শীতে ঠান্ডা পানিতে গোসলের স্বাস্থ্য উপকারিতা

শীতকাল আসলেই ঠান্ডা পানিতে গোসল করা অনেকের জন্য ভয়ের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। তাই অনেকেই এই সময়ে গরম পানিতে গোসলের অভ্যাস গড়ে তোলেন। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দীর্ঘদিন গরম পানিতে গোসল করলে চর্মরোগসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা হতে পারে।

গরম পানিতে গোসলের ক্ষতি

গরম পানি ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা শুষে নেয়, যা চর্মরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। এর চেয়ে স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি বা সামান্য ঠান্ডা পানি ব্যবহার করা ত্বক ও শরীরের জন্য অনেক ভালো। ঠান্ডা পানিতে গোসলের ফলে শরীর চাঙ্গা থাকে এবং রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়।

ঠান্ডা পানির উপকারিতা

ঠান্ডা পানিতে গোসলের কিছু উল্লেখযোগ্য উপকারিতা রয়েছে। যেমন:

1. রক্ত চলাচল উন্নত হয়: শরীরের প্রতিটি অঙ্গে রক্তের প্রবাহ স্বাভাবিক থাকে।

2. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়: নিয়মিত ঠান্ডা পানিতে গোসল করার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়।

3. মানসিক চাপ কমায়: ঠান্ডা পানিতে গোসল মনকে সতেজ করে তোলে।

গবেষণার ফলাফল

নেদারল্যান্ডের একটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল অনুযায়ী, নিয়মিত ঠান্ডা পানিতে গোসল করা মানুষের অসুস্থতার ঝুঁকি প্রায় ২৯ শতাংশ কমিয়ে দেয়। এছাড়া বরফ মেশানো পানিতে গোসল করলে শরীর আরও শক্তিশালী ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

কারা ঠান্ডা পানি এড়িয়ে চলবেন

যাদের শারীরিক অসুস্থতা রয়েছে বা হার্টের সমস্যা আছে, তাদের ঠান্ডা পানিতে গোসল এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ, অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি হৃদস্পন্দনে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, যা হৃদরোগীদের জন্য মারাত্মক হতে পারে।

সঠিক উপায়

ঠান্ডা বা গরম পানির বদলে স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি ব্যবহার করে গোসল করা শরীরের জন্য সবচেয়ে উপকারী। প্রথমে হাত-পা ভেজানোর মাধ্যমে শুরু করুন, এরপর ধীরে ধীরে শরীরের অন্য অংশে পানি ঢালুন।

“মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম”

 




ছয় বছরের সংগ্রাম শেষে আর্মি স্টেডিয়ামের মঞ্চে র‍্যাপার হান্নান

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় যেমন ‘এক সাগর রক্তের বিনিময়ে’ এবং ‘মোরা একটি ফুলকে বাঁচাব বলে যুদ্ধ করি’ গানগুলো মানুষের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল, তেমনি ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের সময় নতুন প্রজন্মকে উদ্দীপ্ত করেছিল হান্নান হোসেন শিমুলের লেখা ও গাওয়া গান ‘আওয়াজ উডা বাংলাদেশ’। এই গানটি তারুণ্যের সংগ্রামী চেতনার প্রতীক হয়ে উঠেছিল। সেই গণ-অভ্যুত্থান থেকে কারাবাস, তারপর দেশের অন্যতম বৃহৎ মঞ্চ ‘ইকোস অব রেভল্যুশন’-এ তার পারফরম্যান্স, সব মিলিয়ে এটি এক বিশাল যাত্রা।

শনিবার বিকেলে বনানীর আর্মি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় ‘ইকোস অব রেভল্যুশন’ কনসার্ট। সেখানে তরুণদের সামনে নিজের সিগনেচার র‍্যাপ গানটি গেয়ে শিমুল তাদের স্মরণ করিয়ে দেন জুলাই মাসের অভ্যুত্থানের দিনগুলোর কথা। আর্মি স্টেডিয়াম মঞ্চে উঠে নিজের ছয় বছরের সংগ্রামের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এই মঞ্চে পৌঁছাতে আমার ছয় বছর লেগেছে।”

২০১৮ সালে র‍্যাপ গানের জগতে পা রাখা হান্নানের প্রথম গান ছিল ‘ডিসকাউন্ট’। এরপর টানা ছয় বছর ধরে একাধিক মিক্সড অ্যালবামে কাজ করেছেন। তবে গণ-অভ্যুত্থানের সময় তার গান ‘আওয়াজ উডা বাংলাদেশ’ তাকে পৌঁছে দেয় মানুষের হৃদয়ে।

হান্নান জানান, মঞ্চে গান করতে খুব ভালো লেগেছে, তবে পারফরম্যান্সটি যদি সন্ধ্যার পর হতো, দর্শকদের সংখ্যা আরও বেশি থাকায় তার অনুভূতি আরও পূর্ণাঙ্গ হতো।

কনসার্টে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বয়সী দর্শক। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন শফিক আহমেদ, যিনি বলেন, “জুলাইয়ের আন্দোলনে আমাদের ছেলে বাসায় না ফেরা পর্যন্ত আমরা এই গানটা শুনতাম। মনে হতো, শিল্পী আমাদের মনের কথাই বলছেন।”

কনসার্ট থেকে প্রাপ্ত অর্থ ব্যয় করা হবে গণ-অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের পরিবারের কল্যাণে। এক চিকিৎসক দম্পতি জানান, দীর্ঘদিন পর তারা কনসার্টে এসেছেন শুধু অভ্যুত্থানের শহীদদের প্রতি সম্মান জানাতে।

স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশের সূচনা পর্বে হান্নানের গান নতুন শক্তি জুগিয়েছে। কনসার্ট শেষে তিনি জানান, তার সামনে আরও বেশ কিছু কনসার্ট রয়েছে, যেখানে তিনি তার গানের মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছাতে চান।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




চিরকুট: পুরনো বন্ধন ভেঙে নতুন যাত্রা

জনপ্রিয় ব্যান্ড চিরকুট আবারও ভাঙনের মুখে পড়েছে। দলের পুরনো সদস্যদের অনেকেই দল ছেড়ে চলে গেছেন। তবে ব্যান্ডটির হাল ধরে রেখেছেন ভোকাল শারমিন সুলতানা সুমি।

আর্মি স্টেডিয়ামে চিরকুটের পরিবেশনা শুনে শ্রোতারা মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। অনেকেই বলছেন, ‘গানগুলোতে আগের সেই উষ্ণতা আর নেই।’ মঞ্চে ভোকাল সুমির কণ্ঠ থাকলেও যন্ত্রসংগীতের সুরে পুরনো সদস্যদের উপস্থিতি মিস করেছেন শ্রোতারা।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, দলের বেশিরভাগ সদস্য ক্যারিয়ারের উন্নতির জন্য ব্যান্ড ছেড়ে দিয়েছেন। ইকোস অব রেভল্যুশন কনসার্টে চিরকুটের সঙ্গে যারা বাজিয়েছেন, তাদের অধিকাংশই নতুন কিংবা অতিথি শিল্পী। ড্রাম বাজিয়েছেন দ্বীপ রায়, কিবোর্ডে ইয়ার হোসেন, গিটারে শুভ্র ও ইলেকট্রিক গিটারে দিব্য নাসের। তবে পুরনো সদস্যদের বিদায় দলটিকে যেন আরও নিঃসঙ্গ করে ফেলেছে।

সাবেক এক সদস্যের মতে, ব্যক্তিগত লোভ ও স্বার্থের সংঘাতই ছিল দলের ভাঙনের মূল কারণ। পিন্টু ঘোষের বিদায় থেকে শুরু হওয়া এই যাত্রা ইমন চৌধুরী, দিদার, নিরব এবং সর্বশেষ পাভেল অরিনের লন্ডন যাত্রা পর্যন্ত পৌঁছেছে।

তবুও, এই ভাঙাগড়ার মধ্যেও চিরকুট এগিয়ে চলছে। দলনেতা সুমি জানিয়েছেন, শিগগিরই তাদের নতুন গান প্রকাশিত হবে। ব্যান্ডের ইতিহাসে নতুন অধ্যায় শুরুর অপেক্ষায় রয়েছে তারা।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




কলাপাড়ায় গরু চুরি করে পালানোর সময় চোর আটক

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নে গরু চুরি করে পালানোর সময় এক চোরকে আটক করেছে স্থানীয়রা। রবিবার (২২ ডিসেম্বর) নীলগঞ্জ ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, বাদল হাওলাদারের গোয়ালঘর থেকে রাতের আঁধারে একটি গরু চুরি করে আমতলী বাজারে বিক্রি করতে যাওয়ার সময় স্থানীয়দের সন্দেহ হলে চোরকে ধাওয়া করে আটক করা হয়। পরে স্থানীয়রা কলাপাড়া থানা পুলিশকে খবর দিলে চোরকে থানায় হস্তান্তর করা হয়।

আটককৃত চোরের নাম আলাউদ্দিন, তার বাড়ি মহিপুর ইউনিয়নের নজিবপুর গ্রামে। আলাউদ্দিন জানান, তিনি শনিবার সকাল থেকেই দৌলতপুর এলাকায় ছিলেন এবং রাতে গরু চুরি করে আমতলী বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়েন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নীলগঞ্জ ইউনিয়নে প্রায়ই চুরি, ডাকাতি, এবং ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা ঘটে। এই ধরনের অপরাধে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত। তারা চুরি, ডাকাতি এবং ছিনতাই বন্ধে প্রশাসনের কাছ থেকে কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।

কলাপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল ইসলাম বলেন, “আমরা নীলগঞ্জ ইউনিয়নে আগেই একটি মিটিং করেছি এবং স্থানীয়দের বলেছি, যেকোনো চুরি বা ডাকাতির ঘটনা ঘটলে স্থানীয়রা চোরকে আটক করে পুলিশকে খবর দিবে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী স্থানীয়রা চোরকে আটক করেছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

 




গলাচিপায় মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি-সম্পাদক নির্বাচিত

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি হিসেবে সুহরি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রাজা মিয়া এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. মাসুম বিল্লাহ নির্বাচিত হয়েছেন।

রবিবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় গলাচিপা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি গলাচিপা উপজেলা শাখার আয়োজনে দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন গলাচিপা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন। প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিদ্দিকুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি পটুয়াখালী জেলা শাখার আহ্বায়ক এম এ মতিন, সদস্য সচিব মনজুরুল আহমেদ, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন খান এবং সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মশিউর রহমান (শাহীন)।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। সঞ্চালনা করেন উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মুনতাসীর মামুন।

সভাপতি মো. রাজা মিয়া বলেন, “শিক্ষকদের স্বার্থ সংরক্ষণ এবং শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করাই হবে আমার প্রধান লক্ষ্য।”

সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, “আমরা শিক্ষকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করব এবং শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটানোর জন্য একযোগে প্রচেষ্টা চালাব।”

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



১৬ বছর পর পটুয়াখালী পৌর মাছ বাজারের ঘাট পুনরুদ্ধার

দীর্ঘ ১৬ বছর পর পটুয়াখালী পৌর মাছ বাজারের ঘাটটি দখলদারদের হাত থেকে মুক্ত করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। গত ২০ ডিসেম্বর ঘাটটিতে থাকা দোকান ভেঙে দখল মুক্ত করা হয়। এতে পৌর মাছ বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে স্বস্তি ও আনন্দ।

নিউ মার্কেট ক্ষুদ্র মৎস্য কার্যনির্বাহী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হাওলাদার জানান, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতা এই ঘাটটি দখল করে অপকর্ম চালিয়ে আসছিল। প্রতিদিন এখানে মদ ও জুয়ার আসর বসত। ঘাটটি বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীদের মাছ আনা-নেওয়ার জন্য বিকল্প পথ ব্যবহার করতে হতো, যা মাছের দামে প্রভাব ফেলত।

মাছ ব্যবসায়ীরা ঘাটটি পুনরুদ্ধার করায় খুশি হলেও দ্রুত এর সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেন, ঘাটটি সরাসরি মাছের ট্রলার আসা-যাওয়ার উপযোগী হলে ব্যবসা সহজ হবে এবং মাছের দাম কমে যাবে।

ঘাট পুনরুদ্ধারের সময় উপস্থিত ছিলেন নিউ মার্কেট ক্ষুদ্র মৎস্য কার্যনির্বাহী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. আব্দুল মন্নান ফকির, সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হাওলাদার, ক্যাশিয়ার মো. শামীম মৃধা, এবং অন্যান্য মাছ ব্যবসায়ী।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




পটুয়াখালীর বাউফলে সড়ক দুর্ঘটনায় কৃষি কর্মকর্তার মৃত্যু

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় মিলন হাওলাদার (৩০) নামে এক উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সকাল ৭টার দিকে বাউফল-বগা মহাসড়কের ভুবন সাহার কাচারি এলাকায় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

মিলন হাওলাদার বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার সূর্যমনি ইউনিয়নের ইন্দ্রকুল গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য শাহাবুদ্দিন হাওলাদারের ছেলে। তিনি ২০১৮ সালে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে প্রথম চাকরিতে যোগ দেন। মিলনের স্ত্রী এবং তিন বছর বয়সি একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।

সূত্র জানায়, মিলন হাওলাদার কর্মস্থলে যাওয়ার পথে সিএনজি চালিত গাড়িতে ছিলেন। বাউফল-বগা মহাসড়কে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে সিএনজির একাংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে মিলন গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে দ্রুত বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মিলনের অকাল মৃত্যুতে তার পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, “অ্যাম্বুলেন্স ও সিএনজির চালক পালিয়ে গেছে। তাদের আটক করার জন্য চেষ্টা চলছে এবং এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

মো. আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




গলাচিপা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি দুই বছর পরেও, স্থানীয়দের মধ্যে উৎকণ্ঠা

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) অনুমোদন পাওয়ার দুই বছর পরেও শুরু হয়নি গলাচিপা সেতুর নির্মাণ কাজ। স্থানীয় প্রশাসন এখনো জানে না সেতুর নির্মাণ কাজ কবে শুরু হবে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও প্রকল্পটি বাস্তবায়নের নির্ধারিত সময় ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল।

রামনাবাদ নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২১ কোটি টাকা। এটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপদ (সওজ) অধিদপ্তর। সেতু নির্মাণ হলে গলাচিপা উপজেলার মানুষের জন্য বরিশাল বিভাগীয় সদর এবং পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন উপজেলার সঙ্গে নিরাপদ ও সহজ সড়ক যোগাযোগের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

নদী পারাপারে প্রতিদিন শতাধিক যানবাহন ফেরির মাধ্যমে চলাচল করে, তবে এতে সময়, খরচের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছে গুরুতর রোগী এবং তাদের স্বজনরা। সেতু নির্মাণ না হওয়ায় গলাচিপা, রাঙ্গাবালী এবং দশমিনা উপজেলার প্রায় ১০ লাখ মানুষের জীবনযাত্রা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

গাড়িচালক মো. রনি বলেন, “গত ৩০ বছর ধরে শুনে আসছি গলাচিপা সেতুটি হবে। কিন্তু বাস্তবে কোনো কার্যক্রম চোখে পরছে না। আমাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরির জন্য অপেক্ষা করতে হয়।”

সাবেক এক সেনা সদস্য জানান, “দীর্ঘদিন ধরে শুনে আসছি ব্রিজ হবে, কিন্তু হচ্ছে না। বিভিন্ন সময় সরকার পরিবর্তন হলেও কার্যকর কিছুই হচ্ছে না। জীবিত অবস্থায় ব্রিজটি দেখে যেতে পারবো কি না জানি না।”

গণ অধিকার পরিষদের গলাচিপা উপজেলা শাখার আহ্বায়ক আশা প্রকাশ করেন যে, শিগগিরই সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হবে। জামায়াতে ইসলামি বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলা কমিটির সদস্য অধ্যাপক ইহাইয়া খান বলেন, “যে এলাকার যাতায়াত ব্যবস্থা যতো ভালো, সে এলাকা ততো উন্নত হয়। ব্রিজটি নির্মাণ হয়ে গেলে গলাচিপা আর অবহেলিত থাকবে না।”

গলাচিপা বিএনপির উপজেলা শাখার সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “ব্রিজটি লাখ লাখ মানুষের প্রাণের দাবি। কাজেই সেতুটি জরুরিভিত্তিতে নির্মাণ হওয়া প্রয়োজন।”

গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান জানান, “রামনাবাদ চ্যানেলে সেতুটি বর্তমানে প্রস্তাবিত ও অনুমোদিত। তবে এর নির্মাণ কাজ কবে নাগাদ শুরু হবে, তা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়।”

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




কলাপাড়া-কুয়াকাটা মহাসড়কে অটোরিকশা উল্টে শিশুর মৃত্যু

কলাপাড়া-কুয়াকাটা মহাসড়কের মোস্তফাপুর এলাকায় একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা উল্টে গিয়ে প্রান্ত (৬) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিকেল ৩টার দিকে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। প্রান্ত উপজেলার মহিপুর ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের বাসিন্দা সুজন হাওলাদারের পুত্র।

স্থানীয় সূত্র ও স্বজনদের বরাতে জানা যায়, শিশুটি তার মায়ের সঙ্গে অটোরিকশায় করে নিজ বাড়ি থেকে নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখিমারা গ্রামে খালাবাড়িতে যাচ্ছিল। মহাসড়কে চলার সময় অটোরিকশাটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ঢালে উল্টে যায়। এতে প্রান্ত গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কলাপাড়া থানার ওসি মো. জুয়েল ইসলাম বলেন, “দুর্ঘটনার বিষয়টি জানার পর হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’

এই মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



‘অভিনয় করতে করতেই মরে যেতে চাই’: রওনক হাসানের অভিব্যক্তি

মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত সিনেমা ‘নকশী কাঁথার জমিন’ আসন্ন ২৭ ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে। এই চলচ্চিত্রে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা রওনক হাসান। সম্প্রতি তিনি নিজের অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা এবং জীবনের গভীর আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছেন।

রওনকের আবেগঘন পোস্ট

২১ ডিসেম্বর ভোরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রওনক হাসান একটি আবেগঘন পোস্ট শেয়ার করেন। তিনি লেখেন, “গিটার বাজাতে বাজাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন অর্থহীন ব্যান্ডের গিটারিস্ট পিকলু ভাই। আমিও এমনই মৃত্যু কামনা করি। অভিনয় করতে করতেই আমি চলে যাবো ওপারে।”

করোনাকালে ‘নকশী কাঁথার জমিন’ সিনেমার শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে তিনি আরও বলেন, “এই সিনেমার প্রতি ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ থেকেই আমরা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছি। আপনাদের এই চলচ্চিত্র দেখার আমন্ত্রণ জানাই।’’

সিনেমার নির্মাণ ও প্রাপ্তি

‘নকশী কাঁথার জমিন’ পরিচালনা করেছেন আকরাম খান। হাসান আজিজুল হকের গল্প ‘বিধবাদের কথা’ অবলম্বনে নির্মিত এই সিনেমা ইতোমধ্যেই সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছে। এটি ভারতের বেঙ্গালুরু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার অর্জন করেছে এবং ৫৩তম ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অব ইন্ডিয়ায় (আইএফএফআই) আইসিএফটি-ইউনেসকো গান্ধী মেডেলের জন্য মনোনীত হয়েছিল।

অভিনয়শিল্পীদের অংশগ্রহণ

এই সিনেমায় দুই বোনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান এবং ফারিহা শামস সেঁওতি, আর দুই ভাইয়ের চরিত্রে দেখা যাবে ইরেশ যাকের ও রওনক হাসানকে। মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে এই চরিত্রগুলো গল্পের গভীরতা ও আবেগকে তুলে ধরবে বলে প্রত্যাশা।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম