পবিপ্রবির আইন ও ভূমি প্রশাসন অনুষদের ৪র্থ ব্যাচের বিদায় সংবর্ধনা

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) আইন ও ভূমি প্রশাসন অনুষদের নোভাস-৫ কর্তৃক আয়োজিত নৈর্ঋত-৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের কনফারেন্স কক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. এস. এম. হেমায়েত জাহান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন আইন ও ভূমি প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. আব্দুল লতিফ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আইন ও ভূমি প্রশাসন অনুষদের বিভাগীয় চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক মো. আব্দুর রহিম, সহযোগী অধ্যাপক আবুবকর সিদ্দিক, সহকারী অধ্যাপক মো. রেজাউল ইসলাম ও সহকারী অধ্যাপক সউদ বিন আলম। আরো উপস্থিত ছিলেন আইন ও ভূমি প্রশাসন অনুষদের বিদায়ী শিক্ষার্থীরা এবং ৫ম ব্যাচ, ৬ষ্ঠ ব্যাচ ও ৭ম ব্যাচ ও ৮ম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।

অনুষ্ঠানের শুরুতে কুরআন তিলাওয়াত ও গীতাপাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানের পরবর্তী কার্যক্রমে বিদায়ী বক্তব্য দেন বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। এরপর বিদায়ী ব্যাচের পক্ষ থেকে অনেকে তাদের আবেগঘন বক্তব্য দেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অন্তিম মুহূর্তে এসে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের স্মৃতিচারণ করেন।




পবিপ্রবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভায় ছাত্রদলের বাধার অভিযোগ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: দেশ পুনর্গঠনের লক্ষ্যে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের দেশব্যাপী সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়সভার অংশ হিসেবে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আগমন করেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ ও একটি প্রতিনিধি দল।

গতকাল মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সভাকক্ষে মতবিনিময়সভা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে ক্যাম্পাসে উপস্থিত হতে পারেননি সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদসহ প্রতিনিধি দল।

অভিযোগ পাওয়া যায়, স্থানীয় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাদের ক্যাম্পাসে আসতে বাধা প্রদান করে।

জানা গেছে, নির্ধারিত সময়ের দেড় ঘণ্টা পর সভা শুরু হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলপন্থী কিছু শিক্ষার্থী অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্নের মাধ্যমে আব্দুল হান্নান মাসুদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে।এক পর্যায়ে তারা উত্তেজিত হয়ে হান্নানের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে এবং অনুষ্ঠানের ব্যানার ছিঁড়ে অনুষ্ঠানটি পণ্ড করে দেয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসসি অনুষদের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী তানভির আহমেদ এবং একই সেশনের শিক্ষার্থী সালমান রহমান ফিয়াদের নেতৃত্বে কিছু শিক্ষার্থী এই বিশৃঙ্খলা করে। ওই সময়ে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে স্থানীয় বিএনপিপন্থী কিছু নেতাকর্মীকে জড়ো হতে দেখা যায়।

এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী নুর নবী সোহান বলেন, ‘ক্যাম্পাসের কিছু শিক্ষার্থী পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মতবিনিমিয়সভাকে পণ্ড করার লক্ষ্যে অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করে সমন্বয়কদের উত্তপ্ত করতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে অনুষ্ঠানের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন এবং সমন্বয়কদের অপমান করেন।’

কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী খালিদ হাসান মিলু বলেন, ‘এই বিশৃঙ্খলা পূর্ব পরিকল্পিত, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে আগামীর নতুন বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে ষড়যন্ত্রের অংশ। এ ছাড়াও ক্যাম্পাসের ভেতরে বহিরাগতদের শোডাউন দুঃখজনক। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধভাবে এই ষড়যন্ত্রকে রুখে দেব।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, ‘আমরা অনেক জায়গায় গিয়েছি কিন্তু কোথাও এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়নি। ক্যাম্পাসে ঢোকার আগে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা আসতে বাধা প্রদান করেছে। এবং ক্যাম্পাসের ভেতরে বিএনপিপন্থী শিক্ষার্থীরা হেনস্তা করেছে।’ এ সময় তিনি সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে হতাশ না হয়ে আগামীর নতুন বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে মনোনিবেশ করার আহ্বান জানান।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর জিল্লুর রহমান, প্রক্টর আবুল বাশার ও ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. মুজাহিদুল ইসলাম, কৃষি অনুষদের প্রফেসর এবিএম সাইফুল ইসলামসহ শিক্ষকদের একটা টিম আলোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূলধারার সংগঠন ব্যতীত সবধরনের সংগঠন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন।

