গলাচিপায় আগাম তরমুজ চাষে কৃষকদের নতুন আশা

পটুয়াখালীর গলাচিপায় তরমুজ চাষে এক নতুন অধ্যায় সূচিত হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং জলবায়ুর পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে কৃষকরা এবার পলিব্যাগে বীজ বপনের মাধ্যমে চারা তৈরি করছেন। এই পদ্ধতিতে জমি প্রস্তুতির ১৫-২০ দিন আগেই চারা রোপণ উপযুক্ত হয়ে যায়, যা ফসল উৎপাদনে সময় বাঁচানোর পাশাপাশি ফলনের সম্ভাবনাও বৃদ্ধি করে।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর গলাচিপায় ৮ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সম্ভাব্য বাজারমূল্য ধরা হয়েছে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভালো ফলন হলে এই অঙ্ক আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।

গলাচিপা সদর ইউনিয়নের চাষি আবু আক্কাস মৃধা জানান, তিনি চার একর জমির জন্য ৯ হাজার পলিব্যাগে বীজ বপন করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমাদের এলাকায় আমন ধান কাটতে দেরি হয়। ফলে তরমুজের মৌসুম শুরু হলেও জমি প্রস্তুতে অনেক সময় লেগে যায়। কিন্তু পলিব্যাগে চারা তৈরি করায় সেই সময় নষ্ট হয় না। এতে ফলন সময়মতো পাওয়া যায়।”

তিনি আরও জানান, প্রতিটি পলিব্যাগে বীজ, সার এবং শ্রমিকের খরচ মাত্র ৩ টাকা ৪৫ পয়সা। এতে করে চারা তৈরি করে জমিতে লাগানোর পর মাত্র ১০০ দিনের মধ্যেই তরমুজ পাকে।

বোয়ালিয়া গ্রামের চাষি মোস্তফা সরদার বলেন, “আমি তিন একর জমিতে তরমুজ চাষ করছি। তরমুজ চাষে কখনো লোকসান দিইনি। তবে আবহাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কখনো কখনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ফলনের উপর প্রভাব ফেলে।”

গলাচিপা উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মো. আকরামুজ্জামান বলেন, “কৃষকরা পলিব্যাগে বীজ বপন করে আশাব্যঞ্জক ফলাফল পাচ্ছেন। এ বছর সব কিছু ঠিক থাকলে ৭০০ কোটি টাকার তরমুজের বেচাকেনা হবে বলে ধারণা করছি। এটি কৃষকদের জন্য অর্থনৈতিক উন্নয়নের নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে।”

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



পটুয়াখালীতে দলবদ্ধ তরমুজ চাষে সফলতার গল্প: নবীন ও প্রবীণ কৃষকদের একত্রিত উদ্যোগ

পটুয়াখালীর উপকূলীয় অঞ্চলে নবীন ও প্রবীণ কৃষকদের দলবদ্ধ তরমুজ চাষ দারুণ সফলতার গল্প তৈরি করছে। জমির অভাবের কারণে অন্যের জমি লিজ নিয়ে উচ্চ ফলনশীল তরমুজ চাষ করছেন তারা। চাষের এই পদ্ধতিতে দলবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে তারা চাষাবাদের খরচ এবং লাভ-লোকসান ভাগ করে নিচ্ছেন।

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধুলাসার ইউনিয়নের গঙ্গামতির ৩৩ কানি এলাকায় ১৮ একর জমিতে তরমুজের চাষ শুরু করেছেন পাঁচজনের একটি কৃষক দল। নবীন কৃষক সালাউদ্দিন জানান, “আমরা পাঁচজন মিলে জমি লিজ নিয়ে তরমুজ চাষ করছি। জমির মালিকদের কাছ থেকে প্রতি কানি জমি ৩০ হাজার টাকায় পাঁচ মাসের জন্য লিজ নিয়েছি। দলবদ্ধভাবে চাষ করায় খরচ ভাগাভাগি হচ্ছে, যা একজন কৃষকের জন্য অনেক সুবিধাজনক।”

এবারের মৌসুমে তারা উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড জাতের তরমুজ চাষ করছেন। জমি তৈরির কাজ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। ধান কাটার পরপরই জমিতে হাল চাষ ও বীজ বপন শুরু হয়। বীজ থেকে ইতোমধ্যেই দুই থেকে তিন পাতা গজিয়েছে। মৌসুমজুড়ে তারা ক্ষেতে অবস্থান করে চাষাবাদ ও পরিচর্যা করবেন।

প্রবীণ কৃষক মজিদ ও নিজাম বলেন, “প্রায় ১০ বছর ধরে আমরা দলবদ্ধভাবে বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করছি। গত কয়েক বছর ধরে তরমুজ চাষ করছি। এই পদ্ধতিতে চাষাবাদের খরচ কমে যায় এবং সবার জন্য লাভজনক হয়। এবারও আমরা আশা করছি, ভালো ফলন হবে।”

তারা আরও জানান, প্রতি কানি জমিতে চাষাবাদের জন্য প্রায় ১ লাখ ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। তবে একসঙ্গে বড় পরিসরে চাষ করার কারণে খরচ মেটানোর জন্য কারো ব্যক্তিগতভাবে বেশি অর্থের প্রয়োজন হয় না। তাছাড়া, উৎপাদিত তরমুজ বাজারজাত করে পাইকারি দরে বিক্রি করেন তারা, যা তাদের আর্থিক সচ্ছলতা আনতে সহায়তা করছে।

চাষাবাদের জন্য প্রয়োজনীয় সার এবং বীজ তাবুতে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এই তাবুতে মৌসুমের পুরো সময় ধরে কৃষক ও শ্রমিকরা অবস্থান করবেন। তরমুজের পরিচর্যা থেকে শুরু করে ফসল কাটার কাজ পর্যন্ত সব কিছু এখান থেকেই পরিচালিত হবে।

তবে দলবদ্ধ চাষাবাদের এই উদ্যোগে কৃষকদের সঙ্গে কৃষি বিভাগের তেমন কোনো সমন্বয় নেই বলে জানান তারা। কৃষি বিভাগ থেকে কোনো প্রকার আর্থিক বা কারিগরি সহযোগিতা পাননি।

এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন বলেন, “এ বছর তরমুজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ৩০০ হেক্টর নির্ধারণ করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে আমাদের কর্মকর্তারা কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। তবে সরাসরি সহযোগিতার বিষয়টি আরও জোরদার করার পরিকল্পনা রয়েছে।”

পটুয়াখালীর মতো উপকূলীয় অঞ্চলে তরমুজ চাষের সম্ভাবনা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। তরমুজের চাষাবাদে অভিজ্ঞ এই কৃষকরা দেখিয়ে দিচ্ছেন যে দলবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে কীভাবে চাষাবাদের ব্যয় কমিয়ে লাভ বাড়ানো যায়। তাছাড়া, স্থানীয় যুবকদের মধ্যেও চাষাবাদে আগ্রহ তৈরি হচ্ছে।

তাদের মতে, আরও ভালো প্রশিক্ষণ ও সরকারি সহযোগিতা পেলে এ অঞ্চলে তরমুজ উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে, যা স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে।

মো: আল-আমিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



পটুয়াখালীতে কেনাফ চাষের মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

দেশে প্রথমবারের মতো পটুয়াখালীর কলাপাড়ার পাখিমারা পাট গবেষণা উপকেন্দ্রে উচ্চ ফলনশীল পাট জাতীয় কেনাফ ও কেনাফ শাকের বীজ উৎপাদন জনপ্রিয়করণ ও সম্প্রসারণ শীর্ষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বেলা সাড়ে এগারোটায় বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই) অঙ্গ পার্টনার প্রকল্পের আয়োজনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিজেআরআই খামার ব্যবস্থাপনা ইউনিটের পিসও কৃষিবিদ ড. মো. লুৎফর রহমান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিজেআরআই’র সিএসও কৃষিবিদ ড. গোলাম মোস্তফা, কৃষিবিদ ড. এ কে এম শাহাদাৎ হোসেন এবং মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের পিএসও কৃষিবিদ মো. কামরুজ্জামান।

বক্তারা জানান, কেনাফ একটি উচ্চ ফলনশীল ফসল, যা রাস কীটনাশক এবং নিড়ানি ছাড়াই লবণাক্ত ও অনুর্বর জমিতে ভালোভাবে উৎপাদন করা যায়। এর চাষাবাদ কৃষকদের জন্য অধিক লাভজনক হতে পারে। তারা অনুর্বর জমিতে কেনাফ চাষ করে কৃষকদের লাভবান হওয়ার আহ্বান জানান।

কেনাফ চাষের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদনে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




বরগুনার সাগরে মাছের সংকট: জেলেরা ও ব্যবসায়ীরা বিপদে

বরগুনার সাগরে মাছ শিকার করতে গিয়ে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন জেলেরা। শুধু জেলেরা নয়, মাছ না পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন মৎস্য ব্যবসায়ী ও ট্রলার মালিকরাও। ঋণের ভারে জর্জরিত হয়ে অনেক ট্রলার মালিক বাধ্য হয়ে বন্ধ রেখেছেন মৎস্য শিকার। এ পরিস্থিতি এতটাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মৎস্য অবতরণকেন্দ্র পাথরঘাটায় রাজস্ব আদায়ে তীব্র ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

পাথরঘাটার মৎস্য অবতারণকেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, মাছ বিক্রির হাঁকডাক সরগরম থাকার কথা থাকলেও সেখানে মাছের বড় ঘাটতি। সাগর থেকে ফিরে আসা ট্রলারগুলোয় মাছ কম থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছেন জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা। খরচের টাকা না উঠায়, প্রতি ট্রিপেই বাড়ছে ঋণের বোঝা। ঋণ পরিশোধ তো দূরের কথা, পরিবারের ভরণপোষণ নিয়েই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন জেলেরা। মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও সাগরে কাঙ্ক্ষিত মাছ না পাওয়ায় পরিস্থিতি আরো কঠিন হয়ে পড়েছে।

মৎস্য অবতরণকেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণকেন্দ্রে প্রতিদিন গড়ে কোটি টাকার মাছ বিক্রি হয়, কিন্তু বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৪০ থেকে ৪৫ লাখ টাকার মাছ। এর ফলে রাজস্ব আদায়ও ব্যাপকভাবে কমেছে। গত দুই দিনে এই অবতরণকেন্দ্র থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে মাত্র এক লাখ টাকা।

এদিকে, জেলেরা অভিযোগ করেছেন, সাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা প্রতিবেশী দেশের সাথে মিলিয়ে না দেয়ার কারণে, নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে প্রতিবেশী দেশের জেলেরা অবাধে মাছ শিকার করছে। আবার নিষেধাজ্ঞার সময় কিছু ইলিশ মাছ ডিম ছাড়ার সুযোগ পেলেও, নিষেধাজ্ঞার পরে অবৈধ ট্রলিং ট্রলারের জালে আটকে পড়ছে ডিম ও ছোট ছোট পোনা মাছ। এর ফলে ইলিশসহ অন্যান্য মাছের প্রজাতি বিলুপ্তির দিকে যাচ্ছে। তারা আরও অভিযোগ করেছেন, এই ট্রলিং বোটগুলো সাধারণত প্রভাবশালীদের মালিকানাধীন এবং প্রশাসন নিরব থাকে।

সাগরে মাছ না পেয়ে আক্ষেপ করে জেলে মো. ইউসুফ বলেন, “আগে নিষেধাজ্ঞার পর সাগরে প্রচুর মাছ পাওয়া যেতো, কিন্তু এবার সাগরে একটাও মাছ নেই। সাগরে এত পরিমাণ ট্রলিং বোট চলে যে সামান্য মাছের ডিমও জালে আটকা পড়ে, সব ছোট মাছও মরে যায়।”

ট্রলার মালিকদের দুর্দশা নিয়ে আব্দুল মান্নান মাঝি বলেন, “২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে মাছ না পেয়ে অনেক ট্রলার মালিক তাদের বোট ঘাটে বেঁধে রেখেছেন। বর্তমানে একটা ট্রলার সাগরে পাঠাতে প্রায় ৫ লাখ টাকার খরচ হয়, কিন্তু অনেক বোটে ৫০ হাজার টাকার মাছও পাওয়া যাচ্ছে না।”

মৎস্য অবতারণকেন্দ্রের পাইকার কামাল বলেন, “ট্রলিং বোট, ঘোপ, বাদা ও নেট জালের কারণে সব রকমের মাছে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। এই অবৈধ ট্রলিংগুলো আমাদের গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

এ বিষয়ে পাথরঘাটা মৎস্য অবতারণকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক লে: কমান্ডার জি এম মাসুম শিকদার জানান, “জেলেরা সাগরে গিয়ে মাছ পাচ্ছেন না, তাই পাথরঘাটা অবতরণকেন্দ্রে মাছ কম আসছে এবং রাজস্ব আদায়ও কমছে। তবে আমরা আশা করছি, এই সংকট শিগগিরই কেটে যাবে।”

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




রাঙ্গাবালীতে আমনের বাম্পার ফলন: কৃষকদের মুখে হাসি

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় আমন ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকদের মধ্যে বইছে আনন্দের জোয়ার। উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের মাঠজুড়ে দুলছে সোনালি ফসলের শীষ। ধান পাকতে শুরু করায় কৃষকরা এখন ধান কাটার উৎসবে মেতে উঠেছেন। কাটা-মাড়াই শেষে খরচ মিটিয়ে ধারদেনা পরিশোধ করতে পারবেন বলে আশাবাদী তারা।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে রাঙ্গাবালীতে ২৮,৪৬০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকার পাশাপাশি সঠিক পরিচর্যার কারণে প্রত্যাশিত ফলন পেয়েছেন কৃষকরা।

উপজেলার বিভিন্ন মাঠে ঘুরে দেখা যায়, ধানের শীষে ভরে উঠেছে জমি। অনেক জমিতে ধান কাটা শুরু হলেও কিছু নিচু জমির ধান কাটতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে। কৃষকদের মতে, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে এবং ধান পাকতেও বেশি সময় লাগেনি।

কৃষকরা জানান, সব খরচ বাদ দিয়ে এবার তারা লাভবান হবেন বলে আশা করছেন। তবে স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তরের সহযোগিতা নিয়ে তাদের কিছু ক্ষোভ রয়েছে। তাদের দাবি, চাষাবাদে সহযোগিতার জন্য কৃষি অফিস থেকে তেমন সহায়তা পাননি।

রাঙ্গাবালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, “এ বছর আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা আগামী দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যে ধান ঘরে তুলতে পারবে। প্রতি হেক্টরে গড়ে ৫ মেট্রিক টন ফলন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।”

কৃষকদের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা ধানের বীজ ও সার বিতরণ করেছি এবং মাঠ পর্যায়ে পরামর্শ দিয়েছি। তবে একটি মাত্র অফিসের কারণে সবার কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। যদি কেউ বাদ পড়ে থাকে, তারা যোগাযোগ করলে আমরা অবশ্যই তাদের সহায়তা করব।”

ধান কাটার উৎসবে মেতে উঠেছেন কৃষকরা। তাদের দুঃখ-কষ্ট ও অভিযোগকে ছাপিয়ে গেছে মাঠভর্তি পাকা ধানের দৃশ্য। এখন চলছে ধান কেটে বাড়ির আঙিনায় আনার কাজ।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



পিরোজপুরে মালটার চাষে কৃষকদের দুঃখ, লাভের সুযোগ সীমিত

পিরোজপুর, যা একসময় নারকেল এবং সুপারির জন্য পরিচিত ছিল, বর্তমানে মালটার চাষের জন্য অন্যতম স্বর্ণখনি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। প্রতি বছর সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত মালটার ব্যাপক উৎপাদন হয়ে থাকে, যা এখন জেলার ব্র্যান্ডিং ফল হিসেবে জায়গা দখল করে নিয়েছে। জেলা প্রশাসন পাঁচ বছর আগে মালটাকে ব্র্যান্ডিং ফল হিসেবে ঘোষণা করেছে।

পিরোজপুরের সাতটি উপজেলায় হাজার খানেক মালটার বাগান গড়ে উঠেছে, যেখানে কৃষকরা এ ফল উৎপাদন করছেন। স্থানীয় পাইকাররা কৃষকদের কাছ থেকে মালটা সংগ্রহ করে স্থানীয় বাজারের চাহিদা পূরণ করে এবং ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করেন। তবে, ফলন ভালো হলেও কৃষকরা সমস্যায় পড়েছেন। হিমাগারের অভাব এবং ফল সংরক্ষণের উপায় না থাকায় কৃষকরা তাদের মালটা তাড়াহুড়া করে কম মূল্যে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে পাইকাররা লাভবান হলেও কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর পিরোজপুরে ৩৭৫ হেক্টর জমিতে ৪,৬০০ মেট্রিক টন বারি-১ জাতের মালটা উৎপাদিত হয়েছে, যা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

