বুধবার থেকে খুলছে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক : আগামীকাল বুধবার থেকে খুলছে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়। ফলে প্রায় একমাস বন্ধ থাকার পর খুলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।




ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ও কোচিং বানিজ্য বন্ধের দাবীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালী সরকারি কলেজে ছাত্র রাজনীতি বন্ধসহ ৭দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে বিক্ষোভ সমাবেশ মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

আজ রবিবার বেলা ১১টার দিকে পটুয়াখালী সরকারী কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচী পালিত হয়। কর্মসূচী শেষে কলেজ অধ্যাক্ষের কাছে দেয়া ৭দফা দাবী সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন।

দাবী গুলো হলোঃ কলেজে শিক্ষক ও ছাত্র রাজনীতি সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধকরণ, ছাত্র সংসদ প্রতিষ্ঠা ও কার্যক্রম বাস্তবায়ন, প্রশাসনিক ব্যবস্থা জোরদারকরণ ও নিরাপত্তা বৃদ্ধি, শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধকরণ, কলেজে লাইব্রেরি, ক্যান্টিন স্থাপন এবং সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সুবিধা বৃদ্ধি, কলেজ উনয়ন ও হল সংস্কার কার্যক্রম এবং শিক্ষকদের প্রাইভেট বাণিজ্য নিষিদ্ধকরণ।




প্রধান উপদেষ্টা আজ আবু সাঈদের গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক : অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস শিক্ষার্থীদের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদের পীরগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে আসছেন আজ।
প্রধান উপদেষ্টার পীরগঞ্জের বাবনপুরে আবু সাঈদের বাড়িতে আসার বিষয়ে রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান সাংবাদিকদের জানান, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে পীরগঞ্জের বাবনপুর আসবেন। এখানে এসে তিনি আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করবেন এবং তার পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলবেন।’




রোববার থেকে শুরু হচ্ছে পবিপ্রবির ক্লাস ও পরীক্ষা

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার খুলে দেয়া হয়েছে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল সমূহ আগামী রোববার শুরু হবে ক্লাস ও পরীক্ষা।

ছাত্রছাত্রীরা হলে ফিরতে শুরু করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. এস এম হেমায়েত জাহান বলেন, হল খুলে দেয়া হয়েছে আগামী রোববার থেকে যথানিয়মে ক্লাস ও পরীক্ষা শুরু হবে মর্মে নোটিশ দেয়া হয়েছে।

সট: ড. এস এম হেমায়েত জাহান, রেজিষ্ট্রার পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।




বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ড. ইউনূসকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ঘোষণা

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :

নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের রূপরেখা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে সমন্বয়ক  আসিফ মাহমুদের ফেসবুকে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় এ ঘোষণা দেন আন্দোলনের সমন্বয়করা।

ভিডিও বার্তায় সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের রূপরেখা দিতে আমরা ২৪ ঘণ্টা সময় নিয়েছিলাম। কিন্তু জরুরি পরিস্থিতি বিবেচনায় এখনই রূপরেখা ঘোষণা করছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে। তার সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে, তিনি দায়িত্ব নিতে সম্মত হয়েছেন।

এ সমন্বয়ক আরও বলেন, আমরা সকালের মধ্যে সরকার গঠনের প্রক্রিয়া দেখতে চাই। রাষ্ট্রপতির কাছে অনুরোধ থাকবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হোক। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাকি সদস্যদের নামও আমরা সকালের মধ্যে ঘোষণা করব।

এর আগে সারা দেশে সহিংসতা এবং লুটপাট রোধে ওয়ার্ডভিত্তিক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা কমিটি গঠনের আহ্বান জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ।

সোমবার দিবাগত রাত দেড়টায় তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এ আহ্বান জানান।

আসিফ মাহমুদ বলেন, সারা দেশে স্ব-উদ্যোগে ওয়ার্ডভিত্তিক ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা কমিটি’ গঠনের জন্য ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থানের সকল অংশগ্রহণকারী ও আপামর জনতার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। দ্রুত বাস্তবায়নে এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। দেশ গঠনে সচেষ্ট হোন।

অপর এক পোস্টে তিনি বলেন, আওয়ামী নৈরাজ্য ও ঘৃণ্য রাজনীতি প্রসূত এই সাম্প্রদায়িক উসকানি, হামলা এবং সকল লুটতরাজ রুখে দেওয়ার জন্য ছাত্র-নাগরিকের প্রতি জোরালো আহ্বান থাকল। আপনারা আপনাদের নিজ নিজ এলাকার মসজিদ থেকে এই সাম্প্রদায়িক হামলা রুখে দেওয়ার ঘোষণা দিন এবং হিন্দু, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধসহ অন্য ধর্মাবলম্বী নাগরিকদের জান ও মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। আওয়ামী সন্ত্রাস রুখে দিতে হবে, সবাই এগিয়ে আসুন।

এর আগে সোমবার দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়েন। এসময় তার ছোট বোন শেখ রেহানা সঙ্গে ছিলেন।




শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যার সমাধান করতে চায় সরকার, অশান্তি সৃষ্টি করলে শক্ত হাতে দমন করা হবে : আরাফাত

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক : তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, সরকার আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যার সমাধান করতে চায়। কিন্তু অশান্তি সৃষ্টি করা হলে তা শক্ত হাতে দমন করা হবে। আইনের প্রয়োগ করা হবে।’

গতকাল বিকেলে সংসদ ভবনের টানেলে জরুরি এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সংঘাত এড়ানোর জন্য আলোচনার দরজা খোলা রেখেছি। আমরা সংঘাতে যেতে চাচ্ছি না। কিন্তু একই সাথে বলতে চাই, সন্ত্রাসীরা সন্ত্রাস করলে আইনের প্রয়োগও ঘটাতে হবে। অশান্তি সৃষ্টি করা হলে তা শক্ত হাতে দমন করা হবে। আমরা সন্ত্রাসকে দমন করবো।’
ব্রিটেনের উদাহরণ দিয়ে মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ‘‘সাউথপোর্টে গুজবের ওপর ভিত্তি করে যে ক্লাশ হয়েছে, সেখানে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘দ্য রায়েটার্স উইল ফেস ফুল ফোর্স অব ল’। মানে সন্ত্রাস দমনে আইনের পূর্ণাঙ্গ প্রয়োগ করা হবে। এটা ব্রিটেন বলছে। গোটা দুনিয়াতেও তাই বলে। আমাদেরও কথা হচ্ছে আইনের প্রয়োগ হবে এবং সন্ত্রাসকে দমন করা হবে।

আন্দোলনকারী বা যারা দাবি জানাচ্ছে বা সাধারণ মানুষের আবেগ অনুভূতি-এই মৃত্যুগুলো বা হতাহত নিয়ে যে দাবি সেই স্পিরিটের সাথে সরকার একমত ও শ্রদ্ধা করে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলন আর আন্দোলনের জায়গায় নেই। এখন সন্ত্রাস-সহিংসতায় চলে গেছে। আমাদের শান্তির পক্ষে অবস্থান ছিল। আমরা আলোচনার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলাম। সহিসংতার ফলে যে হতাহতের ঘটনা ঘটেছিল, তার বিচারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলাম। যারা আহত-নিহত হয়েছেন এদের মধ্যে অনেকে শিশু ছিল। এই মৃত্যুগুলোর জন্য বাংলাদেশের সতেরো কোটি মানুষ কাঁদছে। এই মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী তাদের বিচার করতে হবে। তদন্ত করে জানতে হবে কারা এই হত্যাগুলো করেছে। এই শিশুরা সরকার পতনের আন্দোলন করছিল না। এই শিশুরা বেঁচে থাকলে সরকারের কি ক্ষতি হতো? এই শিশুদের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে সরকারের কি লাভ হয়েছে? আমি সাধারণ মানুষের বিবেকের কাছে এ প্রশ্নগুলো করতে চাই। এই মৃত্যুগুলো, এই লাশের ওপর দাঁড়িয়ে কারা এর সুবিধা নিয়েছে, মানুষকে উসকে দিয়েছে? কারা মানুষকে উসকে দিয়ে বিপথে পরিচালিত করেছে এবং তাদের বিভিন্ন ধরণের উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার চেষ্টা করেছে?
তিনি এ প্রসঙ্গে আরো বলেন, আমরা সবাই বিচার চাই। কিন্তু রায় দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তার মানে বিচার চাওয়া হচ্ছে না। সরকার বিচার চায় সেজন্য বিচার বিভাগীয় কমিশন করা হয়েছে। বিচার বিভাগীয় কমিশন কাজ শুরু করেছে। আজ তারা রংপুরে গেছে। তারা বিদেশি এক্সপার্টদের আনছে। তারাও এ তদন্তে ঢুকবে। তারাও বলবে তদন্তে কি পাচ্ছে, না পাচ্ছে। একবারে স্বচ্ছতার সাথে। তদন্তের পর জানা যাবে কে, কিভাবে হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে। আমরা সঠিক বিচারের মাধ্যমে আসল অন্যায়কারীকে ধরতে চাই। কিন্তু যে তদন্তের আগে, বিচারের আগে রায় দিতে চাচ্ছে, বলছে সরকার দায়ী, সরকার খুনি তাহলে তো তারা বিচার চাচ্ছে না। তারা আসল অন্যায়কারীকে ধরতে চাচ্ছে না। এটা পরিস্কার। তারা কি চাচ্ছে সে ঘোষণা তারা গতকাল দিয়েছে। কোটা, অধিকার এ আসল জায়গায় তারা নেই। এ ঘোষণার পরে তারা এটা অর্জন করতে চাচ্ছে সন্ত্রাস এবং সহিংসতার পথে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেনি। আন্দোলনকারীরা বিএনপির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। এখন আর তারা আলাদা থাকলো না। এটা বিএনপি জামায়াতই হয়ে গেলো। মূলত এতদিন তাদের দাবি ছিল কোটা। সেটা পূরণ হলো। তারপর দাবি ছিল, আলোচনা, সেটার দ্বার খুলে দেওয়া হলো। দাবি ছিল বিচার সেটাও পূরণ হচ্ছে। তাদের সব দাবি পূরণ হয়ে গেলো। তারপর এখন তাদের এক দফার দাবি। এখন ওখানে তারা যেতেই চাইবে। তারা বিএনপি-জামায়াতদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে নিজস্ব পরিচয় ডিজলভ করে। ২৮ অক্টোবর যাদের মোকাবিলা করেছিলাম, তারাই সামনে চলে এসেছে। এটা এখন জনগণ আর ছাত্রদের অধিকারের যায়গায় থাকলো না। এখন যদি তারা সন্ত্রাস করে, সেটা আমরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবো।’

তিনি বলেন, ‘গতকাল (শনিবার) পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচিগুলো হয়েছে। কোটা আন্দোলনকারীরা শহীদ মিনারে কর্মসূচি পালন করেছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমরা কোথাও কোনও কর্মসূচি দেইনি। আমাদের অবস্থান ছিল পুরো শান্তিপূর্ণ ও সহনশীল। আমরা অশান্তি, সংঘাত-সহিংসতা চাই না।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল প্রস্তাব দিয়েছেন, আন্দোলনকারীদের শান্তিপূর্ণ উপায়ে যে কোনও ধরণের ডায়ালগের সুযোগ আছে। এছাড়া তিনি কতগুলো ইতিবাচক সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। যেমন অভিযোগ ছিল অনেক ছাত্রদের অহেতুক গ্রেফতার করা হয়েছে, সেখানে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) কড়া নির্দেশনা দিয়েছেন এটি যেনো করা না হয়। অনেককে ছেড়েও দেওয়া হয়েছে। এই বাস্তবতায় আমরা আমাদের মতো শান্তিপূর্ণ অবস্থানে থাকবো এবং অন্যরা তাদের যে রাজনৈতিক কর্মসূচি বা যা-ই থাকুক তারা তাদের মতো করবে। যদিও আশ্চর্যজনকভাবে প্রধানমন্ত্রীর ইতিবাচক প্রস্তাবনাগুলোকে গ্রহণ না করে জবাব হিসেবে তারা বলেছে যে একদফা দাবিতে গেছে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমার ধারণা, সাধারণ মানুষ এতদিন যে জায়গায় ছিল-এই একদফা দাবির পরে মোটামুটি একটা বিষয় পরিষ্কার হয়ে গেছে, আসলে উদ্দেশ্যটা কী? এটা এখন পুরোপুরি একটা রাজনৈতিক বিষয় হয়ে গেছে। এখন ছাত্রদের অধিকার, কোটা বা হতাহতের যে ঘটনা ঘটেছে তার বিচার এই জায়গায় কিন্তু নেই। এখন তারা সোজা ক্ষমতার সংঘাতে এবং ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য এটা করছে। কোটা আন্দোলনকারী বা ছাত্রদের এ ধরণের দাবির যৌক্তিকতা নেই। তারা রাজনৈতিক দল নয়, কিন্তু তারা এ কথা বলেছে।’

তিনি বলেন, ‘ রবিবার তারা সংঘাত দিয়ে শুরু করলো। আমরা সহনশীল ছিলাম। আমরা কোথাও নেই। আমাদের এই অনুপস্থিতিটাকে অনেক সময় দুর্বলতা হিসেবে নেওয়া হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শক্ত হলে কোনও সংঘাত ঘটলে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ আসছে। যে কারণে আমরা একেবাবেই শান্তিপূর্ণভাবে থাকছি।’

রবিবারের সহিংসতায় বিভিন্ন স্থাপনায় আক্রমণ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে সন্ত্রাসীরা কীভাবে আগুন লাগিয়েছে। সিএমএম কোর্টে, ধুপচাচিয়া এসিল্যান্ড অফিস, গাইবান্ধা ডিসি অফিস, এসপি অফিস, ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের অফিস, রংপুরে আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস, নারায়ণগঞ্জ ডিসি অফিস, ঈশ্বরগঞ্জে ইউএনও’র বাসা, বগুড়া সদর এসিল্যান্ড অফিস, বগুড়া, কিশোরগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আক্রমণ ও আগুন দিয়েছে। নেত্রকোনা পুলিশ স্টেশন থেকে জঙ্গী কায়দায় অস্ত্র ছিনতাই করেছে। এরকম আরও অনেক ঘটনা ঘটাচ্ছে।’

সাধারণ মানুষ সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে শুরু করেছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলনের নামে যে সন্ত্রাসীরা ঢুকেছে, তারা প্রতিহতের শিকার হয়েছে। সাধারণ মানুষ এটা প্রতিহত করেছে। সাধারণ মানুষ সন্ত্রাসীদের বিপক্ষে জাগছে এবং জাগবে এটাই বাস্তবতা। দেশে একটা সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ এবং শৃঙ্খলা থাকলে বিচারকার্য থেকে শুরু করে সব ধরণের দাবির সমাধান করা যাবে। সন্ত্রাস-সহিংসতার মাধ্যমে কিছু করা যাবে না।’




বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ড

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক : রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভাঙচুর এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মেডিকেলের ভিতরে থাকা গাড়িগুলোতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।

রোববার (৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি কার্যালয়ের সামনে থাকা একটি গাড়িতে আগুন দেয় তারা।

জানা গেছে, হাসপাতালের ভেতরে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আর বাইরে আন্দোলনকারীরা। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করলে দুই পক্ষের সঙ্গে ধাওয়া পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এরপর হাসপাতাল বিল্ডিংয়ের নিচতলার মার্কেটের ভিতর থেকে মোটরসাইকেল বের করে তাতে আগুন লাগিয়ে দেন বিক্ষুব্ধরা।

জানা গেছে, শাহবাগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে একটি গ্রুপ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ব্লকের গেট থেকে ভেতরে প্রবেশ করে। ভেতরে প্রবেশ করেই তারা প্রথমে পার্কিংয়ে রাখা সব গাড়ি ভাঙচুর করে এবং তারপরে ব্লকের ভেতরে ঢুকে পড়ে।

বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থানরত শিক্ষক চিকিৎসক ও কর্মচারীরা আতঙ্কিত হয়ে যে যেখানে পেরেছেন নিরাপদ আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যর অফিসের কর্মচারীসহ অনেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। বিশ্ববিদ্যালয় যারা নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে এমন অনেকে এই প্রতিবেদককে জানিয়েছে যে তারা কোনোভাবে বেড়োতে পারছে না।




‘আন্দোলনে ৩২ শিশু নিহতের তথ্য সরকারের কাছে নেই’

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক : জুলাই মাসে বিক্ষোভের সময় অন্তত ৩২ শিশু নিহত হয়েছে বলে ইউনিসেফ যে বিবৃতি দিয়েছে সে সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই বলে জানিয়েছে সরকার। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শনিবার (৩ আগস্ট) এই কথা বলা হয়।

মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ইফতেখার হোসেন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদন থেকে গতকাল (২ আগস্ট) জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা (ইউনিসেফ)-এর দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক সঞ্জয় উইজেসেকেরার দেওয়া বিবৃতি বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সঞ্জয় উইজেসেকেরার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘জুলাই মাসে বিক্ষোভের সময় অন্তত ৩২ শিশু নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছে ইউনিসেফ। এ ছাড়া অনেক শিশু আহত হয়েছে এবং অনেককে আটক করা হয়েছে।’

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের কাছে ৩২ জন শিশু নিহত হওয়ার এ মুহূর্তে কোনো তথ্য নেই। তাছাড়া ইউনিসেফের এশিয়া অঞ্চলের পরিচালকের এ বিবৃতিতে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য সূত্রের উল্লেখ নেই এবং নিহতদের নাম, পরিচয়, প্রোফাইল বা তালিকা উল্লেখ নেই। তবে ইউনিসেফের পক্ষ থেকে নির্ভরযোগ্য তথ্য সূত্রের উল্লেখসহ ৩২ জন শিশু মৃত্যুর তালিকা সরবরাহ করা হলে বাংলাদেশ সরকার এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। শিশুসহ বাংলাদেশের মানুষের অনাকাঙ্ক্ষিত একটি মৃত্যুও কোনোভাবেই সরকারের কাম্য নয় এবং কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় প্রতিটি মৃত্যুর ঘটনা স্বাধীন বিচার বিভাগীয় কমিশনের মাধ্যমে তদন্ত করে সরকার এর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে।

ইউনিসেফের বিবৃতিতে শিশু বেআইনিভাবে আটকের বিষয়ও উল্লেখ করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে সরকারের সুস্পষ্ট বক্তব্য হলো, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জ্ঞাতসারে কোনো শিশুকে বেআইনিভাবে আটক করেনি। তদুপরি কোথাও এ সংক্রান্ত ভুলভ্রান্তি হয়ে থাকলে তা জানা মাত্রই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।




টেন মিনিট স্কুল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক : নির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে দেশের অনলাইনভিত্তিক জনপ্রিয় শিক্ষণ প্ল্যাটফর্ম টেন মিনিট স্কুল।

শনিবার (৩ আগস্ট) প্রতিষ্ঠানটির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

ফেসবুক পোস্টে জানানো হয়, টেন মিনিট স্কুলের সকল লাইভ ক্লাস, রিভিশন ক্লাস এবং ইংলিশ সেন্টারের অফলাইন ক্লাস শনিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আয়মান সাদিকও তার ফেসবুক স্টোরিতে এ তথ্য শেয়ার করেন।

তবে, তাদের অনলাইনে পাঠদানের লাইভ স্ট্রিমিং ও অফলাইন ক্লাস বন্ধ থাকলেও সচল থাকবে তাদের ওয়েবসাইট ও ইউটিউবে আগের সব পাঠদানের ভিডিওগুলো।

প্রসঙ্গত, দেশে করোনা মহামারির সময় স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম যখন থমকে যায়, তখন অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থা নতুন করে জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে। লকডাউনেও যাতে পড়াশোনা থেমে না থাকে এই চেষ্টায় নতুন নতুন কোর্স ও বই বের করে ই-লার্নিং প্রতিষ্ঠানগুলো। শুধু এই মহামারির সময় প্রায় ৯০ লাখ নতুন শিক্ষার্থী যুক্ত হয় টেন মিনিট স্কুলের সঙ্গে। ১৭ হাজার নতুন ভিডিও লেকচার যুক্ত হয় তাদের শিক্ষা কার্যক্রমে।




আইনমন্ত্রীর উদ্যোগে বিভিন্ন আদালত থেকে ৭৮ জন এইচএসসি পরীক্ষার্থীর জামিন

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক : আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকের বিশেষ উদ্যোগে শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও ঢাকার দুই আদালত থেকে ৭৮ জন এইচএসসি পরীক্ষার্থী জামিন পেয়েছেন। এরমধ্যে ঢাকা বিভাগের ৫৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১৪ জন, খুলনা বিভাগে ৬, রংপুর বিভাগে ৩ জন এইচএসসি পরীক্ষার্থী জামিন পেয়েছেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে চলমান সহিংসতা ও নাশকতামূলক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রুজু হওয়া মামলায় গ্রেপ্তারকৃত এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার কথা বিবেচনায় করে আইনমন্ত্রী তাদের জামিনের বিশেষ উদ্যোগ নেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় কোন নিরপরাধ ব্যক্তিকে যাতে কারাগারে যেতে না হয় সে বিষয়ে সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে। বিচার বিভাগ স্বাধীন কিন্তু প্রসিকিউশন টিম আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে। তাই যারা সহিংসতার ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, যারা এইচএসসি পরীক্ষার্থী, যারা মাইনর তাদেরকে জামিন দেওয়ার ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়ার জন্য প্রসিকিউশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
আইনমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের দ্রুত জামিন দেওয়ার ব্যাপারে উদ্যোগী হতে সারাদেশের প্রসিকিউশন টিমকে (রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী) নির্দেশনা দিয়েছেন। এই নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার ছুটির দিনেও ঢাকা সিএমএম আদালত থেকে ৩৭ জন এবং চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রট আদালত থেকে ৫ জন পরীক্ষার্থী জামিন পেয়েছেন। আগামী ১১ আগস্ট থেকে তাদের স্থগিতকৃত পরীক্ষাসমূহ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।