পবিপ্রবি ও চায়নার কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) ও চায়নার কলেজ অব প্লান্ট প্রটেকশন (কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়) একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তি স্বাক্ষরের আয়োজন করা হয় ৩ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের কনফারেন্স রুমে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পবিপ্রবি’র রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রশীদ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পবিপ্রবি’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম, যিনি কৃষি খাতে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য পরিচিত। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম হেমায়েত জাহান।

অনুষ্ঠান শুরুর সময় পবিপ্রবি’র উপাচার্য কলেজ অব প্লান্ট প্রটেকশনের চারজন সদস্যকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। চায়না বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধির মধ্যে ছিলেন, কলেজ অব প্লান্ট প্রটেকশনের ডিন অধ্যাপক ড. জুন লিউ, প্ল্যান্ট বায়োসিকিউরিটি বিভাগের অধ্যাপক জিহং লি, এবং প্লান্ট প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক ইয়ান লি।

অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, “পবিপ্রবি গত ২৫ বছর ধরে দক্ষিণ বঙ্গের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্চ মানের জ্ঞান বিতরণ করছে। এরই ফলস্বরূপ কৃষি খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। চায়না কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এই সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে যৌথ গবেষণা, শিক্ষক-ছাত্র বিনিময় এবং কৃষি গবেষণায় আরও নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।”

এছাড়া, পবিপ্রবি’র রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. মামুন অর রশিদ, পোস্ট গ্রাজুয়েট স্ট্যাডিজের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, প্লান্ট প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুবেল মাহমুদ এবং জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. ইমাদুল হক প্রিন্স উপস্থিত ছিলেন।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



পবিপ্রবিতে ভূয়া নামফলক স্থাপন, সমালোচনার ঝড়

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুষদে ভূয়া নামফলক স্থাপন নিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, অনুষদের বর্তমান ডিন অধ্যাপক ড. মো. নুরুল আমিন ও সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্তের নাম সংযুক্ত করে নতুন একটি উদ্বোধনী ফলক বসানো হয়েছে, যা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ৮ ডিসেম্বর তৎকালীন ভিসি প্রফেসর ড. সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুষদের সেমিনার লাইব্রেরির উদ্বোধন করেছিলেন। তবে, ২০২০-২০২৪ মেয়াদে প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্তের অনুসারী বলে পরিচিত অধ্যাপক ড. মো. নুরুল আমিন করিডোরে স্থাপিত সেমিনার লাইব্রেরিতে নতুন করে ভিসি ও নিজের নামে ফলক বসান।

সাবেক দুই ডিন অধ্যাপক ড. আহমেদ পারভেজ এবং ড. আব্দুল আহাদ বিশ্বাস এ বিষয়ে বলেন, তাদের সময় লাইব্রেরি উদ্বোধন হয়নি এবং বর্তমান ডিনের সময়ে এটি উদ্বোধনের বিষয়েও তারা কিছু জানেন না। বিষয়টি জানার পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়।

বর্তমান ডিন ড. মো. নুরুল আমিন এ বিষয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়ে মুঠোফোন কেটে দেন।

সাবেক ভিসি ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত নিশ্চিত করেছেন, তার সময়ে এ লাইব্রেরি উদ্বোধন হয়নি। কেন তার নাম ফলকে দেয়া হয়েছে, তা তিনি জানেন না।

বর্তমান ভিসি অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিয়ে অবগত নন বলে জানান এবং এ ঘটনায় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।

নামফলক স্থাপনের এ ঘটনায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। অনেকেই বিষয়টিকে নৈতিকতা ও পেশাদারিত্বের পরিপন্থী বলে অভিহিত করছেন।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



আট বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না হতে সতর্ক করল ইউজিসি

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: দেশের আট বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি না হতে সতর্ক করে দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। এসব বিশ্ববিদ্যালয় অবৈধভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে কিংবা অনিয়মের কারণে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ভর্তি হয়ে প্রতারিত হলে এবং পরবর্তীতে কোনো আইনগত সমস্যা সৃষ্টি হলে তার দায় ইউজিসি নেবে না বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থা সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্য জানিয়ে ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর অধীনে বর্তমানে ১১৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন রয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে ১০৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে।

যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মামলা মোকদ্দমাসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বিরাজমান, সে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা পূর্বের ধারাবাহিকতায় এবারও প্রকাশ করেছে কমিশন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের হালনাগাদ তথ্য নিয়মিতভাবে কমিশনের ওয়েবসাইটেও আপলোড করা হয়।

অবৈধ ক্যাম্পাস ও অবৈধভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী বিশ্ববিদ্যালয়
১. ইবাইস ইউনিভার্সিটি: সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রমের আর কোন আইনগত ভিত্তি নেই। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত কোনো ক্যাম্পাস ও ঠিকানা এবং চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই- তথা বৈধ কোন কর্তৃপক্ষ নেই।

এছাড়া বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে দ্বন্দ্ব এবং আদালতে মামলা রয়েছে। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী ইবাইস ইউনিভার্সিটি’র একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, পরীক্ষা ও এর ফলাফল এবং প্রদত্ত একাডেমিক সনদের আইনগত কোনো বৈধতা নেই।

২. আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি: বিশ্ববিদ্যালয়টির সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রমের আর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টির অনুমোদিত কোনো ক্যাম্পাস ও ঠিকানা এবং চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই তথা বৈধ কোন কর্তৃপক্ষ নেই। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি এর একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, পরীক্ষা ও উহার ফলাফল এবং প্রদত্ত একাডেমিক সনদের আইনগত কোন বৈধতা নেই।

৩. দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা: বিশ্ববিদ্যালয়টির সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রমের আর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই তথা বৈধ কোন কর্তৃপক্ষ নেই। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা এর একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, পরীক্ষা ও এর ফলাফল এবং প্রদত্ত একাডেমিক সনদের আইনগত কোন বৈধতা নেই।

পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থা
১. ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ: নির্ধারিত সময়ে স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষাসহ সব কার্যক্রম স্থানান্তরে ব্যর্থ হওয়ায় কমিশন কর্তৃক পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রয়েছে এবং তা এখনও বহাল রয়েছে। তবে উক্ত তারিখের পূর্বে চলমান কোর্সে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।

২. সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (ঢাকা): বিশ্ববিদ্যালয়টির সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে রাষ্ট্রপতি বা চ্যান্সেলর কর্তৃক নিয়োগকৃত ভাইস চ্যান্সেলর নেই। ট্রেজারার নিয়োগ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অডিট ফার্ম দ্বারা অডিট করা হয়নি। এছাড়া প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে বোর্ড অব ট্রাস্টিজ গঠন সংক্রান্ত জটিলতা, পারস্পরিক দ্বন্দ্ব ও মামলা চলমান রয়েছে।

এ কারণে কমিশন কর্তৃক পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি-এর সব প্রোগ্রামে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রয়েছে এবং তা এখনও বহাল আছে। তবে এ তারিখের পূর্বে চলমান কোর্সে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।

৩. সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ: এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে একাধিক মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক, একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিষয়েও তদন্ত কার্যক্রম চলমান আছে।

৪. দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়: আদালতের আদেশবলে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর সব আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে দেশের সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ করা হয়েছে।

৫. কুইন্স ইউনিভার্সিটি: ২০০৬ সালের ২২ অক্টোবর সরকার কর্তৃক বন্ধ করা হয়। পরবর্তীতে বাতিল সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন শর্ত সাপেক্ষে এক বছরের জন্য প্রত্যাহার করা হয়েছিল। শর্তটি হলো- এক বছরের মধ্যে কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্পিত শিক্ষা কার্যক্রম সংক্রান্ত সব শর্ত পূরণ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি সব শর্ত পূরণ করতে সক্ষম না হয়, তবে শিক্ষা কার্যক্রম সংক্রান্ত এ সাময়িক অনুমতি তাৎক্ষণিক বাতিল হবে। শর্তানুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কুইন্স ইউনিভার্সিটি শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে সমর্থ হয়নি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে অর্জিত ডিগ্রির মূল সার্টিফিকেটে স্বাক্ষরকারী হবেন সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রপতি তথা আচার্য কর্তৃক নিয়োগকৃত ভাইস-চ্যান্সেলর এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক। শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী ১০৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত উপাচার্য রয়েছেন ৭৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে। কমিশনের ওয়েবসাইটে (www.ugc.gov.bd) এ সংক্রান্ত বিষয়ে সময়ে সময়ে তালিকা আপডেট করা হয়।

এ অবস্থায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত ক্যাম্পাসে এবং অনুমোদিত প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়ার জন্য ইউজিসির ওয়েবসাইট (www.ugc.gov.bd) থেকে তথ্য সংগ্রহপূর্বক ভর্তি হওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের জন্য প্রযোজ্য ক্ষেত্রে তারকা (*) চিহ্নসহ কমিশনের ওয়েবসাইটে (www.ugc.gov.bd) হালনাগাদ তথ্য আপলোড বা প্রদর্শন করা হয়।

এরপরও কেউ কোনো অননুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অননুমোদিত ক্যাম্পাস, অননুমোদিত প্রোগ্রামে বা অনুমোদিত প্রোগ্রামে কমিশন নির্ধারিত আসন সংখ্যার বিপরীতে অতিরিক্ত আসনে ভর্তি হয়ে প্রতারিত হলে এবং পরবর্তীতে কোনো আইনগত সমস্যা সৃষ্টি হলে কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষিত অথবা প্রোগ্রাম বাতিল হলে বা অনুমোদিত আসন সংখ্যার অধিক আসনে ভর্তি হয়ে সনদ বাতিল হলে তার দায়-দায়িত্ব ইউজিসির ওপর বর্তাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।




ট্রাম্পের শপথের আগে বিদেশি শিক্ষার্থীদের দ্রুত ফিরে আসার আহ্বান

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ গ্রহণের আগে বিদেশি শিক্ষার্থী ও স্টাফদের দ্রুত ক্যাম্পাসে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়। ট্রাম্প প্রশাসন বিদেশিদের ক্ষেত্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এই আহ্বান জানিয়েছে।

আগামী ২০ জানুয়ারি শপথের মাধ্যমে দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর শপথ নেওয়ার দিনই অর্থনীতি ও অভিবাসী সংক্রান্ত কয়েকটি নির্বাহী আদেশ জারি করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক ব্যুরো এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষা ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে যত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী রয়েছে তার মধ্যে ৫৪ শতাংশই ভারত ও চীনের। এরমধ্যে গত বছর ভারতীয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা রেকর্ড সংখ্যক ২৩ শতাংশ বেড়েছে। অপরদিকে চীনা শিক্ষার্থীর সংখ্যা চার শতাংশ কমলেও যুক্তরাষ্ট্রে তাদেরই সবচেয়ে বেশি নাগরিক পড়াশোনা করে।




বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের একদফা ঘোষণা

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিনের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে একদফা ঘোষণা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শনিবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই দাবি জানান।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, উপাচার্য নিয়োগের তিন মাস পার হলেও কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের নাম পরিবর্তন, জুলাই মাসের বিপ্লবের হামলাকারী ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নেয়া, ওষুধের অভাব, দুর্ঘটনা রোধে পদক্ষেপের অভাবসহ বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন তারা। তারা আরও জানান, বিপ্লবের পর শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ২২ দফা দাবি জানানো হলেও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

শিক্ষার্থীরা বলেন, “আগামীকাল রোববার উপাচার্য আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছেন। আমরা তার সম্মানার্থে বসবো, তবে আমাদের দাবি একটাই—তাকে পদত্যাগ করতে হবে।” তারা জানান, দাবি বাস্তবায়ন না হলে তারা কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব আহমেদ, আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়াহিদুর রহমান ও শহিদুল ইসলাম শাহেদ। এ সময় শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




পবিপ্রবিতে র‍্যাগিং: ২০ শিক্ষার্থী বহিষ্কার ও জরিমানা

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) র‍্যাগিংয়ের অভিযোগে ২০ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার ও জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) পবিপ্রবি রেজিস্ট্রার (অ.দা.) অধ্যাপক ড. মামুন অর রশিদের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ঘটনার বিবরণ:

গত ২৩ নভেম্বর রাতে এম কেরামত আলী হলে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের নবাগত শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্তরা ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এরপর শৃঙ্খলা বোর্ডের ৪০তম সভায় তদন্ত শেষে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শাস্তির তালিকা:

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার:

তানভিরুল ইসলাম সিয়াম (ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ) – ৩ সেমিস্টার

প্রিতম কারন (ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ) – ৩ সেমিস্টার

মো. ইউনুস খান ইফতি (কৃষি অনুষদ) – ২ সেমিস্টার

জুনায়েদ হোসাইন (ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ) – ২ সেমিস্টার

হল থেকে বহিষ্কার ও জরিমানা:
এক বছরের জন্য হল থেকে বহিষ্কার ও জরিমানা করা হয়েছে:

সৌরভ সরকার শাওন, জিহাদ হাসান জিম, গোলাম রাব্বি, ওমর ফারুক, খালিদ মাহমুদ রুপকসহ আরও ৮ শিক্ষার্থী।

ছয় মাসের জন্য হল থেকে বহিষ্কার ও জরিমানা করা হয়েছে:

এমএ জুবায়ের, মো. সোহেল, সনাতন চন্দ্র রায়।

অর্থ জরিমানা:
কাচিং মং মারমা, মো. নুর মোহাম্মদ সরকার, মিনহাজুল ইসলামকে ৩ হাজার টাকা করে এবং সুপেল চাকমাকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশনা:

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ও হলে অবস্থান করতে পারবে না। দণ্ডিত অর্থ আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ নেবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার জানান, “শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রশাসন কোনো ধরনের আপস করবে না। এ ধরনের ঘটনা যাতে পুনরায় না ঘটে, সে বিষয়েও আমরা সতর্ক রয়েছি।”

 

র‍্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে পবিপ্রবির প্রশাসনের এই কঠোর পদক্ষেপ ভবিষ্যতে এমন ঘটনা রোধে উদাহরণ হয়ে থাকবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিরাপদ ও সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

মো: আল-আমিন, স্টাফ রিপোর্টার, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




বাংলাদেশ কারো ষড়যন্ত্রের সামনে পরাস্ত হবে না: মাহফুজ আলম

বাংলাদেশ কারো ষড়যন্ত্রের সামনে পরাস্ত হবে না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এই মন্তব্য করেন। পোস্টে তিনি চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং আইনজীবীদের সঙ্গে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে আইনি সহিংসতায় আইনজীবী সাইফুল ইসলামের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কথা বলেন।

মাহফুজ আলম বলেন, “হঠকারিতা, নেতিবাচকতা ও ভাঙনের মানসিকতা থেকে বের হয়ে আমাদের সৃজনশীল ও ইতিবাচক মানসিকতায় এ রাষ্ট্রকে গড়তে হবে। এ রাষ্ট্র পরিগঠন করলেই কেবল শহিদ আলিফের শাহাদাতসহ শহিদানদের রক্তের মূল্য হতে পারে।”

পোস্টে তিনি ছাত্র-জনতাকে অভিবাদন জানিয়ে বলেন, “দায়িত্ব ও দরদের নজির দেখিয়ে আপনারা বাংলাদেশকে গর্বিত করেছেন। বাংলাদেশ আর কারো ষড়যন্ত্রের সামনে পরাস্ত হবে না। ইনশাআল্লাহ।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের ব্যক্তি ও সমষ্টির ‘শক্তি’ সাধনায় দরদি ও দায়িত্ববান হয়ে রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী হয়ে ওঠা মোক্ষ। আমাদের এই অভ্যন্তরীণ শক্তি যেকোনো বহিঃশত্রুকে পরাজিত করবে। আমরা আর উপনিবেশযোগ্য (Colonizable) হবো না।”

দেশের ‘প্রাজ্ঞ আলেম ও মুসলিম নেতৃবৃন্দের’ ‘বিশেষ ধন্যবাদ’ প্রাপ্য উল্লেখ করে মাহফুজ আলম লিখেছেন, “আপনারা এ গণঅভ্যুত্থানের পক্ষে বাঙালি মুসলমানকে দায়িত্বশীল আচরণে অনুপ্রাণিত করেছেন। ধর্ম, বর্ণ ও লিঙ্গ নির্বিশেষে সব নাগরিকের সমান অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে আপনাদের আজ ও আগামীর প্রাজ্ঞ উদ্যোগ বাংলাদেশ রাষ্ট্রে আপনাদের ইজ্জত ও শরিকানা নিশ্চিত করবে।”

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে পবিপ্রবিতে বিক্ষোভ

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার প্রতিবাদে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একত্রিত হয় বিক্ষোভ সমাবেশে।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা “দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা”, “হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই, ইসকনের রক্ষা নাই” এবং “সন্ত্রাসীদের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না” সহ বিভিন্ন স্লোগানে প্রতিবাদ জানায়।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী মো. জায়েদ বলেন, “ইসকনকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।”

অপর শিক্ষার্থী হাফেজ ফরিদুল ইসলাম বলেন, “ইসকন একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। এরা দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার পাঁয়তারা করছে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।”

এছাড়া, বরিশালের বাবুগঞ্জে অবস্থিত পবিপ্রবির বহিঃস্থ ক্যাম্পাসেও শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




পবিপ্রবির উপাচার্যের দুই মাস পূর্তিতে প্রশংসিত নেতৃত্ব

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) উপাচার্য হিসেবে দুই মাস পূর্ণ করেছেন অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। বরেণ্য এই শিক্ষাবিদ ও গবেষক তাঁর স্বল্প মেয়াদকালেই প্রশাসনিক দক্ষতা ও দৃঢ় নেতৃত্বে প্রশংসিত হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

এই দুই মাসে ড. রফিকুল ইসলাম সেশনজট নিরসন, অবকাঠামো উন্নয়ন, এবং প্রশাসনিক গতিশীলতা আনতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। ৪৬০ কোটি টাকার মেগা প্রকল্প দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি তিনি ক্যাম্পাসকে শতভাগ মাদকমুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের কল্যাণে ক্যাম্পাসে ডোপ টেস্ট চালু এবং র‍্যাগিং প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

শিক্ষক-কর্মচারীদের সম্মানী দ্রুত প্রদান, শিক্ষার্থীদের ডাটা প্যাকেজ দেওয়া, লাইব্রেরি ও মেডিকেল সেন্টারের আধুনিকায়ন, এবং খাবারের মান উন্নত করতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। এছাড়া, পরিবহন খাতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা এবং প্রশাসনিক ভবনগুলোতে সুপেয় পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছেন।

উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মাদকমুক্ত পরিবেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নিয়মিত ক্লাসরুম পরিদর্শনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মতামত গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করেছেন। পীর তলা বাজারের খাল পরিষ্কার কার্যক্রমের উদ্বোধন এবং ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বর্ধনে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন।

ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, “শিক্ষা ও গবেষণায় পবিপ্রবি দেশের মধ্যে একটি অনন্য বিশ্ববিদ্যালয়। চলমান উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে আমাদের অবকাঠামোত্মক দুর্বলতা থাকবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে আমরা সবাই মিলে কাজ করছি।”

পবিপ্রবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মনে করেন, উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতি দ্রুত হচ্ছে এবং পবিপ্রবি এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাচ্ছে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




পবিপ্রবিতে র‌্যাগিংয়ের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন, ৭ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) র‌্যাগিংয়ের ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. আসাদুল হককে আহ্বায়ক এবং প্রক্টর প্রফেসর আবুল বাশার খানকে সদস্য সচিব করে এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন প্রফেসর ড. মাসুদুর রহমান, প্রফেসর ড. শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন হোসেন এবং সহকারী প্রক্টর মো. আব্দুর রহিম। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রধান প্রফেসর ড. আসাদুল হক জানান, “কমিটি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।”

র‌্যাগিংয়ের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত ৭ শিক্ষার্থীকে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল থেকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতরা হলেন:
১. জিহাদ হাসান জীম
২. সুপেল চাকমা
৩. জুনাইদ হোসাইন
৪. সৌরভ সরকার শাওন
৫. প্রিতম কারন
৬. তানভিরুল ইসলাম সিয়াম

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মামুন অর রশিদ বলেন, “প্রাথমিকভাবে ৭ জনকে চিহ্নিত করে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

গত শনিবার রাতে পবিপ্রবি’র এম কেরামত আলী হলে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রায় ২০-২৫ জন শিক্ষার্থী র‌্যাগিংয়ের শিকার হন। তাদের মধ্যে ৫ জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম