কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ৫০ হাজারেরও বেশিবার গুরুত্বপূর্ণ ৮টি ওয়েবসাইটে সাইবার হামলা

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক : কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংস পরিস্থিতিতে ৫০ হাজারেরও বেশিবার গুরুত্বপূর্ণ ৮টি ওয়েবসাইটে সাইবার হামলা হয়েছে। তবেএসব হামলায় কোনো ওয়েবসাইট থেকে গুরুত্বপূর্ণ কোন তথ্য নিতে পারেনি হ্যাকাররা।

চলমান সময়ের সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে অংশীজনদের সাথে জরুরী বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট হামলা হয়নি। ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি আর্থিক ব্যবস্থাপনাও। ৭০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে হামলা করা হয়েছে। এমন তথ্য জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক ভিপিএন’র অতিরিক্ত ব্যবহারে সাইবার হামলার ঝুঁকি বাড়ছে।সা

মাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামীকাল পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে ফেসবুক, টুইটার, টিকটককে। ইতোমধ্যে টিকটক ই-মেইলে সাড়া দিয়েছে। বাকী দুটো সামাজিক মাধ্যম থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে আইসিটি বিভাগ। ইন্টারনেট গতি নিয়ে সরকারের তরফ থেকে কোনো নির্দেশনা নেই, এমন মন্তব্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ফ্রিল্যান্সারদের ক্ষতিপূরণের জন্য তাদের সেবা রপ্তানীতে যেন ইনসেনটিভ দেয়া যায় সে চেষ্টা করা হবে আইসিটি বিভাগের পক্ষ থেকে। ব্যাংক, তৈরি পোষাক, বিদ্যুৎ জ্বালানী ও শিক্ষা খাতে সাইবার হামলার আশঙ্কা আছে মন্তব্য করে প্রতিমন্ত্রী জানান, সরকারের চিহ্নিত ৩৫ টি ক্রিটিক্যাল ইনফ্রাস্ট্রাকচারের মধ্যে মাত্র ৮টি সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক নীতিমালা মেনে চলছে।




আন্দোলন চলাকালে নুরকে এক নেতা ৪ লাখ টাকা দেন: ডিবিপ্রধান

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক : ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছন, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে গণ-অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হককে (নুর) এক নেতা ৪ লাখ টাকা দিয়েছেন। রিমান্ডে তিনি এ কথা স্বীকার করেছেন। এ টাকা পরে কাকে দেওয়া হয়েছে এবং কী কাজে খরচ করা হয়েছে, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে। খবর: বাসস

শনিবার রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিবিপ্রধান।

হারুন অর রশীদ বলেন, ‘নুরকে আমরা রিমান্ডে নিয়েছিলাম। তাঁর কাছ থেকে অনেক তথ্য পেয়েছি। সেই তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। আন্দোলন চলাকালে একজন নেতা তাঁকে চার লাখ টাকা দিয়েছেন। আমরা সেই নেতাকেও নিয়ে এসেছি। কী জন্য তিনি টাকা নুরকে দিয়েছেন, সেসব বিষয়ে ওই নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে নুরুল হকের যোগাযোগের তথ্য পাওয়া গেছে বলেও জানান ডিবিপ্রধান।

শুক্রবার পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হককে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এর আগে ২১ জুলাই তাঁর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।




১ আগস্ট পর্যন্ত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত

চন্দ্রদ্বীপ নিউজ: আগামী ২৮ জুলাই থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ও  ৪ আগস্ট থেকে পূর্বে দেওয়া রুটিন অনুসারে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
আজ  আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ও ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, অনিবার্য কারণবশত ২৮ জুলাই থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হলো। পরবর্তীতে এসব পরীক্ষার সময়সূচি জানানো হবে।
এর আগে দুই দফায় ১৮, ২১, ২৩ ও ২৫ জুলাইয়ের এইচএসসি ও সমমানের ৪টি পরীক্ষা স্থগিত করে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।




পটুয়াখালী বাউফল মহাসড়কে বিক্ষোভ ও গায়েবি জানাজা আদায় – পবিপ্রবির

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে চলমান ছাত্র আন্দোলনের অংশ হিসেবে পটুয়াখালীতে বিক্ষোভ মিছিল ও গায়েবি জানাজা পড়েছে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার দুপুর ১২টার দিকে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যাল গেটের সামনে পটুয়াখালী বাউফল মহাসড়ক আবরোধ করে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করে। এ সময় তারা বিভন্ন স্লোগান দিতে থাকে, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দিব না’, ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’। পরে কোঠা সংস্কার আন্দোলনে সারা দেশে মৃত্যু বরণকারী সকল শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে গায়েবি জানাজা পড়ে কর্মসূচি শেষ করে।

এছাড়া সারাদেশে ছাত্র সমাজের ওপর মর্মান্তিক হামলার প্রতিবাদ ও কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে দুমকিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বুধবার বেলা ১১টায় উপজেলার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা সরকারি জনতা কলেজ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে লেবুখালী-বাউফল সড়ক দিয়ে নতুন বাজার হয়ে থানাব্রিজ বাজার ও পবিপ্রবি হয়ে পুনরায় জনতা কলেজের সামনে এসে মহাসড়ক অবরোধ করে। তারা বেলা ১১টা থেকে টানা আড়াইটা মিনিট পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে দুপুর আড়াইটার পর যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়।




পবিপ্রবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি – সেশনজটের আশঙ্কা

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে ১৪তম দিনে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলছে।

রোববার (১৪ জুলাই) বেলা ১১টায় ১৪তম দিনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশনসংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা পরিষদ ও কর্মচারী ইউনিয়ন কর্মসূচি পালন করছে।

এ সময় শিক্ষক, কর্মকর্তা- কর্মচারীরা তাদের বিভিন্ন দাবির কথা তুলে ধরেন। দাবি আদায় না হাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

শিক্ষক, কর্মকর্তা- কর্মচারীদের এ সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। স্থবির হয়ে পড়েছে পবিপ্রবির শিক্ষা কার্যক্রম। দেখা দিচ্ছে সেশনজটের আশঙ্কা। শিক্ষার্থীরা দ্রুত এ সমস্যার সমাধানের দাবি জানিয়েছেন।

আরো পড়ুন : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট – এবার পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মো. আসাদুজ্জামান মিয়া (মুন্না) বলেন, যুগ যুগ ধরে দেশের সেরা শিক্ষার্থীরাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয় অথচ রাষ্ট্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের যেভাবে দেখছে তা চরম মর্যাদাহানিকর ও অবমাননাকর। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বৈষম্যমূলক প্রত্যয় পেনশন স্কিমের আওতায় থাকবে না।

তিনি আরো বলেন, আমাদের জন্য স্বতন্ত্র উচ্চতর বেতনস্কেল প্রবর্তন করতেই হবে। সারা দেশে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আজ এ দাবিতে কর্মসূচি দিয়েছে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা কর্মসূচি চালিয়ে যাব।




কোটাবৈষম্য নিরসনে পবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: কোটাবৈষম্য নিরসন করে সংসদে আইন পাস ও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় অভিমুখে গণপদযাত্রা ও রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।

আজ রোববার সকাল ১০টায় পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীরা গণপদযাত্রা শুরু করেন। পদযাত্রা শেষে দুপুর ১২টায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক যাদব সরকারের কাছে রাষ্ট্রপতি বরাবর লিখিত স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা।

আরো পড়ুন : বাউফলে হাতুড়িপেটায় আহত ব্যক্তির মৃত্যু

এ সময় বৈষম্যমূলক কোটাপদ্ধতি সংস্কার, দ্রুত সংসদে আইন পাস ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে। পদযাত্রায় পবিপ্রবির পাশাপাশি পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

স্মারকলিপি দেওয়া শেষে পবিপ্রবির শিক্ষার্থী সৈয়দ ইমাম হোসেন স্বাধীন বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির কাছে আমাদের অনুরোধ থাকবে, তিনি দ্রুত সংসদের অধিবেশন আহ্বান করে এই কোটাবৈষম্য নিরসন করবেন। পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর যে হামলা হচ্ছে, তা বন্ধ এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের করতে হবে।’

আন্দোলনরত পবিপ্রবি শিক্ষার্থী আব্দুল আজিজ বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে সঠিকভাবে কোটা সংস্কার ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করলেই সারা দেশের ছাত্রসমাজ পড়ার টেবিলে ফিরে যাবে।




পটুয়াখালী-বাউফল সড়ক অবরোধ পবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

বুধবার (১০ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন চত্বর ঘুরে প্রধান ফটকের সামনে পটুয়াখালী-বাউফল সড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

এ সময় কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে পটুয়াখালী-বাউফল সড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ফলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

আরো পড়ুন : পটুয়াখালীতে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফজলে রাব্বি সজীব বলেন, শুধু বিসিএস নয় সরকারি সকল সেক্টরে কোটা পদ্ধতি সংস্কার করতে হবে এবং পোষ্য কোটার মতো অযৌক্তিক সব কোটা বাতিল করতে হবে।

এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী সৈয়দ স্বাধীন বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে নই, বরং মুক্তিযুদ্ধের নাম ব্যবহার করে অযৌক্তিক কোটার বিরুদ্ধে।

উল্লেখ্য, ৯ জুন মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় স্থগিত না করে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন চেম্বার আদালত। ওইদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোতাহার হোসেন সাজু। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। এরপরই নতুন করে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয় কোটাবিরোধী আন্দোলন।




দুমকী উপজেলা ও পবিপ্রবি পঁচিশে পদার্পণে নানা আয়োজন

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত দুমকি উপজেলা ও দক্ষিণাঞ্চলের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) ২৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অর্থাৎ পঁচিশে পদার্পণ উপলক্ষ্যে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়েছে।

সোমবার (৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাহীন মাহমুদ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে এক বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা অডিটোরিয়ামে এসে এক আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাহীন মাহমুদ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন দুমকি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাওসার আমিন হাওলাদার।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাড. মাঈনুল ইসলাম রুবেল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুন নাহার শিরীন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আকন সেলিম, পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এইচএম আনোয়ার হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাওলানা আলমগীর হোসেন, শ্রীরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজাহার আলী মৃধা, পাঙ্গাশিয়া ইউপি চেয়ারম্যান গাজী নজরুল ইসলাম, চরগরব্দী আবুল কাশেম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ‌ আলম প্রমূখ। এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, উপজেলার সকল দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ ও নানা শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন : খালের বাঁধ কাটলো প্রশাসন – চাষযোগ্য হলো ৭০০ একর জমি

অপরদিকে “স্মার্ট বাংলাদেশ ও স্মার্ট গ্রাজুয়েট তৈরি” স্লোগানকে ধারণ করে দক্ষিণাঞ্চলের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। এসময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।




সরকারি চাকরিতে কোটা ইস্যুতে কোর্ট থেকে সমাধান আসা উচিত: প্রধানমন্ত্রী

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারি চাকরিতে কোটার বিষয়টি সর্বোচ্চ আদালতে নিষ্পত্তি করা উচিত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হাইকোর্টের রায় এটার বিরুদ্ধে এভাবে আন্দোলন করা এটাতো সাবজুডিস। কারণ আমরা সরকারে থেকে কিন্তু এ ব্যাপারে কোন কথা বলতে পারি না। কারণ হাইকোর্ট রায় দিলে সেটা হাইকোর্ট থেকেই আবার আসতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুব মহিলা লীগের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নেতৃবৃন্দ গণভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে একটা কথা আমি না বলে পারছিনা, আমরা দেখছি যে কোটা আন্দোলন। আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য যে কোটা সেটা বাতিল করতে হবে। নারীদের কোটা বাতিল করতে হবে, এ ধরনের নানা কথা শোনা যাচ্ছে। সেটা একবার বাতিল করা হয়েছিল কিন্তু ফলাফলটা কি?

তিনি বলেন, পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষার হিসাব যদি দেখা যায় তাহলে দেখা যেত আগে কোটা থাকাতে মেয়েরা যে সংখ্যায় সুযোগ পেত সে সুযোগ কিন্তু এই গত কয় বছরে পায়নি। এটা হলো বাস্তবতা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমনকি অনেক অনেক জেলা, প্রত্যন্ত অঞ্চল সেই অঞ্চলের মানুষগুলো কিন্তু বঞ্চিত থেকে গেছে। তারাও চাকরী পাচ্ছে না। আর এরকম বঞ্চিত হওয়ার কারণেই কেউ মামলা করে যাতে হাইকোর্ট একটা রায় দেয়। হাইকোর্টের রায়টা আমরা সবসময়ই মেনে নেই। কিন্তু আমরা এখন দেখলাম যে কোটা বিরোধী আন্দোলন এখন আবার গড়ে তোলার চেষ্টা হচ্ছে। ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া বাদ দিয়ে কোটা বিরোধী আন্দোলন করছে,সেখানে মেয়েরাও করছে।

তিনি বলেন, এখানে আমার একটা প্রশ্ন আছে, যারা এর আগে কোটা বিরোধী আন্দোলন করেছিল তারা কয়জন পাবলিক সার্ভিস কমিশনে পরীক্ষা দিয়েছিল আর কতজন পাশ করেছিল সেই হিসেবটা একটু বের করা দরকার। তারা দেখাক যে পরীক্ষা দিয়ে তারা বেশি পাশ করেছিল, মেয়েরা বেশি পরীক্ষা দিয়ে বেশি চাকরি পেয়েছে কী না? সেটা আগে তারা প্রমাণ করুক।

তিনি বলেন, ‘আর হাইকোর্টের রায় এটার বিরুদ্ধে এভাবে আন্দোলন করা এটাতো সাবজুডিস। কারণ আমরা সরকারে থেকে কিন্তু এ ব্যাপারে কোন কথা বলতে পারি না। কারণ হাইকোর্ট রায় দিলে সেটা হাইকোর্ট থেকেই আবার আসতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে আন্দোলনের নামে যেটা আবার করা হচ্ছে পড়াশোনার সময় নষ্ট করা এটার কোন যৌক্তিকতা আছে বলে আমি মনে করি না।

উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালসহ কয়েকটি দাবিতে শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশীরা আন্দোলন করছেন। যদিও স্বাধীনতার পর থেকেই বিভিন্ন শ্রেণীর চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা চলে আসছিল। এক পর্যায়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে ২০১৮ সালের অক্টোবরে নবম থেকে ১৩ তম গ্রেডের (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণী) সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

প্রধানমন্ত্রী সার্বজনীন পেনশন স্কীম প্রসঙ্গে বলেন, সার্বজনীন পেনশন স্কীম আমরা দিয়েছি এটা সকলের জন্য। এটা আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল, ২০০৮ এর নির্বাচনী ইশতেহারে। যেটা আমরা করতে পেরেছি।
তিনি বলেন, শুধুমাত্র সরকারী চাকরিজীবী তারাই পেনশন পায় আর বাকীরা বঞ্চিত থাকে। কাজেই কেউ যাতে বঞ্চিত না থাকে সেজন্য এই পেনশন স্কীমে বিভিন্ন স্তর দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি আমাদের যুব মহিলা লীগের প্রত্যেকেই এই সার্বজনীন পেনশন স্কীমে যুক্ত হতে পার। যুক্ত হতে পার নিজেদের একটা ভবিষ্যতের জন্য।

তিনি বলেন, যখন মানুষের বয়স হয়ে যাবে বা তারা কর্মক্ষম থাকবে না এর মাধ্যমে তাদের জীবন- জীবকা নির্বাহের জন্য একটি নিশ্চিত অর্থ প্রাপ্তির সুযোগ রয়েছে। এটা কিন্তু আজীবন পাবে। আমি মনে করি যারা আমাদের রাজনীতির সাথে যুক্ত তাদের এ ধরনের পেনশন স্কীমে ঢোকা দরকার। আর যারা একেবারে প্রান্তিক বা নিন্ম আয়ের মানুষ রয়েছে তাদের জন্য এতে বিশেষ প্রণোদণা দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, যুব মহিলা লীগ সবসময়ই আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে ছিল,অনেক সময় তারা যেমন পুলিশের হাতে নির্যাতিত তাই নয়, বিএনপির অস্ত্রধারী নেতা-কর্মীরাও আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো- যুব মহিলা লীগের ওপর অকথ্য অত্যাচার নির্যাতন করেছে। তাদের সেই অত্যাচারের অনেক ছবি, চিত্র অনেক কিছুই এখনো রয়েছে। অত্যাচার নির্যাতনকালে মা-বোন বলে তারা কোন সমীহ করেনি।

তিনি বলেন, তারা এতই জঘন্য প্রকৃতির নির্যাতন করেছে যেটার নিন্দা করার ভাষা আমার নেই। কারণ তারা সে সময় মানুষ নয় জানোয়ারের থেকেও অধম জীবে পরিণত হয়েছিল। তারপরেও সকল বাধা অতিক্রম করে প্রত্যেকটা সংগ্রামে যুব মহিলা লীগ রাজপথে থেকে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে। এমনকি তাঁকে গ্রেফতারের সময় বাধা দিতে গিয়ে অনেকে গ্রেফতার হয়ে করা বরণ করেন। যাদের অনেককে ছোট বাচ্চা ঘরে রেখেও কারাগারে যেতে হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছে।
তিনি বলেন, ‘সেই সংগ্রামের পথ বেয়েই আজকে আমরা সরকারে আসতে পেরেছি এবং অত্যাচার নির্যাতন যতই হোক আমরা মাথা নত করিনি, আর আমরা একটাই জিনিষ চেয়েছিলাম গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠিত হোক।’

এ সময় খালেদা জিয়ার ’৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠান ও দেড় মাসের মাথায় তার পদত্যাগে বাধ্য হওয়া, দেড় কোটি ভুয়া ভোটার দিয়ে নির্বাচনে জয়লাভের চেষ্টা এমনকি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তাঁকে প্রেফতার করা হলে তাঁর মুক্তির দাবিতে আন্দোলন এবং স্বাক্ষর সংগ্রহে যুব মহিলা লীগের ভূমিকার কথা স্মরণ করেন শেখ হাসিনা।

তিনি তাঁর সরকারের নিরাপত্তা বলয়ের বিভিন্ন কর্মসূচি এবং নারীর ক্ষমতায়নের বিভিন্ন পদক্ষেপেরও উল্লেখ করেন এ সময়।

এরআগে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে নেতৃবৃন্দ ফুল দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানান। অনুষ্ঠানে যুব মহিলা লীগের ওয়েবসাইট ও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২০০২ সালের ৬ জুলাই আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের এক ঝাঁক সাবেক নেত্রীকে নিয়ে যুব মহিলা লীগ গঠন করেন।




বাংলা ব্লকেড : অচল শাহবাগ, বাড়ছে যানবাহনের সারি