মো:আল-আমিন,পটুয়াখালী : আজ ভয়াল ১২ নভেম্বর। ১৯৭০ সালের এই দিন রাতে উপকূলে আঘাত হানে প্রলয়ঙ্করী ঘুর্ণিঝড় ভয়াল গোর্কি। বিভিন্ন ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি প্রাণ কাড়ে ১০ লাখ মানুষের।
ভয়াল এই দিনের কথা স্মরণ করতে গেলে আজো আঁতকে ওঠে পটুয়াখালীসহ বিভিন্ন উপকূলের মানুষ। সরকারি হিসেবে বৃহত্তর পটুয়াখালী জেলায় (বরগুনাসহ) সেদিন রাতে ৪৮ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। বাস্তাবে এ সংখ্যা লাখেরও বেশি। বর্তমান রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ, সোনার চর, মৌডুবি, বড় বাইশদিয়াসহ দ্বীপ সমৃদ্ধজনপদ পরিনত হয় জনশূন্য বিরাণ ভূমিতে।
ভয়াল এই দিনটিকে স্মরণ করতে ও দিনটিকে উপকূল দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবিতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেছে কলাপাড়াবাসী নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। শনিবার রাত সাড়ে ৮ টায় কলাপাড়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়। এসময় কলাপাড়াবাসীর সভাপতি নজরুল ইসলাম, কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি হুমায়ুন কবির, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নেছার উদ্দিন আহমেদ টিপু ও কলাপাড়া সম্মিলিত নাগরিক ঐক্য জোটের সভাপতি সৈয়দ রেজা সহ কলাপাড়াবাসী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা অংশ নেন।
এদিকে দিনটি উপকূল দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবিতে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের ছবি সম্বলিত ব্যানার পোস্ট করেছেন।
কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি হুমায়ুন কবির বলেন, এই দিনে আমি আমার বাবাসহ পরিবারের ১২ জনকে হারিয়েছি। আমি তখন খুব ছোট ছিলাম। এই দিনটির কথা মনে উঠলে আমি আজও আঁতকে উঠি। আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। শুধু মাত্র একটি কাঠের টুকরা ধরে বেঁচেছিলাম। আমার পাশ থেকে অনেক মানুষ এবং গবাদি পশুর মৃতদেহ ভেসে গেছে। আমরা এই দিনটিকে উপকূল দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি।