পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতিকে একবছর ,সাধারন সম্পাদককে দুই বছর একাডেমীক কার্যক্রম থেকে বহিস্কারসহ উভয়কে হোস্টেল থেকে আজীবন বহিস্কার

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: আজ পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজের একাডেমীক কাউন্সিলের সভায় পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হোস্টেলে গণপূর্ত বিভাগের মালামাল সরবরাহ কাজে বাঁধা সহ চাঁদাবাজীর অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতিকে একবছর ,সাধারন সম্পাদককে দুই বছর একাডেমীক কার্যক্রম থেকে বহিস্কার সহ উভয়কে হোস্টেল থেকে আজীবন বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা: মো: মনিরুজ্জামান শাহিন বলেন ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ সাদিকুর রহমানকে একবছর ও সাধারন সম্পাদক ইফাদুল ইসলামকে দুই বছর একাডেমীক কার্যক্রম থেকে বহিস্কার সহ উভয়কে হোস্টেল থেকে আজীবন বহিস্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

উল্লেখ্য, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্পের আওতায় সম্প্রতি পুরুষ ও মহিলা হোস্টেলে কাঠের আসবাবপত্র সেটিং ও ফিটিং-এ মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করলে একাধিকবার ঢাকা থেকে আগত টেকনিশিয়ানরা ফেরত যেতে বাধ্য হয়। ছাত্রলীগের চাঁদাদাবির ঘটনায় আসবাবপত্র সরবরাহের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠান ঢাকাস্থ গণপূর্ত কাঠের কারখানা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজেদুল ইসলাম ৯ জুলাই পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ পাঠান।

এদিকে, আসবাবপত্র ফিটিংয়ের কাজে ছাত্রলীগের বাধা দেয়ার বিষয়ে ঢাকাস্থ কাঠের কারখানা বিভাগের নির্বাহী প্রকেশৗলী মো. সাজেদুল ইসলামের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের প্রকল্প পরিচালক ডা: মো: মনিরুজ্জামান ১১ জুলাই কলেজের অধ্যক্ষ বরাবরে উল্লিখিত অভিযোগ ছাড়াও সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের বিরুদ্ধে ফিটিংসের কাজে আসা টেকনশিয়ানদের অবস্থানরত হোটেলে গিয়ে মারধর করা সহ মোবাইল কেড়ে নেয়া এবং ফিটিংসের কাজে না আসতে হুমকী প্রদর্শন করে আসার লিখিত অভিযোগ সহ জরুরুী ভিত্তিতে বিষয়টি সমাধানকরার অনুরোধ জানান।

আসবাবপত্র ফিটিংয়ের কাজে ছাত্রলীগের বাধা দেয়ার বিষয়ে ঢাকাস্থ কাঠের কারখানা বিভাগের নির্বাহী প্রকেশৗলী মো. সাজেদুল ইসলামের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ ৭-সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কলেজের উপাধ্যক্ষ ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমানকে এ তদন্ত কমিটির আহবায়ক করা হয়। তদন্তে অভিযুক্তরা সরকার পরিবর্তনের আগে বিভিন্ন অজুহাতে তদন্ত কমিটির কাছে হাজির হননি। মেডিক্যাল সার্টিফিকেট দিয়ে তদন্ত কমিটির কাছে নির্ধারিত দিনে হাজির না হয়ে ও সংবাদমাধ্যমে তাদের অন্যায় কাজের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে করেন তারা।

এদিকে গত (১৬ জুলাই) বিকেলে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে কোটা বিরোধী আন্দোলনকারী এপ্রোনপড়া শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের হামলায় আহত- হন কমপক্ষে ২৫ জন। এসময় হঠাৎ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের নেতৃত্বে ২৫/৩০ টি মটর সাইকেলে দেশীয় অস্ত্র- শস্ত্র নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে হামলা চালায় শিক্ষার্থী আন্দোলনকারীদের উপর । এ সময় তারা মেডিকেল পড়ুয়া ছেলেদের বেদম লাঠিপেটার সাথে সাথে মেয়ে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করার মত ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটায়্ হামলা থেকে বাচার জন্য হোস্টেলে প্রবেশ করলেও ভিতরে প্রবেশ করে হামলা চালায়। এতে কমপক্ষে ২৫ জন আহত হন। যে ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনার সংবাদ দেশের অধিকাংশ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়।

পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ,বরিশাল বিএমএর সেক্রটারী অধ্যক্ষ মো: মনিরুজ্জামান শাহিন ঘটনার ৯ দিন পরে দেশের রাজনৈতিক অবস্থার টাল-মাটাল অবস্থার কারনে পরিবর্তিত পরিস্থিতী আচ করতে পেরে গা বাচাতে “বহিরাগতদের হামলায় পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজের বিভিন্ন ভবনের ক্ষয়ক্ষতি তথ্য প্রদান ওসাধারন ডায়েরী হিসেবে লিপিবদ্ধকরন প্রসঙ্গে ,ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পটুয়াখালী সদর থানাকে স্মারকনং ৯.১৪.৭৮০০.১৫২.১৮.০০১.২৪ (৬৩৭) স্মারকে একটি পত্র প্রেরন করেন।
মেডিক্যাল কলেজ কোটা সংস্কার অন্দোলনে অংশগ্রহনকারী পটপরিবর্তনের পরে ক্যাম্পাসে ফিরে এসে অধ্যক্ষ বরাবরে তাদের উপর হামলায় জড়িতদের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অধ্যক্ষকে জানান।
ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের হামলায় কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন ,এ ছাড়াও কলেজের আসবাবপত্র সরবরাহের কাজে ঐ নেতারাই চাদাঁদাবীসহ বিভিন্ন বাধাবিঘœ করায় তাদের নামে কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি পৃথক তদন্ত কমিটিও গঠন করেন। কলেজ বন্ধ হয়ে যাওয়া সহ প্রশাসনিক কারনে দুই দফা সময় বৃদ্ধি করা হয়।ছাত্রলীগের নেতারা কলেজ ক্যাম্পাসে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগায় তাদের স্বাক্ষ্য গ্রহন করতে সিভিল সার্জন অফিসে সম্পন্ন করা হয়। মালামাল সরবরাহের বাধার ঘটনায় ১৬ জন এবং হামলার ঘটনায় কমপক্ষে ৬০ জন স্বাক্ষ্য দেয়।। দুটি তদন্ত কমিটিরই প্রধান ছিলেন ডা: মোস্তাফিজুর রহমান, একটিতে ৭ অপরটিতে ৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি। তদন্ত কমিটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ১০ এবং ১১ তারিখ দুটি তদন্ত কমিটির রিপোর্টই অধ্যক্ষের কাছে জমা দেন।

আজ বৃহস্পতিবার একাডেমীক কাউন্সিলের মিটিংয়ে তদন্ত রিপোর্ট উপস্থাপন করা হয়।“ ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে দুিট তদন্ত কমিটির বিষয়ে কাল সভা” সভা এ সংক্রান্ত একটি রির্পোট দৈনিক ইনকিলাবের গতকালের অনলাইনে প্রকাশিত হয়।
অধ্যক্ষ মো: মনিরুজ্জামান শাহিন বলেন,আজ একাডেমীক কাউন্সিলের সভায় হোস্টেলে মালামাল সরবরাহে বাঁধা এবং চাদাঁবাজীর সাথে জড়িতের অভিযোগ তদন্তে প্রমানিত হওয়ায় ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ সাদিককে একবছর ও সাধারন সম্পাদক ইফাদুল ইসলামকে দুই বছর একাডেমীক কার্যক্রম থেকে বহিস্কার সহ উভয়কে হোস্টেল থেকে আজীবন বহিস্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের হামলার বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির সাথে ইফাদুলের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের সম্পৃক্তাতা সহ মেডিক্যাল কলেজের সাধারন ছাত্রদের রাতে হোস্টেলে গিয়ে ভয়ভীতির অভিযোগও প্রমানিত হয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।




পিটিয়ে মারার ঘটনায় মামলা করেছে ঢাবি প্রশাসন

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে তোফাজ্জল হোসেন নামে এক যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগে শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

শাহবাগ থানার ওসি মো. খালিদ মনসুর বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এজাহার দিয়েছে, সে অনুযায়ী হত্যা মামলা করা হয়েছে। তবে আসামি অজ্ঞাতনামা।

এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘটনা তদন্তে সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে ফজলুল হক হলের আবাসিক শিক্ষক অধ্যাপক ড. আলমগীর কবিরকে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে এই কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের কমিটির কাছে তথ্য দিয়ে সহায়তা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

থানার ওসি মনসুর জানান, ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়েছে কিনা তদন্তের পরে বিষয়টি বোঝা যাবে। কারণ তখন তাকে নিয়ে হাসপাতালে চলে গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি। মোবাইল চোর সন্দেহে তাকে মারধর করা হয়।




অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার ৫, আহতরা পাচ্ছেন ১ লাখ করে

চন্দ্রদ্বীপ নিউজ: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত শহীদদের প্রত্যেক পরিবার প্রাথমিকভাবে ৫ লাখ টাকা এবং আহত প্রত্যেককে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির প্রথম সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একটি স্মারক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আহতদের জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। শহীদদের পরিবারের জন্য চেক হস্তান্তর করা হবে। প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে গঠিত কমিটি সমাজের সকল স্তরের মানুষ, বাংলাদেশি প্রবাসী, সংস্থা ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে ফাউন্ডেশনে অনুদান দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।




পবিপ্রবিতে নতুন করে সহকারী প্রক্টরদের নিয়োগ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) নতুন করে সহকারী প্রক্টরদের নিয়োগ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জরুরি প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক মোহাম্মদ জামাল হোসেনের অনুমোদনক্রমে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. এস. এম. হেমায়েত জাহান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এ তথ্য জানান হয়।

নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী প্রক্টররা হলো ডিজাস্টার রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. ফয়সাল, ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. নাজমুল হক, ল অ্যান্ড ল্যান্ড এডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আব্দুর রহিম এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক আশিক-ই-এলাহী সাদী।

অফিস আদেশে বলা হয়, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য বর্তমান সহকারী প্রক্টরদের পরিবর্তে বর্ণিত শিক্ষকদের সহকারী প্রক্টর হিসেবে পরবর্তী দুই বছরের জন্য অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হলো। তারা পবিপ্রবির প্রচলিত আইন ও সংবিধি অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবেন এবং বিধি মোতাবেক আর্থিক ও অন্যান্য সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন। কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনবোধে যে কোনো সময় এই আদেশ সংশোধন বা পরিবর্তন করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করে।




পবিপ্রবিতে দিনব্যাপী ক্রয় এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনা কর্মশালা

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউঅ্যাসি) উদ্যোগে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নিয়ে ক্রয় এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনা কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ১০টায় পবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনের ৪তলায় আইকিউঅ্যাসি কনফারেন্স কক্ষে এ কর্মশালা শুরু হয়।

ডেপুটি রেজিস্ট্রার ড. মো. আমিনুল ইসলামের সঞ্চালনায় আইকিউঅ্যাসির পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ইকতিয়ার উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে জরুরি প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপক মোহাম্মদ জামাল হোসেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে ডিন কাউন্সিল কনভেনর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এ সময় রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. এসএম হেমায়েত জাহানসহ অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ৩০ জন শিক্ষক কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মোহাম্মদ জামাল হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য এমন কর্মশালা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমরা কিছু না কিছু ক্রয় করে থাকি তাই আর্থিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সুষ্ঠু নীতিমালা জানা সবার জন্যই অপরিহার্য।

তিনি আরো বলেন, সবার স্বচ্ছতা এবং দায়বদ্ধতার ফলেই তৈরি হতে পারে সুন্দর সমাজ, দেশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়।

আইকিউঅ্যাসির পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ইকতিয়ার উদ্দিন বলেন, আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও ক্রয় সম্পর্কিত জ্ঞান প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির আর্থিক লেনদেন এবং রেকর্ডের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আইনি, নৈতিক প্রয়োজনীয়তা এবং মানগুলো মেনে চলতে সাহায্য করে। যেমন- ট্যাক্স, অডিট বা প্রবিধান। প্রকিউরমেন্টের জ্ঞান ছাড়া কোনো সংগঠন, প্রকল্প, প্রতিষ্ঠান তার লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে না। কারণ এর সঙ্গে সেন্স অব পারপাস বা গোল জড়িত। প্রকিউরমেন্টের সঙ্গে সরকারি আইন এবং রুলস জড়িত।




জেএসসির ২৫%, এসএসসির ৭৫% নম্বর নিয়ে এইচএসসির ফলাফল প্রকাশের প্রস্তুতি

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক : শিক্ষার্থীদের জেএসসি ও এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার বিষয়ভিত্তিক ফলাফলের সঙ্গে মিলিয়ে (বিষয় ম্যাপিং) এবারের এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করার প্রস্তুতি নিয়েছে শিক্ষা বোর্ডগুলো।

এ ক্ষেত্রে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ৭৫ শতাংশ ও জেএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ২৫ শতাংশ নম্বরকে বিবেচনায় নিয়ে এইচএসসি বা সমমানের ফলাফল প্রকাশের পরিকল্পনা করা হয়েছে। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে এই ফলাফল প্রকাশ করা হতে পারে। একাধিক শিক্ষা বোর্ড সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত মাসে সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে পরীক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও ঘেরাও করলে এবারের এইচএসসি বা সমমানের স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করতে বাধ্য হয় শিক্ষা বিভাগ।




আমি কখনো হিজবুত তাহরির-শিবিরের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না : মাহফুজ আলম

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক : প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হয়েছেন মাহফুজ আলম। বলা হচ্ছে কোটা সংস্কার আন্দোলনে তিনি পিছনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা মাঠে বাস্তবায়িত হয়েছে। তিনি প্রধান উপদেষ্টার সহকারী হওয়ার পর থেকে তার অতীতের কিছু কর্মকাণ্ড নিয়ে স্যোশাল মিডিয়ায় অনেক কথা উঠেছে। সেই সমালোচনার বিষয়ে গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাত ৮টায় তিনি নিজস্ব ভেরিফায়েড পেজে এক দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হয়েছেন মাহফুজ আলম। বলা হচ্ছে কোটা সংস্কার আন্দোলনে তিনি পিছনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা মাঠে বাস্তবায়িত হয়েছে। তিনি প্রধান উপদেষ্টার সহকারী হওয়ার পর থেকে তার অতীতের কিছু কর্মকাণ্ড নিয়ে স্যোশাল মিডিয়ায় অনেক কথা উঠেছে। সেই সমালোচনার বিষয়ে গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাত ৮টায় তিনি নিজস্ব ভেরিফায়েড পেজে এক দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

ইকোনমিক টাইমস-এর এক সাংবাদিক আমার হিযবুত তাহরীরের সাথে মিথ্যা সম্পৃক্ততা নিয়ে লিখেছেন, যা ইচ্ছাকৃতভাবে আমাকে ভারতীয় রাষ্ট্রের ন্যারেটিভে ফাঁসানোর জন্য করা হয়েছে।
আমি আগে যেমন, এখনও তেমন হিযবুত তাহরীরের মতাদর্শের বিরুদ্ধে এবং যেকোনো অগণতান্ত্রিক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধেই আছি।

আমি ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাথেও জড়িত ছিলাম না। আমি তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করি নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষে তারা আমাকে তাদের প্রোগ্রামে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল, কিন্তু তাদের বাংলাদেশ নিয়ে তাদের মতাদর্শ আমাকে আকৃষ্ট করতে পারে নি।

আমি জামায়াতে ইসলামকে অনুসরণ করি নি এবং এখনও করি না। সেই কারণে আমি তামিরুল মিল্লাত বা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্যান্য শিবিরকর্মীদের মতো কোনো সুবিধা বা অধিকার পাইনি। বরং আমাকে ক্যাম্পাসে ইসলামোফোবিয়া এবং শিবির ট্যাগিংয়ের শিকার হতে হয়েছে।

আমাকে বেছে নিতে হয়েছে নির্জন পথ— মুজিববাদ, ইসলামোফোবিয়া এবং ইসলামী মতাদর্শের বিরুদ্ধে, বাঙালি মুসলমানদের ঐতিহাসিক আকাঙ্ক্ষার অভিমুখে। পরে আমি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড এবং রাজনৈতিক অধ্যয়ন চক্রের সাথে জড়িত হয়ে জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে আমার রাজনৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক ভূমিকা গ্রহণ করি।

আমি মাস্টারমাইন্ড ছিলাম না। তবে নয় দফাসহ ৫ জুন থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আমার সাথে পরামর্শ করে এবং আমার ‘অনুমোদন’ক্রমে। গত পাঁচ বছরে প্রায় সব প্রোগ্রাম ও ন্যারেটিভ আমার হাত দিয়েই লেখা হয়েছে। সবই আপনার জানতে পারবেন যদি আমি বা আমার সঙ্গীরা বর্তমানের চ্যালেঞ্জগুলো পার করতে পারি। দোয়া করবেন যেন আমরা সম্মানজনক জীবন যাপন করতে পারি অথবা শহীদ হতে পারি।

আমি একজন বিশ্বাসী এবং বাঙালি মুসলমান। আমি ইসলামী বা সেক্যুলার কোনো মতাদর্শকেই সমর্থন করি না। আমি এই অঞ্চলে  সভ্যতাগতভাবে পরিবর্তিত একটি রাষ্ট্র ও সমাজের রূপকল্প পোষণ করি, যা গড়ে উঠবে দায় ও দরদের আদর্শের ভিত্তিতে। নির্যাতিত জনগণের ব্যক্তিগত ও সম্মিলিত আকাঙ্ক্ষাগুলো রাষ্ট্রনীতিতে রূপান্তরিত হবে।

ঢাকা হবে বঙ্গোপসাগর অঞ্চলের সভ্যতাগত মেলবন্ধন এবং বেণী লেনাদেনার কেন্দ্র। ইনশাআল্লাহ!

দীর্ঘ ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি আরও লিখেন, আমি ইসলামী বা অন্য কোনো ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অভিপ্রকাশের বিরোধী নই। আমি মনে করি রাষ্ট্রগঠনে সম্প্রদায়গুলোর ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অভিপ্রকাশসমূহের  সহাবস্থান করার সুযোগ থাকা দরকার। রাষ্ট্রের সেক্যুলার প্রকল্প যেন কোনো সম্প্রদায়েরই ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অভিপ্রকাশের জায়গাকে সংকুচিত করে না ফেলে। তবে এই অভিপ্রকাশগুলো যেন আবার ফ্যাসিবাদী মতাদর্শের দিকে না যায়।

একদম ঠিক ঠিক করে বললে, আমি লালন বা মার্কসের অনুসারী নই, তাই আমি ফরহাদ মজহারের ইসলাম ও মার্কসবাদ গ্রহণ করি না। লালনকে আমি বাংলার আত্ম-অন্বেষণ চর্চা ও আচার-অনুষ্ঠানের একটি সমন্বিত প্রকাশ হিসেবে দেখি। আর যতদিন পুঁজিবাদ থাকবে ততদিন প্রাসঙ্গিক থাকবেন মার্কস। তবে, বাঙালি মুসলমানদের প্রশ্নটি প্রধানত নদীমাতৃক ইসলাম ও বাংলার মুসলিম সম্প্রদায়ের ফ্রেমওয়ার্কে আলোচনা করা উচিত। বাঙালি মুসলমানদের উচিত হীনমন্যতার শেকল ভেঙে ফেলে তাদের পূর্বপুরুষদের দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্বদরবারে ব্যাখ্যা করা।

আমি মাজার/কবর পূজারী নই। আমি বিভিন্ন তরিকার সুফি এবং আলেমদের শ্রদ্ধা করি। কৈশোরকাল এবং পরবর্তী সময়ে আমি অনেক আলেম ও পীরদের সাথে সংযুক্ত ছিলাম। এবং এখনও তাদের সাথে আমার সম্পর্ক আছে। তারা আমাকে নবীর (সা.) প্রতি ভালোবাসায় অভিষিক্ত করেছেন। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আবার, আমি আপোষকামী এবং ফ্যাসিবাদ সমর্থনকারী সুফিবাদ পছন্দ করি না। আমি সেই সুফি ও আলেমদের ভালোবাসি, যারা নিজেদের অধিকারের জন্য দাঁড়ান।

আমি মনে করি, যারা মাজার ভাঙছে তারা আসলে বাঙালি মুসলমানদের সাধারণ আকাঙ্ক্ষা এবং বাংলার ঐতিহাসিক ঐতিহ্যের বিরুদ্ধে কাজ করছে। ঐতিহাসিক সম্প্রদায় হিসেবে বাঙালি মুসলমানদের জোট গঠন করতে হবে দক্ষিণ এশিয়ার মজলুম হিন্দু, বৌদ্ধ, ও মুসলমানের সাথে। এভাবেই দূর করতে হবে মুজিববাদ, ইসলাম-আতঙ্ক, হিন্দুত্ববাদ, এবং ফ্যাসিবাদ-সমর্থনকারী সুফিবাদ ও ইসলামিজমকে। আমরা অনেক বার দেখেছি কীভাবে ফ্যাসিবাদবিরোধী ইসলামিজমও মুজিববাদ ও হিন্দুত্ববাদের বাঁচার উপায় হয়ে উঠেছে।

আমি আমার বাঙালি মুসলমান পূর্বপুরুষদের অনুসরণ করি, যারা ত্যাগ ও দূরদর্শিতার মাধ্যমে একটি সম্প্রদায় গড়ে তুলেছিলেন। এই সম্প্রদায় এ অঞ্চলে তাদের ন্যায্য হিস্যা পাবে এবং তাদের রূপকল্প বাস্তবায়িত হবে। আমি পশ্চাদপদ জাতীয়তাবাদগুলোর বিরুদ্ধে। বাংলাদেশের ভেতরে এবং বাইরে আরও আরও মানুষের সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য দরকার নতুন ভাষা ও শব্দভাণ্ডার।

পুনশ্চ: আমার লেখাগুলোতে কেউ আহত হলে, আমি অন্তর থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমি আপনাদের সকলকে সহনাগরিক হিসেবে এবং ভাই ও বোন হিসেবে ভালোবাসি। দয়াল দরদি নবিজিকে সালাম!




ত্রাণের বাকি টাকা সম্পর্কে যা জানালেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

  • ত্রাণের বাকি টাকা বিশেষভাবে অ্যাকাউন্টে সংরক্ষিত রয়েছে জানিয়েছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
  • স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণে আগামী কয়েকদিনে অডিট রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে, জানিয়েছেন তিনি

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক : সম্প্রতি বন্যার্তদের সহায়তায় তোলা ত্রাণ ও টাকা বিশেষভাবে অ্যাকাউন্টে সংরক্ষিত রয়েছে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে তিনি এ কথা জানান।

সেখানে হাসনাত আবদুল্লাহ লেখেন, ‘গত ৪ সেপ্টেম্বরের প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে আমাদের টিএসসির ত্রাণ কর্মসূচির আয় ও ব্যয়ের হিসাব জানানো হয়েছিল। ব্যয় বাদে বাকি টাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনতা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক শাখা, ইসলামি ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ে সংরক্ষিত রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক, একজন নারী শিক্ষার্থী ও একজন ছাত্রের নামে বিশেষভাবে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে, যেখানে শুধু এই তিনজনের সম্মিলিত সিগনেচারের মাধ্যমে টাকা হস্তান্তর করা সম্ভব। এখন পর্যন্ত ওই একাউন্ট থেকে কোনো টাকা হস্তান্তর করা হয়নি।’

তিনি আরও লেখেন, ‘স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে আমরা ত্রাণ কার্যক্রমের আয় ও ব্যয়ের ওপর একটি অডিট করছি এবং আগামী কয়েকদিনের মধ্যে অডিট রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে, ইনশাআল্লাহ। আমরা সবসময় গঠনমূলক সমালোচনা গ্রহণে আগ্রহী। কোনো বিশেষ ভুলবুঝাবুঝি থাকলে অনুগ্রহ করে তা নির্দিষ্টভাবে তুলে ধরুন, যাতে আমাদের কাজ আরও কার্যকরী হতে পারে। আগামীর বাংলাদেশ হোক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মডেল।’




পবিপ্রবিতে জরুরি, প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বে প্রফেসর মোহাম্মদ জামাল হোসেন

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) জরুরি, প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক মোহাম্মদ জামাল হোসেন। গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. এস এম হেমায়েত জাহান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই নিয়োগ দেওয়া হয়।

সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ কর্তৃক ২৯ আগস্ট জারি করা পত্রের আলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন কাউন্সিলের অনুষ্ঠিত সভায় এ দায়িত্ব প্রদান করা হয়।

অফিস আদেশে আরো উল্লেখ করা হয় যে, জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক মো. জামাল হোসেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম চলমান রাখা ও আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনার নিমিত্তে ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে জরুরি, প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব পালন করবেন।




দুমকীর সৃজনী সংসদের নেতৃত্বে রানা ও ডা. রুবেল

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক : সৃজনী বিদ্যানিকেতন পবিপ্রবি স্কুল এ্যান্ড কলেজ এর প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন , সৃজনী সংসদের সভাপতি মনোনীত হয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ২০০৩ ব্যাচের সাজ্জাদ হোসেন রানা এবং সাধারণ সম্পাদক ২০০৬ ব্যাচের ডা. মো. মহিবুল্লাহ রুবেল।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৬টায় সৃজনী সংসদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক, পবিপ্রবি এর অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান ও প্রধান উপদেষ্টা, সৃজনী বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক মো.আবদুল কুদ্দুস স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

নবগঠিত আংশিক কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন এ্যাড. শামসুল হুদা রিফাত, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক রাসেদুল হাসান বাবু, দপ্তর সম্পাদক : মাইনুল ইসলাম আকাশ, প্রচার সম্পাদক সাজ্জাদুল ইসলাম দূর্জয়।

কমটির সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন রানা বলেন,
দুমকি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সৃজনীবিদ্যানিকেতন। বিভিন্ন সময়ে সৃজনীবিদ্যানিকেতন এর প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিয়ে সৃজনী সংসদ পুনর্গঠন করতে যেয়ে নানান প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয়েছে। কিন্তু আজ প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে সকলের মতামতের ভিত্তিতে কোন রকম বিতর্ক ছাড়াই কমিটি গঠিত হয়েছে। এজন্য সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা। আমরা একযোগে সৃজনীর বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিয়ে সৃজনীবিদ্যানিকেতনের উন্নতির জন্য কাজ করে যেতে চাই।

সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. মহিবুল্লাহ্ রুবেল জানান,
সৃজনীবিদ্যানিকেতনের অধিকাংশ প্রাক্তন শিক্ষার্থী যেহেতু তাদের সমর্থন দিয়ে আমাকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত করেছেন, আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে তাদের আস্থার প্রতিদান দিতে চাই। সৃজনী বিদ্যানিকেতনকে বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ গড়ে তুলতে বিদ্যালয় প্রশাসনের পাশাপাশি সৃজনী সংসদ সর্বদা কাজ করবে। গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীরা যাতে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম ঠিকভাবে চালাতে পারে সেজন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করা হবে।বিদ্যালয়ের প্রতিটি সামাজিক কর্মকাণ্ডে এ সংসদ বিদ্যালয়ের পাশে থাকবে। দেশের বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বিপর্যয় এ সৃজনী সংসদ সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে বলে আমার বিশ্বাস। আমরা যেন সুন্দরভাবে,সফলতার সাথে আমাদের দায়িত্ব পালন করে যেতে পারি এজন্য সকালের পরামর্শ, সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করি।

এছাড়াও কমিটিতে উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন – ড. মো. জসিম উদ্দিন, গোলাম সরোয়ার সুজন, মো. শওকত হাসান, ডা. মো. হাবিবুর রহমান, তরিকুল ইসলাম শাহিন, কামরুন্নাহার মিতু, শফিউল আলম রাজিব, মো. শাহিন খান, মো. মিজানুর রহমান।