পাশাপাশি নতুন কোনো সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনা করতে না করেন। এবং অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা উক্ত ঘটনার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন।




সব শ্রেণির পাঠ্যবই পরিমার্জিত হচ্ছে

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষাবিদ—সবার মতামত উপেক্ষা করেই নতুন কারিকুলাম চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পাঠ্যবইয়ে ইচ্ছেমতো বিষয়বস্তু প্রকাশ করা হয়েছে। শিক্ষা ও নৈতিকতা বাদ দিয়ে ‘রাজনৈতিক’ বিবেচনায় তৈরি করা হয়েছিল পাঠ্যবই।

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বইয়ের নানা অসংগতি বাদ দিয়ে বইয়ের পরিমার্জনের কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুতগতিতেই চলছে এই কাজ। শিক্ষাবিদরা বলছেন, আওয়ামী লীগ সরকার পাঠ্যবইয়ে ইতিহাস বিকৃত করে ছাপিয়েছে। সেগুলো সংশোধন ছাড়া কোনোভাবেই প্রকাশযোগ্য নয়। তাই বই পরিমার্জন ­করা জরুরি। বিকৃত ও ভুল তথ্য সংযোজিত বই আগে দেওয়ার চেয়ে পরিমার্জিত বই দেরিতে দেওয়াও ভালো।

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের একাদশের ক্লাস শুরু হয়েছে। তবে এখনো ছাপা হয়নি উচ্চমাধ্যমিকের পাঠ্যবই। মেলেনি সিলেবাসও। এ স্তরের পাঠ্যবইয়ে পরিমার্জনের কাজ চলমান থাকায় বই পেতে আরও বেশ কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে।

চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে বইয়ের পরিমার্জনের কাজ শেষ করে পাণ্ডুলিপি প্রেসে পাঠানো যাবে বলে জানিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের বিষয়গুলো বাদে বাংলা, ইংরেজি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি—এ তিনটি বিষয়ের চারটি পাঠ্যবই জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক প্রণীত হয়ে থাকে। সর্বশেষ ২০১৪ সাল থেকে বাংলা সাহিত্য পাঠ ও সহজপাঠ, ২০১৫ সাল থেকে ইংলিশ ফর টুডে এবং ২০২১-এ প্রণীত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বই এখনো শিক্ষার্থীদের পাঠ্য। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর উদ্যোগ নেয় পরিমার্জনের। বাংলা বইয়ের কাজ শেষ হলেও বাকি এখনো ইংরেজি ও আইসিটি।




মধ্যরাতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও বিএম কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক : বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত দুইটার দিকে ব্রজমোহন কলেজ ক্যাম্পাসে এই ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী এবং উভয়প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

ব্রজমোহন কলেজের শিক্ষার্থী আমান জানান, মধ্যরাতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি বাস, একটি ছোট ট্রাকভর্তি শিক্ষার্থীরা এসে আমাদের ক্যাম্পাসে হামলা চালায়। যাকে যেখানে যেভাবে পেয়েছে পিটিয়ে আহত করেছে। অনেকের মাথা ফেটেছে, অনেকে মারাত্মক জখম হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা কলেজের তিনটি গাড়িও ভাঙচুর করেছে।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাজিদ বলেন, আমাদের বাসে ব্রজমোহন কলেজের কিছু উচ্ছৃঙ্খল শিক্ষার্থী ভাঙচুর চালায়। এসব বিষয়ে কথা বলতে কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়েছিলাম। তারা আমাদের দেখেই হামলা চালায়। আমাদের অনেকে আহত হয়েছেন।

গত কয়েকদিন ধরেই উভয় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এক নির্মাণাধীন ভবন নিয়ে এ ঘটনার সূত্রপাত।

কয়েকজন শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, নগরীর বাংলাবাজার এলাকার ব্যাপ্টিস্ট মিশন রোডের এক নারীর ভবন নির্মাণ বন্ধ করে রেখেছে ওই নারীর প্রতিবেশী একটি পক্ষ। এ বিষয়ে সরকারি ব্রজমোহন কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রভাবিত করে ঘটনাস্থলে এনে কাজ শুরু করার চেষ্টা চালান ওই নারী। ব্রজমোহন কলেজের সমন্বয়কারীদের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে ব্যাপ্টিস্ট মিশন রোডের ওই বাড়িতে যান একদল শিক্ষার্থী।

খবর পেয়ে ওই নারীর প্রতিপক্ষের মেয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ঘটনাস্থলে কয়েকজন শিক্ষার্থী নিয়ে আসেন। এ সময় মোস্তাফিজকে মারধর করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার মানববন্ধনের আয়োজন করে বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা। ওইদিকে মোস্তাফিজের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

পরদিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে চাঁদাবাজির অভিযোগে মারধর করা হয়। তাদের উদ্ধারে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাস নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। পরে বাসটি ভাঙচুর করে সরকারি ব্রজমোহন কলেজের শিক্ষার্থীরা। এসব ঘটনার সূত্র ধরে রাত দুইটার দিকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিএম কলেজ ক্যাম্পাসে এসে হামলা-ভাঙচুর চালায়।

সরকারি ব্রজমোহন কলেজের প্রশাসনিক কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তারা কাজ করছেন।




পবিপ্রবির ভিসি রেজিস্ট্রারসহ চারজনকে হাইকোর্টের কারণ দর্শানোর নোটিশ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) সেকশন অফিসারসহ বিভিন্ন পদের নিয়োগ কেন অবৈধ হবে না তার কারণ জানতে সাবেক ভিসি ও রেজিস্ট্রারসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২৮ আগস্ট রুলনিশি জারি করা হয়েছে। হাইকোর্ট সেকশন অফিসার পদে শামসুল হুদা রিফাত নামে এক চাকরি প্রত্যাশীর দায়ের করা রিট পিটিশনের শুনানি শেষে হাইকোর্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, ইউজিসি চেয়ারম্যান, পবিপ্রবির ভিসি ও রেজিস্ট্রারকে ওই রুলনিশি প্রদান করেন।

বাদী পক্ষের কৌঁসুলি মোহাম্মাদ জুলফিকার আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ১৬ নভেম্বর ৩ জনসহ অন্যান্য পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের দপ্তর সেকশন অফিসার পদের জন্য রিটকারী শামসুল হুদা রিফাত (মামলার বাদী)। ফলে ২০২৩ সালের ২ নভেম্বর বাদীকে সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হলে তিনি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে সাক্ষাৎকার দেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষক-কর্মকর্তা পদে বাছাইয়ের জন্য একাধিক কমিটি গঠন করে যা বিধিবহির্ভূত বলে বিবরণে উল্লেখ করা হয়।

এ বিষয়ে পবিপ্রবির রেজিস্ট্রার (অ. দা.) অধ্যাপক ড. এসএম হেমায়েত জাহান বলেন, এখনো কোনো কাগজপত্র পাইনি। তবে শুনেছি বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। নিয়োগ বাতিল হবে কিনা জানতে চাইলে বলেন, নিয়োগ বৈধ প্রক্রিয়ায় না হলে বাতিল হওয়ার সুযোগ রয়েছে।




ভারতের নিষেধাজ্ঞা সত্য হলেও কিছু আসে যায় না : সমন্বয়ক নুসরাত

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম বলেছেন, আমাদের বিরুদ্ধে ভারতের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়ে থাকলে বা সত্য হলেও সেটাকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি না। এই নিষেধাজ্ঞায় আমাদের কিছু আসে যায় না।

‘ছয় ছাত্রনেতার ওপর ভারতের ভিসা নিষেধাজ্ঞা’ শীর্ষক একটি সংবাদ প্রকাশ করে দ্য মিরর এশিয়া, যাতে নুসরাত তাবাসসুমের নাম রয়েছে। সংবাদে উল্লেখিত নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে নুসরাত তাবাসসুম কালবেলাকে একথা বলেন।

তিনি বলেন, দ্য মিরর এশিয়ার নিউজটা ছাড়া নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আমি আসলে কিছুই জানি না বা কিছু শুনিনি। এ বিষয়ে ইন্ডিয়ান হাই কমিশনার থেকেও আমাদেরকে কিছু জানানো হয়নি, দেশের কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিও কিছু জানায়নি।

তিনি আরও বলেন, আপনারা সবাই যেমন মিরর এশিয়ার খবরটা দেখেছেন অনলাইনে, আমিও সেরকমই দেখেছি। এর বেশিকিছু জানি না।

 

 

নুসরাত আরও বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা সত্য কিনা সেটা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। আর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়ে থাকলেও বা সত্য হলেও সেটাকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি না। এই নিষেধাজ্ঞায় আমাদের কিছু আসে যায় না। কারণ ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান স্পষ্ট। এজন্য, যদি নিষেধাজ্ঞা দিয়েও থাকে তাহলে মনে করছি যে, এতে আমাদের আন্দোলন পূর্ণতা পেলো।

 

 

দ্য মিরর এশিয়া জানায়, ভারতবিরোধী জনতাকে উসকে দেওয়া ও ভারতের জাতীয় স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগ এনে বাংলাদেশের ছয় ছাত্রনেতা ও তাদের ঘনিষ্ঠজনদের ভিসা না দেওয়ার জন্য কালো তালিকাভুক্ত করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এই নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, গণতান্ত্রিক ছাত্র শক্তির আহ্বায়ক আখতার হোসেন, সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম ও নুসরাত তাবাসসুম।




নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নযোগ্য নয়, পরীক্ষাসহ ফিরছে যত নিয়ম

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক : সমালোচনা ও বিতর্কের মুখেও নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আপত্তিকে পাত্তাই দেওয়া হয়নি। শিক্ষাক্রমের বিরোধিতা করায় অনেক অভিভাবক, শিক্ষককে ‘কালো আইন’ হিসেবে পরিচিত সাইবার সিকিউরিটি আইনে মামলা দেওয়া হয়। গ্রেফতারও হন বেশ কয়েকজন। ফলে বাধ্য হয়ে অনেকে সন্তানদের ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে ভর্তি করান।

আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে ‘বাইবেল’ বলে গণ্য হওয়া সেই শিক্ষাক্রম ‘বাস্তবায়নযোগ্য নয়’ বলে আখ্যা দিয়ে পরিপত্র জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার পরিপত্রে সই করেন।

এতে বলা হয়েছে, ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০২২ এর (নতুন শিক্ষাক্রম) বিষয়ে মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতা তথা অংশীজনদের অভিমত, গবেষণা ও জরিপ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে এ শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির ঘাটতি, পাঠ্য বিষয়বস্তু ও মূল্যায়ন পদ্ধতি সম্পর্কে অস্পষ্টতা ও নেতিবাচক ধারণা, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার প্রকট অভাব ইত্যাদি নানাবিধ বাস্তব সমস্যা বিদ্যমান থাকায় ওই শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নযোগ্য নয় মর্মে প্রতীয়মান।’

এরপর মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পরিপত্রে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, প্রাথমিক শিক্ষাস্তরে প্রাক-প্রাথমিক, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এবং প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের সঙ্গে ধারাবাহিকতা রেখে এরই মধ্যে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পাঠ্যবইগুলোর পাণ্ডুলিপি প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করে মুদ্রণ করা হবে। এক্ষেত্রে পাঠদান পদ্ধতি ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা হবে। যতদূর সম্ভব মূল্যায়ন পদ্ধতি পূর্বের জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ এর মতো হবে।

বই সংশোধন আগামী বছর
পরিপত্রে জানানো হয়, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে চলমান পাঠ্যবইগুলো ২০২৪ সালের পুরোটা সময় বহাল থাকবে। ২০২৫ সালে যথাসম্ভব সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ করা হবে।

২০২৬ সালের এসএসসি সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে
২০২৫ সালে দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা (২০২৬ সালে অনুষ্ঠিতব্য) নেওয়ার লক্ষ্যে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা অব্যাহত রেখে পূর্বের জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ এর আলোকে প্রণীত সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যপুস্তকগুলো (অর্থাৎ ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ব্যবহৃত পুস্তক) শিক্ষার্থীদের সরবরাহ করা হবে।

জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ অনুসারে প্রণীত বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষাভিত্তিক এ পাঠ্যপুস্তকগুলোর একটি সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করা হবে। যেন শিক্ষার্থীরা এক শিক্ষাবর্ষের মধ্যেই পাঠ্যসূচি সম্পন্ন করতে পারে। পাঠদান ও মূল্যায়ন পদ্ধতি জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ অনুসারে পরিচালিত হবে।

এতে আরও বলা হয়, যেসব শিক্ষার্থী ২০২৫ সালে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হবে, তাদের জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ এর আলোকে প্রণীত শাখা ও গুচ্ছভিত্তিক সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যপুস্তকগুলো (২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ব্যবহৃত) প্রদান করা হবে। এসব শিক্ষার্থী নবম ও দশম শ্রেণি মিলিয়ে দুই শিক্ষাবর্ষে সম্পূর্ণ পাঠ্যসূচি শেষে ২০২৭ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।

ষষ্ঠ থেকে নবমে এ বছরই বার্ষিক পরীক্ষা
নতুন শিক্ষাক্রমে পরীক্ষা নেই। বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়ন করা হয়। ফলে নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল না হওয়া পর্যন্ত পরীক্ষা নেওয়া হবে না বলে যে তথ্য ছড়িয়েছিল, তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বরং চলতি বছরের ডিসেম্বরে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হবে।

মন্ত্রণালয় বলছে, সংশোধিত ও পরিমার্জিত মূল্যায়ন পদ্ধতিতে নতুন শিক্ষাক্রমের বইয়ের ওপরই মাধ্যমিক পর্যায়ের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষার আয়োজন ও মূল্যায়ন করা হবে। সংশোধিত ও মূল্যায়ন পদ্ধতির রূপরেখা শিগগির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হবে।

পরিপত্রে এ বিষয়ে বলা হয়, ২০২৪ সালের অবশিষ্ট সময়ে ও বার্ষিক পরীক্ষায় ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সংশোধিত এবং পরিমার্জিত মূল্যায়ন পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করা হবে।

এতে আরও বলা হয়, শ্রেণি কার্যক্রমগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির প্রতিটির ছয়টি করে বিষয়ভিত্তিক যে মূল্যায়ন কার্যক্রম অসম্পন্ন রয়েছে, সেগুলো আর হবে না। সংশোধিত ও পরিমার্জনকৃত মূল্যায়ন রূপরেখার ভিত্তিতে চলতি বছরের ডিসেম্বরে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সংশোধিত ও পরিমার্জিত মূল্যায়ন পদ্ধতির রূপরেখা শিগগির স্কুলে স্কুলে পাঠানো হবে।

পরিমার্জিত চূড়ান্ত শিক্ষাক্রম ২০২৬ সালে
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে বলা হয়েছে, শিক্ষাবিদ, শিক্ষাক্রম বিশেষজ্ঞ, মূল্যায়ন বিশেষজ্ঞ, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রশাসক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও অভিভাবক প্রতিনিধিদের সহযোগিতায় ২০২৫ সালে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম চূড়ান্ত করা হবে। যা ২০২৬ সাল থেকে পরিপূর্ণরূপে কার্যকর করা হবে।




পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও ট্রেজারারের পদত্যাগ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত এবং ট্রেজারার প্রফেসর মোহাম্মদ আলী পদত্যাগ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাতে তারা উভয় পদত্যাগ করেন ।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব বরাবর লিখিত পদত্যাগ পত্রে প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত উল্লেখ করেন তিনি ব্যক্তিগত ও পারিবারিক প্রয়োজনে ভাইস চ্যান্সেলর পদ থেকে পদত্যাগ করলেন।

অপর দিকে, প্রফেসর মোহাম্মদ উল্লেখ করেন তিনি ব্যক্তিগত কারণে ট্রেজারার পদ থেকে পদত্যাগ করলেন।

উল্লেখ্য, প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত গত ১৭ মে,২০২১ থেকে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।




বৃষ্টি উপেক্ষা করে পবিপ্রবিতে নরেন্দ্র মোদির কুশপুত্তলিকা দাহ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: লাগাতার আন্দোলনের অংশ হিসেবে ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কুশপুত্তলিকা দাহ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তন (টিএসসি) প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

সকাল থেকে আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকা সত্ত্বেও বৃষ্টি উপেক্ষা করে টিএসসি চত্বরে জড়ো হতে থাকে শিক্ষার্থীরা। পূর্ব নির্ধারিত সময়ের কিছু পরে কর্মসূচির অংশ হিসেবে নরেন্দ্র মোদির কুশপুত্তলিকায় জুতার মালা ঝুলিয়ে শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে টিএসসি চত্বরে এসে শেষ হয়। মিছিল পরবর্তী শিক্ষার্থীরা নরেন্দ্র মোদির কুশপুত্তলিকা দাহ করেন। এসময় শতাধিক শিক্ষার্থীরা মোদি ও ভারত বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী আইন ও ভূমি প্রশাসন অনুষদের শিক্ষার্থী নুরুন্নবী সোহান বলেন, বারবার ভারতের এমন আগ্রাসন আমরা নিতে পারি না। ভারত যদি তাদের নীতি থেকে সরে না আসে আমরাও তাদের সেভেন সিস্টার্স ধ্বংস করে দেব।

উল্লেখ্য, ভারত সরকার কর্তৃক ডম্বুর ও গজলডোবা বাঁধ খুলে দেওয়ায় বাংলাদেশে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে নোয়াখালী, ফেনী, সিলেট ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।




ভারতে বাঁধ খুলে দেওয়ায় দেশে বন্যা, প্রতিবাদে মধ্যরাতে উত্তাল পবিপ্রবি

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: ভারতের ত্রিপুরায় জলাধারের বাঁধ খুলে দেওয়ায় বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের আট জেলা ভেসেছে বন্যায়। এর প্রতিবাদে মাঝরাতে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে নেমে উত্তাল হয়ে ওঠে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি)।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত একটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্ত বাংলা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ।

এ সময় পবিপ্রবির বিভিন্ন হল থেকে ছোট ছোট দলে এসে মুক্ত বাংলার চত্বরে সমবেত হন। পরে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার মুক্ত বাংলার পাদদেশে এসে সমাবেশ করেন।

‘পেতে চাইলে মুক্তি, ছাড়ো ভারত ভক্তি’ ‘বন্যায় আহাজারি, কোথায় গেল সম্প্রীতি’ ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা’ ‘ভারতীয় আগ্রাসন, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’ এমন নানা স্লোগানে প্রকম্পিত হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের পানির ন্যায্য হিসাব নেওয়ার সময় এসে গেছে। এখন আর তাবেদারি নয়, চাই ন্যায্য দাবি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক যেকোনো,ধরনের আগ্রাসনের বিষয়ে ভারতকে হুঁশিয়ারি করেন শিক্ষার্থীরা।

ভারতের ত্রিপুরায় ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে রাজ্যটির পূর্বাঞ্চচলে বন্যা দেখা দেওয়ায় খুলে দেওয়া হয় গম্বুর ও গজলডোবা বাঁধ। এতে উজান থেকে নেমে আসা পানিতে তলিয়েছে বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি, ফেনী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জসহ আট জেলার বিভিন্ন উপজেলা।