কাঁঠালিয়ায় শীত ও বৃষ্টিতে চরম দুর্ভোগে শ্রমজীবীরা

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে তীব্র শীত, ঘন কুয়াশা এবং গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শীতের পাশাপাশি বৃষ্টির কারণে অনেকেই বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না, বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষের জন্য এই পরিস্থিতি চরম দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শীতজনিত রোগও বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং শিশু ও বৃদ্ধরা এই সময়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে শীতের সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি চলতে থাকে। এ অবস্থায় কাঁঠালিয়ার বিভিন্ন এলাকায় জনজীবন কার্যত অচল হয়ে পড়ে। সড়কে তেমন কোনো যানবাহন চলছিল না এবং মানুষ খুব বেশি প্রয়োজন না হলে ঘর থেকে বের হচ্ছিলেন না।

কাঁঠালিয়ার জমাদ্দার হাটের হোটেল ব্যবসায়ী মো. সেলিম ঘরামি জানান, প্রচুর শীত থাকার কারণে এবং গতকাল রাত থেকে বৃষ্টির কারণে বাজারে তেমন মানুষ আসছে না, ফলে তার বেচাকেনা অনেক কমে গেছে।

এদিকে, শ্রমজীবী মানুষও কঠিন পরিস্থিতির শিকার। মো. স্বপন খান, একজন দিনমজুর, বলেন, “বৃষ্টি এবং শীতের কারণে বাজারে লোকজন আসে না। তাই আমি কাজ করতে পারিনি, টাকা রোজগারও করতে পারিনি।”

রিকশাচালক মো. তোকাব হাওলাদার জানান, বৃষ্টির কারণে তিনি আজ কোন আয়-রোজগার করতে পারেননি। তিনি জানান, তার অসুস্থ স্ত্রীর জন্য প্রতিদিন ওষুধ কেনা প্রয়োজন, কিন্তু আজ সে ওষুধ কেনা যাবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান।

এমন পরিস্থিতিতে কাঁঠালিয়া সদর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রের চিকিৎসক সোহাগ মজুমদার জানান, তীব্র শীত এবং বৃষ্টির কারণে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে, বিশেষ করে কাশি ও সর্দি-জ্বরের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এদিকে, স্থানীয়রা আশা করছেন, দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে শ্রমজীবী মানুষদের সাহায্য করা হবে এবং শীতজনিত রোগগুলোর প্রতিকার করা হবে।




তেল নিয়ে তেলেসমাতি: মিলছে না দাম বাড়িয়েও

দেশে সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ৯ ডিসেম্বর দাম লিটারে আট টাকা বাড়ানো হয়। এর পর ১৬ ডিসেম্বর দাম সহনীয় রাখতে সয়াবিন তেল আমদানি, উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) অব্যাহতি দেয় সরকার। কিন্তু এসব পদক্ষেপ সত্ত্বেও খুচরা ব্যবসায়ীরা চাহিদামাফিক তেল পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তুলেছেন, আর এর ফলে সাধারণ মানুষ ভুগছে।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও চাহিদা মাফিক সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে, কোথাও বা পাওয়া যাচ্ছে না। দোকানিরা অনেক সময় জানাচ্ছেন, ‘তেল নেই’। আবার কিছু দোকানে অতিরিক্ত দামে তেল বিক্রি করারও অভিযোগ উঠেছে।

কাওরান বাজারের মায়ের দোয়া জেনারেল স্টোরের এক বিক্রেতা জানান, তাদের দোকানে সয়াবিন তেলের সরবরাহে কোনো সমস্যা নেই। তারা যা চাচ্ছেন তাই পাচ্ছেন। একই বক্তব্য দেন কাওরান বাজারের মেসার্স বন্ধু স্টোর, লক্ষ্মীপুর স্টোরসহ অন্যান্য বিক্রেতারা। এর সত্যতা পেয়ে জানা যায়, আব্দুর রহমান নামে একজন ক্রেতা কোন সমস্যা ছাড়াই দুই লিটার সয়াবিন তেল কিনেছেন।

তবে মিরপুর, বাংলামোটর এবং পুরান ঢাকার নবাবপুরে খুচরা ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করছেন যে, আগে যেমন সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ (এসআর) নিয়মিত তাদের কাছে তেল পৌঁছাতো, এখন তা হচ্ছে না। অনেক সময় এসআররা এসে সীমিত অর্ডার নিচ্ছেন, ফলে বাধ্য হয়ে ব্যবসায়ীদের পাইকারি বাজার থেকে তেল সংগ্রহ করতে হচ্ছে।

বাংলামোটরের রিপন স্টোরের স্বত্ত্বাধিকারী রিপন মিয়া বলেন, আগে প্রতি সপ্তাহে এসআর আসতেন, কিন্তু এখন তাদের জোরাজুরি করতে হচ্ছে এবং তাও চাহিদামতো তেল পাওয়া যাচ্ছে না। একই ধরনের অভিযোগ করেছেন মিরপুরের শেওড়াপাড়া এলাকার এক খুচরা দোকানদার, যিনি জানান, কোম্পানির লোকেরা ঠিকভাবে আসছেন না, ফলে তেল পেতে সমস্যা হচ্ছে।

এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজিব ব্যাপারী, যিনি সদ্য মাস্টার্স শেষ করে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। তিনি বলেন, সয়াবিন তেল কিনতে গিয়ে প্রায়ই তাকে হয়রানির মুখে পড়তে হয়। একাধিক দোকানে ঘুরেও তেল পাওয়া যায় না। তিনি সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং সিন্ডিকেট ভাঙতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন, সরকার ব্যবসায়ীদের কাছে নতি স্বীকার করে দাম বাড়িয়েছে, কিন্তু এই মূল্যবৃদ্ধির পরও তেল সরবরাহ নিশ্চিত না হওয়া উচিত নয়। তিনি বলেন, সরবরাহে সমস্যা থাকার কথা বললেও, কেন এতদিনে এর সমাধান করা হয়নি, তা প্রশ্নবিদ্ধ। সরকারের দায়িত্ব ছিলো সরবরাহ ঠিক রাখা, কিন্তু তারা সেই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে।

বর্তমানে, ৯ ডিসেম্বর সয়াবিন তেলের দাম লিটারে আট টাকা বেড়ে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকায় এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৫৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বোতলজাত পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের দাম এখন ৮৬০ টাকা।

মো: তুহিন হোসেন,
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




 বাংলাদেশে গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে কমিশন

বাংলাদেশে গুমের ঘটনা নিয়ে তদন্ত করতে গিয়ে ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে একটি কমিশন। দুই দেশের বন্দি বিনিময়ের কার্যক্রম এবং আটক ব্যক্তিদের পরিণতি নিয়ে গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহকারী কমিশন তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে যে, বাংলাদেশে গুমের ঘটনায় ভারতের ভূমিকা একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সাবেক বিচারপতি মাইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ সদস্যের কমিশন সম্প্রতি ‘সত্য উদঘাটন’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করেছে। কমিশন জানায়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে জোরালো ইঙ্গিত রয়েছে যে কিছু বন্দি এখনও ভারতের জেলে থাকতে পারে।

কমিশন আরও জানায়, তারা পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে, যেন তারা ভারতের জেলে থাকা কোনো বাংলাদেশি নাগরিককে খুঁজে বের করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালায়। তবে, বাংলাদেশে এই বিষয়টি তদন্ত করার এখতিয়ার কমিশনের নেই।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে অপহৃত হয়ে ভারতীয় কারাগারে পৌঁছানো সুখরঞ্জন বালি এবং বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের ঘটনা দুইটি বড় প্রমাণ সরবরাহ করছে যে, গুমের কার্যক্রম কীভাবে পরিচালিত হয়েছিল।

সালাহউদ্দিন আহমেদের বিষয়ে কমিশন জানায়, তাকে ২০১৫ সালে উত্তরায় লুকিয়ে থাকার সময় আটক করা হয় এবং তাকে একটি পরিত্যক্ত সেলে আটক রাখা হয়েছিল, যেখানে একটি গর্ত ছিল যা টয়লেট হিসেবে ব্যবহৃত হতো। তার দেওয়া কম্বলে ‘টিএফআই’ অক্ষরগুলো লেখা ছিল, যা ‘টাস্ক ফোর্স ফর ইন্টারোগেশন’-এর ইঙ্গিত বহন করে।

কমিশন পরিদর্শন করে নিশ্চিত করেছে যে, র‍‍্যাব গোয়েন্দা শাখা এখনও ওই স্থাপনার প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ করে এবং এর চাবি নিজেদের হাতে রাখে। তবে, ওই স্থাপনার অভ্যন্তরীণ অবকাঠামো সম্প্রতি ধ্বংস করা হয়েছে। কমিশন জানায়, ২০১০-১১ সালের দিকে এই কেন্দ্র পরিদর্শনকারী সেনা সদস্যদের সাক্ষাৎকার থেকে জানা গেছে, এক সময় এই স্থাপনায় অতিরিক্ত একটি তলা ছিল, যা বর্তমানে আর প্রবেশ করা যায় না।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বন্দী হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিক প্রকৃতি এবং এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি ইঙ্গিত দেয় যে, দুই দেশের সরকারের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সমন্বয়ের মাধ্যমে এই ঘটনা ঘটেছে।

কমিশন এই বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহের অপেক্ষায় রয়েছে, তবে প্রাথমিকভাবে এটি সন্দেহ করা হচ্ছে যে, সালাহউদ্দিন আহমেদ বর্তমানে নষ্ট করে ফেলা সেলগুলোর একটিতে আটক ছিলেন। তাদের মতে, দুই দেশের মধ্যে বন্দী বিনিময় কার্যক্রমের মাধ্যমে গুমের ঘটনাগুলো আন্তর্জাতিকভাবে সংগঠিত এবং প্রাতিষ্ঠানিক প্রকৃতির।

মো: তুহিন হোসেন,
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




 ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা লাখ ছাড়াল

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার খবর এসেছে, ফলে চলতি বছর মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬১ জনে। এ সময়েই নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৪১ জন ডেঙ্গু রোগী। চলতি বছর এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ২৯ হাজার ৯ জনে পৌঁছেছে।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২২ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৩৫ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৩৫ জন, খুলনা বিভাগে ১১ জন, ময়মনসিংহে ৫ জন এবং রাজশাহীতে ৮ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৭০ জন ডেঙ্গু রোগী। এ পর্যন্ত মোট ৯৮ হাজার ২৬৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১ লাখ ২৯ হাজার ৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে ৫৬১ জন ডেঙ্গু রোগী মৃত্যুবরণ করেছেন।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানিয়েছেন, “ডেঙ্গু এখন আর সিজনাল নয়, এটি সারা বছরই হচ্ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সর্বত্র প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে এবং জনগণকে সচেতন থাকতে হবে।”

কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলেন, “মশানিধন কেবল জেল-জরিমানা এবং জনসচেতনতা বাড়িয়ে হবে না, সঠিক জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।”

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন আক্রান্ত হয়েছিল এবং ১ হাজার ৭০৫ জন মৃত্যুবরণ করেছিল, যা ছিল দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

মো: তুহিন হোসেন,
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




সাকিব-তামিমকে কি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে রাখা হবে?

বাংলাদেশ ক্রিকেটের দুই প্রভাবশালী তারকা সাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবাল। তাদের ক্যারিয়ার এখনো সগৌরবে চললেও, বর্তমানে তাদের ভবিষ্যৎ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কিছুটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সাকিব এবং তামিম—দুজনই এখন ক্যারিয়ারের শেষ পর্যায়ে, তবে তাদের ভবিষ্যত ভিন্ন কারণে ঝুলে আছে।

তবে সম্প্রতি বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ জানিয়ে দিয়েছেন যে, সাকিব ও তামিমের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। ওয়ানডে ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হবে এই টুর্নামেন্ট, এবং উল্লেখযোগ্য যে দুজনের কেউই এখনও অবসর নেননি। বিসিবি সভাপতির মন্তব্য অনুযায়ী, “যদি কোনো খেলোয়াড় অবসর না নিয়ে থাকে, সে অবশ্যই নির্বাচনের জন্য উপলব্ধ থাকবে।”

সাকিব আল হাসানের পরিস্থিতি কিছুটা জটিল। রাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশে ফিরতে পারেননি তিনি, বিশেষ করে সরকার পতনের পর তার দেশে ফেরার ব্যাপারে অনেক বাধা সৃষ্টি হয়েছে। ফারুক আহমেদ বলেন, “এটা একদম আলাদা বিষয়, কিছুই নতুন নেই। সে শেষবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিল না খেলতে। বিপিএল খেলার বিষয়ে এখনও কোনো আপডেট নেই।”

অন্যদিকে, তামিম ইকবাল ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন, তবে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত বদলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে খেলেন। বিশ্বকাপের দল থেকে তিনি নিজেকে সরিয়ে নিলেও, বর্তমানে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে, দলের জন্য প্রয়োজন হলে তিনি ফিরতে প্রস্তুত। ফারুক আহমেদ জানান, “তামিমের ব্যাপারে প্রধান নির্বাচক বলেছেন যে, এখনো কোনো পলিসি নেই। যদি নির্বাচকরা মনে করে, তাকে দরকার, তখন তারা নির্দিষ্ট খেলোয়াড়ের সঙ্গে কথা বলবে।”

সাকিবের অবস্থা যতটা জটিল, তামিমের অবস্থা ততটা সহজ ও পরিষ্কার। তামিমের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার সম্ভাবনা তাই বেশি বলে মনে হচ্ছে।

মো: তুহিন হোসেন,
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




বরিশাল জেলা পুলিশ সুপারের উজিরপুর পথসভায় বিএনপি নেতা এস সরফুদ্দীন আহমেদ সান্টু

বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার মোঃ বেলায়েত হোসেনের উপস্থিতিতে উজিরপুরে একটি বিশেষ পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। উজিরপুর মডেল থানার উদ্যোগে এই পথসভাটি রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সুধী সমাজের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়। ২১ ডিসেম্বর শনিবার দুপুর ১:৩০ মিনিটে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের সোনার বাংলা বাজারের সামনে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোঃ বেলায়েত হোসেন।

উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুস সালাম এর সভাপতিত্বে এবং এসআই ওসমান গনির সঞ্চালনায় পথসভাটি অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, বরিশাল জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং উজিরপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এস সরফুদ্দীন আহমেদ সান্টু। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উজিরপুর সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার একরামুল আহাদ, উপজেলা জামায়াত ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোঃ খোকন সরদার, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ এর সভাপতি মাওলানা মোঃ শাহে আলম।

এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ হুমায়ুন খান, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম আলাউদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ রফিকুজ্জামান লিটন, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মোঃ শহিদুল ইসলাম খান, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক সাহাবুদ্দিন আকন সাবু, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আফম শামসুদ্দোহা আজাদ, এবং বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এই সভায় অংশগ্রহণ করেন।

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




শীতের বৃষ্টিতে স্থবির বরিশালের জনজীবন

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘু চাপের কারণে বরিশালে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। গত শুক্রবার রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি শনিবার দিনভর চলতে থাকে। শনিবার দিনভর মেঘলা আকাশের কারণে সূর্যের দেখা মেলেনি, ফলে শহরের জনজীবন এক ধরনের স্থবির হয়ে পড়েছে।

বরিশাল আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক মো. মাসুদ রানা রুবেল জানান, শুক্রবার রাত ৯টা ৪০ মিনিট থেকে বরিশালে বৃষ্টি শুরু হয়। শনিবার দিনভর কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি, আবার কখনো হালকা বৃষ্টি হতে থাকে। শনিবার বেলা ১২টা পর্যন্ত ২ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। দিনের তাপমাত্রা বাড়েনি এবং স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি শীত অনুভূত হয়েছে। আবহাওয়া মেঘলা এবং বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। তিনি আরো জানান, উপকূল এবং ভোলার নিম্নাঞ্চলে ভারী বৃষ্টি হয়েছে, যা আরো দুই-এক দিন ধরে চলতে পারে।

এ অবস্থা শহরের জনজীবনে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। বৃষ্টির কারণে কাজে না যাওয়ার জন্য বেশিরভাগ মানুষ ঘরেই অবস্থান করছেন। তবে মহাসড়ক পিচ্ছিল হয়ে যাওয়ার কারণে পরিবহন চালকদের কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে। এরই মধ্যে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের উজিরপুরের ইচলাদিতে সাকুরা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে বাসের সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কেউ আহত হয়নি। এছাড়া, সকাল বেলা মহাসড়কে দুটি বাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। তবে ধীরগতির কারণে সেখানে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ২১ জন বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তারা ছাত্র আন্দোলনকালে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও পুলিশ দিয়ে হয়রানি চালিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য উপাচার্যের সাথে একটি সভা করবেন।’ তিনি আরও জানান, এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে সকল পক্ষের মতামত নেওয়া হবে, যাতে নিরপরাধ কেউ হয়রানির শিকার না হন।

সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাথে সংশ্লিষ্ট। তবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে সতর্কতার সাথে যাচাই-বাছাই করার আহ্বান জানিয়েছেন, যেন কোনো নিরপরাধ শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার না হন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শারমিন ২১ ছাত্রের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গত শুক্রবার রেজিস্ট্রারকে চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে অবশ্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী ধরনের আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি। তবে এটা ধারণা করা হচ্ছে যে, মামলা দায়ের কিংবা একাডেমিক শাস্তি, যেকোনো একটি বা দুটি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

এর আগে, ছাত্র আন্দোলনকারীরা তিনটি পৃথক পক্ষ থেকে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের তালিকা উপাচার্যের কাছে জমা দেন। এরপর এসব তালিকা যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত করা হবে কাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




নিম্নচাপের প্রভাবে পটুয়াখালীসহ উপকূলে বৃষ্টি ও শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপের প্রভাবে পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় এলাকায় শুরু হয়েছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। এর ফলে শীতের তীব্রতা বেড়েছে এবং নিম্নআয়ের মানুষদের আরও বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে এবং পুরো উপকূলজুড়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তার জাহান জানান, সাগরে সৃষ্ট এই নিম্নচাপের প্রভাবে আকাশের এ অবস্থা হয়েছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, নিম্নচাপের কারণে পায়রা এবং দেশের সব সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে এবং গভীর সমুদ্রে থাকা মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে সাবধানে চলাচলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার কারণে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে গেছে। পটুয়াখালীর বিভিন্ন স্থানে সকাল থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে, যা শীতের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে নিম্নআয়ের মানুষগুলো বৃষ্টির কারণে বেশি সমস্যায় পড়েছেন।

আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে। এতে উপকূলীয় এলাকায় শীত এবং বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



ব্যাঙের ছাতার মতো লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসি, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে সাধারণ মানুষ

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় লাইসেন্সবিহীন শত শত ফার্মেসি গড়ে উঠেছে। উপজেলার পৌর শহর থেকে শুরু করে ১৪টি ইউনিয়নের অলিতে-গলিতে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই চলছে এসব ফার্মেসি। শুধুমাত্র ট্রেড লাইসেন্সের ভিত্তিতে অনভিজ্ঞ ব্যক্তিরা এসব ফার্মেসি পরিচালনা করছেন। অনেক চায়ের দোকান কিংবা মুদির দোকানেও ওষুধ বিক্রির মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজ চলছে। ফলে এলাকাবাসী মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন।

জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি:
সাধারণ মানুষের অভিযোগ, এই লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসিগুলোতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও ভেজাল ওষুধ বিক্রির ঘটনা অহরহ। ক্রেতারা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ওষুধের মেয়াদ কিংবা দামের ব্যাপারে সচেতন নন। পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হচ্ছে, কারণ ফার্মেসির ব্যানারে হাতুড়ে ডাক্তাররা চিকিৎসা সেবা দেওয়ার নামে অপচিকিৎসা চালাচ্ছেন। এতে রোগীরা সঠিক চিকিৎসার বদলে মারাত্মক সমস্যায় পড়ছেন।

আইন কী বলে?
ওষুধ প্রশাসনের নিয়ম অনুযায়ী:

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ মজুত কিংবা বিক্রি করা যাবে না।

ড্রাগ লাইসেন্স প্রদর্শন বাধ্যতামূলক।

ক্রয় রশিদসহ ওষুধের মূল্য দিতে হবে।

ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া কোনও ওষুধ বিক্রয় করা যাবে না।
কিন্তু এসব নিয়ম অধিকাংশ ফার্মেসি অমান্য করছে।

ফরিদপুর ইউনিয়নের একটি উদাহরণ:
ফরিদপুর ইউনিয়নের গাজীতলা বাজারে প্রায় ছয় মাস ধরে লাইসেন্স ছাড়া চালু থাকা ‘বিসমিল্লাহ মেডিকেল হল’ পরিচালনা করছেন কামরুল ইসলাম। প্রশিক্ষণবিহীন কামরুল শিশু, বৃদ্ধ এবং জটিল রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। এলাকার সাধারণ মানুষ তাকে ডাক্তার হিসেবে গ্রহণ করছেন, যা মারাত্মক ঝুঁকির কারণ। তার ফার্মেসিতে নিম্নমানের ও ভেজাল ওষুধ বিক্রি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

প্রশাসনিক প্রতিক্রিয়া:
বরিশাল সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান জানিয়েছেন, “যেসব ফার্মেসির ড্রাগ লাইসেন্স নেই, তারা ব্যবসা চালাতে পারবে না। শীঘ্রই মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে এসব অবৈধ ফার্মেসি বন্ধ করা হবে। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

অবৈধ ফার্মেসিগুলোর দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে, এলাকার জনস্বাস্থ্য আরও সংকটাপন্ন হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

মো: তুহিন হোসেন,
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম