রাচীন এই উৎসবে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা সহ প্রতিবেশী দেশ ভারত, নেপাল ছাড়াও প্রথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে দেখতে আসে।

সূত্রে আরও জানা গেছে, বরিশাল নগরীর কাউনিয়া এলাকায় ২০৬ বছর পূর্বে ৫ একর ৯৫ শতক জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয় মহাশ্মশান। এ শ্মশানে ৩০ হাজার পাকাসহ মোট সমাধি রয়েছে প্রায় ৫০ হাজার। প্রয়াতদের স্বজন যারা বরিশালসহ সারাদেশে তথা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থান করছেন তারা এইদিনে সমাধির পাশে এসে তাদের আত্মার শান্তির কামনায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে প্রার্থনা করেন। কেউ পাঠ করেন গীতা। প্রার্থনা করে অনেক স্বজন প্রয়াতের জন্য কান্নায় ভেঙে পরেন। বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষের পাশাপাশি শিশুরাও আসে প্রিয় প্রয়াতের জন্য প্রার্থনা করতে। শনিবার সন্ধারাত থেকে সারা রাত মোমবাতির আলোয় আলোকোজ্জ্বল হয়ে ওঠে পুরো শ্মশান।

দিপালী উৎসব পালন অনুষ্ঠানের জন্য ইতিমধ্যে প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা সহ পুলিশ কমিশনারের সাথে মতবিনিময় করা হয়েছে।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *