বাংলা ব্লকেড : অচল শাহবাগ, বাড়ছে যানবাহনের সারি




২৫ বছরে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: আগামীকাল পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ২০০০ সালের ৮ জুলাই কৃষি কলেজের অবকাঠামোয় বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্তের নেতৃত্বে অবকাঠামোগত ধারাবাহিক উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয়টি আধুনিকতার ছোঁয়া পেতে চলেছে। এর সেশনজট দূর হয়েছে। শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা প্রাপ্য পদোন্নতি পাচ্ছেন যথাসময়ে।

পটুয়াখালী শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার উত্তরে দুমকি উপজেলায় ৯৭ একর জায়গা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস। বরিশালের খানপুরা, বাবুগঞ্জে এর আরও দুটি ক্যাম্পাস আছে।

গবেষণা কার্যক্রম
বিশ্ববিদ্যালয়টির রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের মাধ্যমে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এই সেন্টারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ পর্যন্ত ৮০১টি গবেষণা প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। বর্তমানে নিজস্ব ও সরকারি অর্থায়নে ২০২২-২৩ সালে পরিচালিত গবেষণা প্রকল্প ১৫৩টি।

পবিপ্রবির গবেষণায় বেশ কয়েকটি উন্নত ও উচ্চফলনশীল ফলের জাত উদ্ভাবিত হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম পিএসটিইউ বিলাতি গাব-১, পিএসটিইউ বিলাতি গাব-২, পিএসটিইউ ডেউয়া-১, পিএসটিইউ ডেউয়া-২, পিএসটিইউ বাতাবিলেবু-১, পিএসটিইউ কামরাঙা-১, পিএসটিইউ কামরাঙা-২, পিএসটিইউ তেঁতুল-১, পিএসটিইউ বৈচি-১।

২৫ বছরে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
শিক্ষা, সংস্কৃতি, স্বাধীনতাসংগ্রাম, মননশীলতা, আধুনিকতায় দক্ষিণাঞ্চলের রয়েছে সমৃদ্ধ ইতিহাস। এই অঞ্চলের অতীত গৌরবকে এ বিশ্ববিদ্যালয় আরও দৃঢ় ও সমৃদ্ধ করবে বলে আমার বিশ্বাস। পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দক্ষিণাঞ্চলের সত্যিকারের ‘বাতিঘর’ হয়ে উঠুক—এটা আমার প্রত্যাশা।
অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত উপাচার্য, পবিপ্রবি

উপকূলীয় এলাকার জন্য উন্নত ক্রপিং সিস্টেম ও বায়োচার প্রযুক্তি উদ্ভাবন, ১০০ দেশি জাতের পাঁচ শর বেশি ধানের গবেষণা ও সংগ্রহশালা তৈরি, ভুট্টা ও সূর্যমুখী চাষে স্ট্রিপ পদ্ধতিতে ২২ থেকে ২৫ শতাংশ বেশি উৎপাদনে সক্ষমতা তৈরি এবং লবণাক্ততা ও পানিসহিষ্ণু ধান উৎপাদনের প্রয়াস অব্যাহত রয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের এই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।

২৫ বছরে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের মানুষের শিক্ষা ও কৃষির উন্নয়ন এবং তাদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় যাঁরা নেতৃত্ব দেন এবং সহযোগিতা ও সমর্থন দিয়েছেন, তাঁদেরও ধন্যবাদ জানাই।
অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী ট্রেজারার, পবিপ্রবি

মাছের দ্রুত বৃদ্ধিকরণ প্রযুক্তি, শুঁটকি তৈরি ও সংরক্ষণের নিরাপদ প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং দেশের প্রথম ও একমাত্র জলহস্তীর কঙ্কাল প্রস্তুতকরণ ছাড়া উদ্ভিদ ও প্রাণী নিয়ে দেড় শর বেশি গবেষণা চলমান রয়েছে। কৃষি সমৃদ্ধ করতে প্রতিনিয়ত চলছে নানা ধরনের গবেষণা কার্যক্রম। এ ছাড়া প্রোগ্রাম বেইজড গবেষণা কার্যক্রম এগিয়ে চলছে।

শিক্ষার মান
আমেরিকান কোর্স ক্রেডিট সিস্টেম পদ্ধতি চালু রয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। হাতে-কলমে শিক্ষাদানের জন্য এখানে রয়েছে ৩২টি আধুনিক গবেষণাগার। রয়েছে অত্যাধুনিক সরঞ্জামসংবলিত একটি কেন্দ্রীয় গবেষণাগার।

২৫ বছরে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
বর্তমানে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন ধরনের গবেষণা করে দেশের ও দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়টি আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হোক। আমাদের নানান চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আশা করি সরকারের সহযোগিতায় আরও নতুন নতুন উদ্যোগ নিয়ে আমরা চ্যালেঞ্জগুলো অতিক্রম করতে পারব।
অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার বসু রেজিস্ট্রার, পবিপ্রবি

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ বাস্তবায়ন করতে কোর্স কারিকুলামে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। চালু হয়েছে আউটকাম বেইজড কারিকুলাম। একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে শতভাগ ডিজিটালের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে।

সহশিক্ষা কার্যক্রম
পবিপ্রবিতে নিয়মিতভাবে বার্ষিক ক্রীড়া ও আন্তঅনুষদীয় টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। সংস্কৃতিচর্চার জন্য রয়েছে কয়েকটি সংগঠন ও গানের দল। এ ছাড়া টিএসসিকেন্দ্রিক অর্ধশতাধিক সামাজিক সংগঠন স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে।

ডিজিটাল ক্যাম্পাস
বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাস ডিজিটাল ক্যাম্পাসে পরিণত করার কাজ চলছে। এর লাইব্রেরিকে শতভাগ ডিজিটাল করার কাজ চলছে। রয়েছে শিক্ষার্থী, শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য ডিজিটাল পরিচয়পত্র। হলসহ সবখানে রয়েছে হাইস্পিড ওয়াই-ফাই ইন্টারনেট। পুরো বিশ্ববিদ্যালয়কে অটোমেশন করার কাজ চলমান।

অবকাঠামো উন্নয়ন
অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চলছে। ভূমি উন্নয়ন, খামার, হলসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চলছে সমানতালে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
বর্তমান উপাচার্য একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান তৈরিসহ দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন পরিকল্পনার কাজে হাত দিয়েছেন। সমুদ্রসম্পদের যথাযথ ব্যবহার ও গবেষণার জন্য কুয়াকাটায় মেরিন ফিশারিজ রিসার্চ ইনস্টিটিউট স্থাপনের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ৬০০ কোটি টাকার ডিপিপি জমা দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও উন্নয়নের জন্য ফিজিক্যাল মাস্টারপ্ল্যান তৈরি শেষ পর্যায়ে। অবকাঠামো উন্নয়ন এবং একটি কেন্দ্রীয় গবেষণাগারসহ অ্যানিমেল রিসার্চ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা এই মাস্টারপ্ল্যানের অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এ ছাড়া ইইই বিভাগ, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, কৃষি প্রকৌশল এবং বায়োমেডিকেল বিভাগসহ অন্যান্য যুগোপযোগী বিভাগ খোলার পরিকল্পনা রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির।




10 injured in Barishal University clash over pension scheme

Barishal office ::   A clash between two groups took place on the second day of the ongoing agitation program at Barishal University (BU) demanding the withdrawal of the ‘Prayatya’ scheme of the universal pension scheme.

At least 10 people from both groups were injured in the clash in the area adjacent to the administrative building on Tuesday (July 2) afternoon. Four of them have been hospitalized.

Eyewitnesses said that there was a clash between the Officers Association and the Direct Officers Association. After this incident, there is extreme tension between the two groups of university officials.

According to sources, when a newly formed organization of officers in the name of Direct Officers Association wanted to join the University Officers Association, which was agitating under the banner, there was first an argument, then scuffles and clashes between the two groups. At that time, when both groups attacked and counter-attacked with plastic chairs, injuries occurred.

According to a source in the university officials, rivalry between the two groups started when the supporters of the current mayor formed another officers’ association when the former mayor’s supporters were in majority in the officers’ association.

President of Barishal University Teachers Association Md. Baten Chowdhury said that the clash took place between those who became officers directly and those who became officers through promotion. Several members of the Direct Officers Association were injured.

University Accounts Officer SM Iqbal said, we started protesting against the pension scheme peacefully. At this time, the attack happened. Several of us were injured. Among them, Deputy Director Abul Hossain has been admitted to the hospital.

Barishal University Officer Association President Bahauddin Golap said, We have been agitating under the banner of Officer Association for a long time. Suddenly today the agitators came in front of us with a banner in the name of Direct Officers Association and became furious. We are the only recognized organization of officers in the university.

He also said that we were attacked first and then counter-attacked. In this incident, four people including university doctor Tanjim Hossain were admitted to the hospital. At least 6/7 others sustained minor injuries. Bahauddin Golap said that they have planned to stab the ongoing movement from behind.

On the other hand, Subrata Kumar Bahadur, president of the Direct Officers Association, said that the people of the Officers Association attacked them without provocation during the ongoing program.

Officer-in-charge (OC) of Barishal Bandar police station M.R. Mukul said, two groups of officers of Barishal University retaliated against the position. After the situation got a little chaotic, the situation came under control with the intervention of the police and teachers.

The registrar of the university, Monirul Islam, said that the vice-chancellor has already ordered to investigate the incident properly and take necessary measures. We collected videos from CCTV footage and started analyzing them.




সর্বাত্মক আন্দোলনে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির শিক্ষকরা

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: বৈষম্যমূলক পেনশন প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে সারা দেশে ন্যায় পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) তে চলছে আন্দোলন কর্মসূচী।

দক্ষিণাঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি আজ ১ জুলাই থেকে দাবি আদায়ে আন্দোলন কর্মসূচী শুরুর ঘোষণা দেয়া হয়।

শিক্ষক সমিতি সভাপতি প্রফেসর জেহাদ পারভেজ জানান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত বৈষম্যমূলক পেনশন প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে তারা এ কর্মসূচী শুরু করেছেন।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহবানে আজ ১ জুলাই থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত পবিপ্রবিতে সর্বাত্মক আন্দোলন কর্মসূচির রূপরেখা ঘোষণা করা হয়।

আরো পড়ুন : আমতলীতে থামছেই না মৃত্যুর মিছিল – এক সপ্তাহে ১২ প্রাণহানি

ঘোষিত রূপ রেখা অনুযায়ী সকল অনুষদের সকল সেমিস্টারের সব ধরনের ক্লাশ ও পরীক্ষা (অনলাইন ও অফলাইন) বন্ধ থাকবে। বিভিন্ন অনুষদ, ইনস্টিটিউট, সেল এ দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকগণ (ডিন, চেয়ারম্যান, পরিচালক ইত্যাদি) সকল ধরনের একাডেমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকবেন। বিভিন্ন অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা শিক্ষকগণ (প্রভোস্ট, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা, প্রক্টর, পরিচালক এবং তাদের সহকারীগণ) যে কোনো ধরনের প্রশাসনিক কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ থেকে বিরত থাকবেন। আন্দোলন চলাকালীন সময়ে সকল ধরনের মিটিং (একাডেমিক কাউন্সিল, রিজেন্ট বোর্ড, তদন্ত কমিটি, সিলেকশন বোর্ড, ভাইভা বোর্ড, ভর্তি কমিটি, ভর্তি পরীক্ষা কমিটি, বিভাগীয় সভা) অনুষ্ঠিত হবে না।

ভর্তি পরীক্ষা ও শিক্ষার্থী ভর্তি সংক্রান্ত সকল ধরনের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। আন্দোলন চলাকালীন সময়ে সান্ধ্যকালীন কোর্স (ইভেনিং এমবিএ), থিসিস ডিফেন্স, গবেষণা প্রকল্প উপস্থাপন, সকল ধরনের ট্রেনিং, সেমিনার, কনফারেন্স, সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হবে না। সকল অনুষদের শিক্ষকগণ দাবি আদায়ে প্রতিদিনের ১১ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত কৃষি অনুষদ প্রাঙ্গণে অংশগ্রহণ করবেন।




১৩৫ বছরে বিএম কলেজ : শিক্ষার্থীদের ভাবনা ও প্রত্যাশা

বরিশাল অফিস :: দক্ষিণ বাংলার অক্সফোর্ড হিসেবে পরিচিত বরিশালের ঐতিহ্যবাহী, প্রাচীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ। দক্ষিণবঙ্গের শ্রেষ্ঠ এই বিদ্যাপীঠটি ১৮৮৯ সালে মহাত্মা অশ্বিনীকুমার দত্ত প্রতিষ্ঠা করেন, তার বাবা ব্রজমোহন দত্তের নামে কলেজটির নামকরণ করেন। একসময় বরিশাল অঞ্চলের একমাত্র উচ্চশিক্ষার কেন্দ্রস্থল ছিল এই কলেজটি। বরিশালের প্রাচীনতম এই কলেজটিতে পড়াশোনা করেছেন দেশবরেণ্য অসংখ্য গুণিজন। কলেজটির সুনাম, সুখ্যাতি রয়েছে দেশ জুড়ে। ইতিহাস ঐতিহ্য ও গৌরবের ১৩৪ পেরিয়ে কলেজটি পা দিয়েছে ১৩৫ বছরে। শর্তবষী কলেজটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শিক্ষার্থীদের ভাবনা ও প্রত্যাশা তুলে ধরেছেন, অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী, তরুণ লেখক মো. মেহেরাব হোসেন রিফাত

‘ব্রজমোহন কলেজের গৌরব পুনরুদ্ধারে আমাদের অঙ্গীকার’ ::

ব্রজমোহন কলেজ, বরিশাল- যে নামটি শুধু শিক্ষার্থীদের জন্য নয়, বরং বরিশাল শহরের জন্য এক গর্বের প্রতীক। এ কলেজটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছাত্রছাত্রীরা এসে এখানকার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হয়েছে। তবে গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বলতে পারি, এই ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান ধীরে ধীরে অবনতি হয়েছে, যা একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমার এবং অনেকের কাছেই গভীর উদ্বেগের বিষয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অন্যতম মূলভিত্তি হলো তার শিক্ষকরা। ব্রজমোহন কলেজের অনেক শিক্ষকই অত্যন্ত যোগ্য এবং অভিজ্ঞ। কিন্তু সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, কিছু শিক্ষকের পাঠদানের পদ্ধতি অত্যন্ত পুরোনো এবং কার্যকারিতা হারিয়েছে। আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থায় প্রযুক্তির ব্যবহার অপরিহার্য হয়ে উঠেছে, কিন্তু আমাদের কলেজে এই দিকটি যথেষ্ট গুরুত্ব পাচ্ছে না। ল্যাবরেটরি এবং লাইব্রেরির ব্যবহারে নতুনত্বের অভাবও শিক্ষার মানকে প্রভাবিত করছে। প্রশাসনিক কাঠামোর জটিলতা এবং দুর্বলতা শিক্ষার্থীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। সময়মতো ক্লাস না হওয়া, পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন এবং ফল প্রকাশের দীর্ঘসূত্রতা শিক্ষার্থীদের মনোবল হ্রাস করছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় না, যার ফলে শিক্ষার্থীরা হতাশা এবং বিভ্রান্তির মধ্যে থাকে। সহশিক্ষামূলক কার্যক্রম এবং ছাত্রসংগঠনগুলোর কার্যক্রমেও মন্দা দেখা যাচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শুধু অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমই নয়, বরং ছাত্রছাত্রীদের সর্বাঙ্গীন বিকাশের জন্য সহশিক্ষামূলক কার্যক্রম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু গত কয়েক বছরে এ ধরনের কার্যক্রমের সংখ্যা এবং মান কমে গেছে, যা শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের অভাব সৃষ্টি করছে। তবে সবকিছুর পরও, ব্রজমোহন কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এখনো উচ্চমানের শিক্ষার জন্য একটি গভীর আগ্রহ এবং প্রতিশ্রুতি রয়েছে। আমি আশা করি, কলেজের প্রশাসন এবং শিক্ষকরা আমাদের এই চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করবেন। শিক্ষার্থীদের মেধা, মনন এবং মানসিক বিকাশের জন্য একটি আদর্শ পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করতে পারি। শিক্ষাজীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে স্মরণীয় এবং অর্থবহ করতে, আসুন আমরা আমাদের কলেজের উন্নতির জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকি।

রাইসুল ইসলাম শিক্ষার্থী, বাংলা বিভাগ

‘চন্দ্রদীপের প্রদীপ’ ::

আজ থেকে ১৩৫ বছর আগে আঁধারে ঘেরা চন্দ্রদীপের মধ্যে প্রদীপ রূপে জ্বলে উঠেছিল এই ব্রজমোহন কলেজ। প্রদীপালোক পৌঁছে গেছে পদ্মার পাড় থেকে বঙ্গোপসাগর তীরে। তিন শতাব্দীর সেতুবন্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আজও জ্ঞান বিতরণ করে চলেছে এই ব্রজমোহন কলেজ। বহু শিক্ষার্থী এই ক্যাম্পাসে এসে হয়েছেন প্রতিষ্ঠিত। পেয়েছেন পরিচিতি ও সম্মান। তারা আমাদের গর্ব। আমাদের প্রেরণা ও আবেগ। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সরকারি ব্রজমোহন কলেজ তার গৌরব হারাতে বসেছে। হয়তো যৌবন পেরিয়ে প্রৌঢ় হয়ে যাচ্ছে। আগের মতো সফলতার গল্প শোনা যায় না। প্রত্যাশা পূরণ করছে না এখন আর। বিসিএস পরীক্ষার সাফল্য প্রচার হচ্ছে না। এমনকি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাংকিংয়ে প্রথম হওয়া কলেজটি এখন টপ-থ্রিতেও জায়গা পায় না। ক্যাম্পাসে পড়াশোনার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের তৎপরতা চোখে পড়ে না। বহিরাগত, অছাত্র এবং উচ্চমাধ্যমিকের শিশুশিক্ষার্থীদের চলাফেরা আমাদের ভাবতে বাধ্য করে। বিভিন্নভাবে শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ বন্ধ, ক্যানটিন উন্নয়ন, হল অব্যবস্থাপনা নিরসন, বাকসু নির্বাচন, প্রয়োজনীয় কর্মচারী নিয়োগ দেওয়াসহ ইত্যাদি বিষয়ের পদক্ষেপ গ্রহণ করার অনুরোধ করছি। পরিশেষে বলতে চাই, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে, শিক্ষাবান্ধব স্মার্ট ক্যাম্পাস চাই।

বনি আমিন শিক্ষার্থী, সমাজকর্ম বিভাগ

‘দৈন্যদশায় ভুগছে ব্রজমোহন কলেজ’ ::

দক্ষিণবঙ্গের আলোকবর্তিকা হিসেবে পরিচিত, ইতিহাস ঐতিহ্যসমৃদ্ধ সরকারি ব্রজমোহন কলেজ। কথিত আছে, ভারতবর্ষ যখন অন্ধকারে নিমজ্জিত, বরিশাল তখন আলোকিত। মূলত শিক্ষার আলোতেই আলোকিত ছিল বরিশাল। সেই আলোর দীপশিখা জ্বেলেছে মহাত্মা অশ্বিনী কুমার দত্ত প্রতিষ্ঠিত ব্রজমোহন কলেজ। ইতিহাস ও ঐতিহ্যে আমাদের কলেজটি ছিল ঋদ্ধ। কিন্তু বর্তমান সময়ে কলেজটির মর্যাদা ও শ্রীবৃদ্ধি ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে। আমাদের এই শিক্ষাঙ্গন জাতীয় পর্যায়ে সর্বদাই শীর্ষ পাঁচে থাকত। কিন্তু বর্তমানে সেই স্থানটিও হারিয়ে ফেলছে। জাতীয় রাজনীতিসহ সব ক্ষেত্রেই এই প্রতিষ্ঠানের সাবেক শিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। বিখ্যাত অনেক ব্যক্তি আমাদের এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ছিলেন। তবে বর্তমান সময়ে ব্রজমোহন কলেজ তার অতীত জৌলুস হারিয়ে হয়তো বার্ধক্যে উপনীত হচ্ছে। কলেজের কিছু ডিপার্টমেন্টে রয়েছে শিক্ষকস্বল্পতা, প্রায় ৩০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীদের জন্য নেই পর্যাপ্ত ছাত্রাবাস; আবার ক্যাম্পাসে সৌন্দর্য রক্ষার্থে দেখা যায় কলেজ প্রশাসনের চরম উদাসীনতা। রাজনৈতিক অনৈক্য ও অস্থিরতা সমানতালে বিরাজমান। এ ছাড়া এই কলেজে একসময় বিশটিরও বেশি সামাজিক সংগঠন ছিল যেগুলো বিভিন্ন উৎসব, পার্বণে বা সংকটে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখত। কিন্তু ক্রমান্বয়ে সামাজিক সংগঠনগুলো নিস্তেজ হয়ে পড়ছে। আবাসিক ছাত্ররা কায়ক্লেশে ও টানাপড়েন জীবন-সংগ্রাম চালাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা তিনবেলা যে খাবার খাচ্ছে তাতে নেই চাহিদামতো পুষ্টি উপাদান। কলেজ প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপই পারে কলেজের দৈন্যদশা থেকে অতীত ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে। তাই আমি সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে কলেজ প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

জাহিদুল ইসলাম পলাশ শিক্ষার্থী, বাংলা বিভাগ




দুমকিতে ছাত্রলীগের ৩ নেতাকে অব্যাহতি

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার সরকারি জনতা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের ৩ নেতাকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান আরিফ বুধবার রাতে এক যৌথ প্রেস বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।

অব্যাহতি পাওয়া নেতারা হলেন- সরকারি জনতা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবু সাইদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান মৃধা ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবু নাঈম।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সংগঠনবিরোধী, শৃঙ্খলা-পরিপন্থী, অপরাধমূলক এবং সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুন্ন হয় এমন কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযাগে তাদের দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হলো।

অভিযোগ আছে, বুধবার দুপুরে ওই ৩ নেতার নেতৃত্বে জনতা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সানাউল্লা হিরা ও সাধারণ সম্পাদক মঈন শিকদারসহ দলীয় নেতাদের ওপর হামলা চালানো হয়। হামলায় জনতা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমপক্ষে পাঁচ কর্মী আহত হয়।

আহত আবু মুছা (১৯), আরাফাত (১৯), ইমরান (১৮), সাইফুল (১৯), শাকিল (১৯) ও শুভকে (২২) উদ্ধার করে দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কমিটি নিয়ে বিরোধের জেরে হামলার ঘটনা ঘটে।

আরো পড়ুন : পটুয়াখালীতে সাপের খামার করে বিপাকে রাজ্জাক

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, চলতি শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয় নিয়ে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সানাউল্লা হিরা ও সাধারণ সম্পাদক মঈন সিকদার বুধবার দুপুরে অধ্যক্ষের অফিসে আলোচনা করতে যান। এসময় পদবঞ্চিত নেতা আবু সাইদের নেতৃত্ব ১৫-২০ জনের একটি দল অধ্যক্ষের অফিসে ঢুকে ছাত্রলীগ নেতাদের ওপর হামলা চালায়। পুলিশ কলেজ ক্যাম্পাসে পৌঁছলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে দুমকি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সহিদুল ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগে উশৃঙ্খলতার স্থান নেই।

অব্যাহতিপ্রাপ্ত নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।




পবিপ্রবিসাসের উপদেষ্টা হলেন আনিসুর রহমান

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:: পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির একমাত্র সংগঠন পবিপ্রবিসাস এর এক কার্যকরী সভায় সকলের সম্মতিক্রমে এবং গঠনতন্ত্রের ধারা ৯(৪) মোতাবেক বুধবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আনিসুর রহমানকে উপদেষ্টা মনোনয়ন করা হয়।

উল্লেখ্য যে আনিসুর রহমানের নিয়োগের মধ্যে দিয়ে এই প্রথম পবিপ্রবির শিক্ষকদের বাইরে সাবেক কোনো শিক্ষার্থী উক্ত পদে মনোনীত হন এবং পূর্বে আনিসুর রহমান পবিপ্রবিসাসের সাবেক ও প্রথম সভাপতি হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। এই নিষ্ঠার পুরষ্কার স্বরুপ তাকে পবিপ্রবিসাসের উপদেষ্টা হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়।

আরো পড়ুন : দুমকী জনতা কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে সংঘর্ষ – আহত-৫

ইতিপূর্বে প্রধান উপদেষ্টা সহ চারজন উপদেষ্টার সমন্বয়ে পবিপ্রবিসাসের উপদেষ্টা প্যানেল কার্যকর ছিল। বর্তমানে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হলেন পাঁচজন।

এ ব্যাপারে আনিসুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সাংবাদিক সমিতি তার সবচেয়ে আপন সংগঠন। তাই সাংবাদিক সমিতির পক্ষ থেকে তাকে মনোনীত করায় তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এবং পবিপ্রবিসাসের সাবেক এই সভাপতি বিশ্বাস করেন পুর্বের ন্যায় নতুন দায়িত্বেও তিনি তারা পেশাদারিত্ব বজায় রাখবেন।




ঘুরে আসুন নান্দনিক ‘পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’

বরিশাল অফিস :: আমাদের দেশ বাংলাদেশ। এ দেশ যে কত সুন্দর তা না দেখলে বোঝা যাবে না। আজকে আমরা ঘুরে আসবো পটুয়াখালির দুমকির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।

ছায়া ঘেরা শান্ত সুনিবিড় গ্রামের সৌম পরিবেশে ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ম (পবিপ্রবি) ক্যাম্পাস এক অনিন্দ্য সুন্দর জায়গা। যা ভ্রমণপিয়াসুদের আনন্দ দিয়ে যাচ্ছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন লেক, লেকের মধ্যে নান্দনিক বাংলোঘর ও কারুকার্যে গড়া সেতু। মৎস্য গবেষণার কয়েকটি প্রকল্প রয়েছে এ লেকে।

লেকের চারপাশ বৃক্ষ শোভিত। পরিচ্ছন্ন পাড়ে রয়েছে বসার সুন্দর ব্যবস্থা।

বিকেলে যখন শ্বেত শুভ্র রাজ হংস-হংসী এ লেকে ভেসে বেড়ায় তখন সৃষ্টি হয় মনোমুগ্ধকর এক অপরূপ দৃশ্যের। এছাড়া এ ক্যাম্পাসে রয়েছে পদ্ম পুকুরসহ বেশ কটি পুকুর, ক্যাম্পাসজুড়ে রয়েছে দেশি-বিদেশি নানা ফুল ও বৃক্ষের সমাহার।

প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের দৃষ্টিনন্দন শৈল্পিক ভাস্কর্য ‘জয় বাংলা’। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ৭ বীর শ্রেষ্ঠের আবক্ষ ভাস্কর্য। এছাড়া শহীদ মিনার ও আরও কয়েকটি মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য।

পূর্ব ক্যাম্পাসে বিস্তৃত কৃষি ফার্ম, গবেষণাগার, এম কেরামত আলী হল এবং সৃজনী বিদ্যানিকেতনের ক্যাম্পাসসহ সমগ্র ক্যাম্পাসের প্রতিটি সড়ক ও হল নান্দনিকভাবে সাজানো। যা প্রতিনিয়ত দর্শনার্থীদের আনন্দ দিয়ে যাচ্ছে।




দুমকী জনতা কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে সংঘর্ষ – আহত-৫

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর দুমকী সরকারি জনতা কলেজ ছাত্রলীগের সদ্য ঘোষিত কমিটি নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় প্রায় ৫ জন আহত হয়েছে।

বুধবার বেলা ১.০০ টার সময় কলেজ ক্যাম্পাসে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের দুমকী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়।

জানা যায়, গত ১৫ জুন সানাউল্লাহ হিরাকে সভাপতি ও মো: মঈন সিকদারকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে আগামী ১ বছরের জন্য সরকারি জনতা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করে পটুয়াখালী জেলা শাখা ছাত্রলীগ। কমিটি ঘোষণার পরে গত ২৪ জুন পাল্টাপাল্টি আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করে দু’গ্রুপ।

গত ২৪ জুন (সোমবার) সকাল ১০টার দিকে কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অস্বীকৃতি জানিয়ে সহ সভাপতি মোঃ আবু সাইদ হাওলাদার ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান সুধা’র নেতৃত্বে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের হয়ে উপজেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ক্যাম্পাসে এসে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।

অপরদিকে একইদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ কমিটির সভাপতি সানাউল্লাহ হিরা ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মঈন সিকদারের নেতৃত্বে আরেকটি আনন্দ মিছিল উপজেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ক্যাম্পাসে এসে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।

আরো পড়ুন : মির্জাগঞ্জে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান তরুণীর -আত্মহত্যার হুমকি

পরবর্তীতে কমিটি নিয়ে বিরোধের জেরে বুধবার (২৬ জুন)কলেজ অধ্যক্ষের সামনে দু’গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও পরে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। এতে ১। মোঃ নুরে আলম (২১),২। আরাফাত হোসেন(১৬), ৩। মোঃ রিফাত সৃধা(২১), ৪। মোঃ ইমরান হোসেন(২২) ও ৫।মোঃ মুসা(২১) নামের ৫জন ছাত্র আহত হয়। এদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসা দেয়া হয়।

সরকারি জনতা কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল লতিফ হাওলাদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে আমি তাৎক্ষণিক দুমকী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যর কমিটি গঠন করা হবে এবং থানায় অভিযোগ দায়ের করা হবে।

দুমকী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেক মোহাম্মদ আবদুল হান্নান বলেন, ঘটনা শোনার সাথে সাথে ক্যাম্পাসে গিয়েছি। এ বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের কর্তৃক একটি লিখিত অভিযোগ দায়েরের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




দ্বিতীয় ধাপে আবেদন শুরু ৩০ জুন প্রথম ধাপে কলেজ পাননি ৪৭ হাজারের‌ বেশি শিক্ষার্থী