কাথুলিয়া গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ হাসান জানান, প্রথমে এই গ্রামে গুটি কয়েক ব্যক্তি মালটা চাষ শুরু করেছিলেন। তাদের লাভ দেখে অন্যরাও মালটা চাষে আগ্রহী হন। এখন পিরোজপুরে মালটা জাতীয় ফল হিসেবে পরিচিত, তবে কৃষকরা আগের মতো দাম পাচ্ছেন না।

একই গ্রামের কৃষক অসীম হালদার বলেন, “আমার বাগানটি দুই বিঘা। এ বছর ৪ লাখ টাকায় বাগান বিক্রি করেছি, তবে পূর্বের তুলনায় দাম অনেক কম। যদি মালটা সংরক্ষণ করে বিদেশে রপ্তানি করা যায়, তবে আমরা আরো লাভবান হতে পারব।”

পিরোজপুর সদর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের কৃষক তুহিন বালি জানান, “বাগানে পরিচর্যার খরচ বেড়ে যাওয়ার পরও প্রতিবছর মালটা পাইকারদের কাছে কম দামে বিক্রি করতে হয়। এ বছর ১ লাখ ১০ হাজার টাকায় বাগান বিক্রি করেছি, লাভ তেমন হয়নি।”

কৃষক কার্তিক মণ্ডল বলেন, “আগে মালটা উৎপাদন কম হলেও দাম ভালো পাওয়া যেত। বর্তমানে উৎপাদন বাড়ছে, কিন্তু দাম পাচ্ছি না। সার ও কীটনাশকের দাম বেড়েছে, কিন্তু মালটার দাম বাড়েনি। যদি হিমাগারের ব্যবস্থা থাকত, তবে আমরা মালটা সংরক্ষণ করে সারা বছর বিক্রি করতে পারতাম।”

স্থানীয় পাইকার মোহাম্মদ রাজীব জানান, “মালটা হওয়ার আগেই আমি এই এলাকার ফলের বাগান কিনি। খাওয়ার উপযোগী হলে তা সংগ্রহ করে স্থানীয় বাজারের চাহিদা পূরণ করি এবং ঢাকাসহ সারা দেশে সরবরাহ করি।”

পিরোজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, “পিরোজপুরের উপকূলীয় নদীবেষ্টিত জেলা হওয়ায় এখানে ফল চাষে সুবিধা হয়। বিশেষ করে সাইট্রাস জাতের ফল এখানে ভালো হয়। এ বছর ৩৭৫ হেক্টর জমিতে ৪,৬০০ মেট্রিক টন মালটা উৎপাদিত হয়েছে, যা দেশের অর্থনীতিতে বড় অবদান রেখেছে।” কৃষকদের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, “মালটা সংরক্ষণের জন্য হিমাগারের ব্যবস্থা করলে কৃষকরা লাভবান হবেন।”

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




ভোলায় কাঁকড়া চাষে স্বাবলম্বী হচ্ছেন স্থানীয়রা

ভোলার সাগর মোহনার দ্বীপ চর ইউনিয়ন চর কুকরি মুকরির মানুষজন দীর্ঘদিন ধরে মৎস্য খাতের সঙ্গে যুক্ত। এখানকার অধিকাংশ মানুষের জীবিকা নির্বাহের প্রধান উৎস হচ্ছে মাছ ধরা। তবে বর্তমানে এই অঞ্চলের জেলেরা কাঁকড়া চাষের মাধ্যমে আরেকটি লাভজনক পেশায় যুক্ত হচ্ছেন।

চারপাশে নদী ও সাগর দিয়ে বেষ্টিত চর কুকরি মুকরি এলাকায় বেড়ীবাঁধের এক পাশে বসতি এবং অন্য পাশে শাখা নদী ও সাগর রয়েছে। এখানকার জেলেরা ইলিশ, চিংড়ির পাশাপাশি কাঁকড়াকেও এক গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হিসেবে চাষ করছেন। গত কয়েক বছরে কাঁকড়া চাষের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে, বিশেষ করে বর্ষাকালে কাঁকড়া চাষ ও শিকার বাড়ে।

পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রক্রিয়াজাতকরণে সহায়তা পেলে কাঁকড়া রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন স্থানীয়রা। চর কুকরি মুকরির খলিলুর রহমান কয়েক বছর আগে অনাবাদি ১৫ একর জমিতে ঘের তৈরি করে কাঁকড়া চাষ শুরু করেন। তিনি সাগরমোহনার ডুবোচর ও ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল থেকে কাঁকড়ার বাচ্চা এনে খামারে ছাড়েন এবং খাবার হিসেবে কুচিলা, পচা চিংড়ি, শুটকি ব্যবহার করেন। মাত্র তিন মাসের মধ্যে এই কাঁকড়া আকারে ২শ’ থেকে ৩শ’ গ্রাম ওজনী হয়ে ওঠে। বাজারে সেগুলো ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়।

এ অঞ্চলের কাঁকড়া চাষে স্বাবলম্বী হওয়ার হার বেড়েছে। স্বল্প পুঁজিতে অধিক লাভজনক হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে এই পেশায় আগ্রহও বাড়ছে। উপজেলার বঙ্গোপসাগর উপকূলে ঢালচর, চর পাতিলা, মানিকা এবং কুকরি-মুকরীতে নদী ও সামুদ্রিক কাঁকড়া শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করছে হাজারও পরিবার।

এখানে কাঁকড়া শিকার ও চাষের প্রচলিত পদ্ধতি হচ্ছে শুকিয়ে যাওয়া খাল, বিল, নদী এবং ম্যানগ্রোভ বাগানে শিকারিদের কাঁকড়া শিকার। কাঁকড়া, বিশ্বের অন্যতম মৎস্যসম্পদ হিসেবে খ্যাত, মূলত ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল থেকে আহরিত হয় এবং তা রফতানি হয়ে বিভিন্ন দেশে যায়।

এছাড়া চর কুকরি এলাকার কাঁকড়া চাষী ফিরোজ মেম্বার ২০১৩ সালে এফডিবি সংস্থার সহযোগিতায় প্রশিক্ষণ নিয়ে পুকুরে কাঁকড়া চাষ শুরু করেন এবং অল্প সময়ের মধ্যে তিনি ভাল লাভ অর্জন করেন। তবে বর্তমানে বাজারের চাহিদা কমে যাওয়ায় দাম কিছুটা কমেছে।

এছাড়া চর কচ্ছপিয়া এলাকার কাঁকড়া শিকারি ইসমাইল মিস্ত্রী জানান, তারা পরিবারের চারজন মিলে কাঁকড়া শিকার করেন। তবে বর্তমানে কাঁকড়ার দাম কমে গেছে, ফলে অনেক শিকারি এই পেশা ছেড়ে দিয়েছেন।

এছাড়া চর কুকরি এলাকার কাঁকড়া ব্যবসায়ীরা জানান, আগে যেখানে প্রতিদিন ৫০টিরও বেশি কাঁকড়ার ঝুড়ি বিদেশে রপ্তানি হতো, এখন সেখানে মাত্র ৫-১০টি ঝুড়ি সপ্তাহে ঢাকা পাঠানো যায়।

এ অঞ্চলের মৎস্য বিভাগ সূত্র জানায়, কাঁকড়া চাষ ও শিকার লাভজনক হওয়ায় এখানে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন এনজিও ও মৎস্য অধিদপ্তর কাঁকড়া চাষের প্রতি স্থানীয়দের উদ্বুদ্ধ করছে।

মোটকথা, কাঁকড়া চাষের মাধ্যমে স্থানীয়রা নিজেদের অর্থনৈতিক অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করছে, এবং ভবিষ্যতে এটি আরও বড় আয়উৎসবে পরিণত হতে পারে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



বাউফলে প্রণোদনার আওতায় বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ

পটুয়াখালীর বাউফলে রবি মৌসুমে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের জন্য প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা অডিটরিয়াম হল রুমে এই কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা প্রতীক কুমার কুন্ডুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পটুয়াখালী খামারবাড়ির উপ-পরিচালক নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম। আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা রিয়াজুল ইসলামসহ বিভিন্ন কর্মকর্তারা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অনিরুদ্ধ দাস তার বক্তব্যে জানান, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট ১১টি ফসলের বীজ যেমন গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, চিনাবাদাম, সয়াবিন, পেঁয়াজ, মুগডাল, মসুর, ফেলন ও খেসারীর চাষাবাদে ৮,৬৭৫ জন কৃষককে এই প্রণোদনা দেওয়া হবে। বীজের পাশাপাশি কৃষকদের ফসল উৎপাদন বৃদ্ধিতে বিনামূল্যে সারও সরবরাহ করা হবে।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় কৃষক রিয়াজ হোসেন এবং মাই টিভি প্রতিনিধি অহিদুজ্জামান ডিউক বক্তব্য রাখেন।

উদ্বোধনী পর্ব শেষে প্রধান অতিথি এবং অন্যান্য অতিথিরা কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ করেন।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




শীত ও কুয়াশা নিয়ে যে সতর্কবার্তা দিল আবহাওয়া অফিস

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশার পড়তে পারে। এর কারণে দৃষ্টিসীমা ৭০০ মিটার বা কোথাও কোথাও এর চেয়ে কম হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক সতর্কবার্তায় সংস্থাটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ভোর ৫টা থেকে ২-৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা ৭০০ মিটার বা কোথাও কোথাও এর চেয়ে কম হতে পারে। তাই এসব এলাকার নৌযানগুলোকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। তবে কোনো সতর্কসংকেত দেখাতে হবে না।

অপর এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সন্ধ্যা পর্যন্ত খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা খুলনা, বরিশাল, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় দেশের অন্যান্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

এ সময় শেষ রাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।




বাংলাদেশ কারো ষড়যন্ত্রের সামনে পরাস্ত হবে না: মাহফুজ আলম

বাংলাদেশ কারো ষড়যন্ত্রের সামনে পরাস্ত হবে না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এই মন্তব্য করেন। পোস্টে তিনি চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং আইনজীবীদের সঙ্গে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে আইনি সহিংসতায় আইনজীবী সাইফুল ইসলামের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কথা বলেন।

মাহফুজ আলম বলেন, “হঠকারিতা, নেতিবাচকতা ও ভাঙনের মানসিকতা থেকে বের হয়ে আমাদের সৃজনশীল ও ইতিবাচক মানসিকতায় এ রাষ্ট্রকে গড়তে হবে। এ রাষ্ট্র পরিগঠন করলেই কেবল শহিদ আলিফের শাহাদাতসহ শহিদানদের রক্তের মূল্য হতে পারে।”

পোস্টে তিনি ছাত্র-জনতাকে অভিবাদন জানিয়ে বলেন, “দায়িত্ব ও দরদের নজির দেখিয়ে আপনারা বাংলাদেশকে গর্বিত করেছেন। বাংলাদেশ আর কারো ষড়যন্ত্রের সামনে পরাস্ত হবে না। ইনশাআল্লাহ।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের ব্যক্তি ও সমষ্টির ‘শক্তি’ সাধনায় দরদি ও দায়িত্ববান হয়ে রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী হয়ে ওঠা মোক্ষ। আমাদের এই অভ্যন্তরীণ শক্তি যেকোনো বহিঃশত্রুকে পরাজিত করবে। আমরা আর উপনিবেশযোগ্য (Colonizable) হবো না।”

দেশের ‘প্রাজ্ঞ আলেম ও মুসলিম নেতৃবৃন্দের’ ‘বিশেষ ধন্যবাদ’ প্রাপ্য উল্লেখ করে মাহফুজ আলম লিখেছেন, “আপনারা এ গণঅভ্যুত্থানের পক্ষে বাঙালি মুসলমানকে দায়িত্বশীল আচরণে অনুপ্রাণিত করেছেন। ধর্ম, বর্ণ ও লিঙ্গ নির্বিশেষে সব নাগরিকের সমান অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে আপনাদের আজ ও আগামীর প্রাজ্ঞ উদ্যোগ বাংলাদেশ রাষ্ট্রে আপনাদের ইজ্জত ও শরিকানা নিশ্চিত করবে।”

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম