শপথের শত্রু ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হিজবুল্লাহর ফ্রন্ট সক্রিয় থাকবে বলেও অঙ্গীকার করেছেন তিনি। চলতি মাসের শুরুর দিকে দেওয়া প্রথম ভাষণে হাসান নাসরুল্লাহ বলেছিলেন, লেবাননিজ ফ্রন্টে ইসরায়েলের সাথে চলমান লড়াই ‘পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে’ পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
শনিবার তিনি বলেছেন, লেবানন ফ্রন্টে ইসরায়েলের সাথে হিজবুল্লাহর লড়াইয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে। হামলার সংখ্যা, আকার এবং লক্ষ্যবস্তুর পাশাপাশি অস্ত্রের ধরনে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে নাসরুল্লাহ বলেন, ইসরায়েলে হামলায় হিজবুল্লাহ বুরকান ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রের ৩০০ থেকে ৫০০ কেজির বিস্ফোরক পরিবহনের সক্ষমতা রয়েছে। ইরান-সমর্থিত এই গোষ্ঠী প্রথমবারের মতো ইসরায়েলে হামলায় সশস্ত্র ড্রোন ব্যবহার করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গত ৭ অক্টোবর হামাস-ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পরদিন থেকেই প্রত্যেক দিন ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সাথে হিজবুল্লাহর যোদ্ধাদের প্রাণঘাতী সংঘর্ষ চলছে। ইসরায়েলের সাথে সংঘাতে এখন পর্যন্ত হিজবুল্লাহর ৭০ যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। একই সময়ে লেবাননের কয়েকজন বেসামরিক নাগরিকও ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন।
তবে উভয়পক্ষের হামলা-পাল্টা হামলা অনেকাংশে সীমান্ত এলাকার মাঝে সীমিত রয়েছে। হিজবুল্লাহর চালানো হামলার বেশিরভাগেরই লক্ষ্যবস্তু ইসরায়েলের সামরিক চৌকি।
সূত্র: রয়টার্স।